'বাল্মীকির জয়' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
A
স্বর্ণকুমারী দেবী
B
আলী আহসান
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদ এবং সংস্কৃত ভাষার একজন খ্যাতনামা পণ্ডিত। তিনি জীবদ্দশায় বহু সম্মাননা ও উপাধি অর্জন করেন।
-
১৮৯৮ সালে সরকারের দেওয়া সম্মান ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি লাভ করেন (যা মহারানী ভিক্টোরিয়ার ৬০তম রাজ্যাঙ্ক উপলক্ষে প্রবর্তিত হয়)।
-
১৯১১ সালে ‘সি.আই.ই’ উপাধি পান।
-
১৯২১ সালে ইংল্যান্ডের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির অনারারি মেম্বার মনোনীত হন।
-
১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনারারি ডি.লিট উপাধি লাভ করেন।
তাঁর রচিত সাহিত্যকর্ম:
-
বেণের মেয়ে
-
বাল্মীকির জয়
-
মেঘদূত
-
প্রাচীন বাংলার গৌরব
0
Updated: 1 month ago
আশায় বসতি -কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 days ago
A
আহসান হাবীব
B
লুৎফর রহমান
C
জসীমউদ্দীন
D
কায়কোবাদ
হাবীব, আহসান (১৯১৭-১৯৮৫) কবি ও সাংবাদিক। ১৯১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার শংকরপাশা গ্রামে তাঁর জন্ম। আহসান হাবীবের প্রথম কবিতার বই রাত্রিশেষ প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালে। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ ছায়াহরিণ (১৯৬২), সারা দুপুর (১৯৬৪), আশায় বসতি (১৯৭৪), মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬), দুহাতে দু আদিম পাথর (১৯৮০), প্রেমের কবিতা (১৯৮১), বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (১৯৮৫) ইতাদি। তাঁর দুটি বিশিষ্ট উপন্যাস হলো অরণ্য নীলিমা (১৯৬০) ও রাণীখালের সাঁকো (১৯৬৫)। এ ছাড়া তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গ্রন্থ: জ্যোৎস্না রাতের গল্প, বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর (১৯৭৭), ছুটির দিন দুপুরে (১৯৭৮) ইত্যাদি। ১৯৮৫ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
0
Updated: 4 hours ago
'বর্ষ-আবাহন' কবিতার রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
B
জীবনানন্দ দাশ
C
শামসুর রাহমান
D
বুদ্ধদেব বসু
প্রথম কবিতা:
-
স্কুলে ছাত্রাবস্থায় জীবনানন্দ দাশ রচিত প্রথম কবিতা ‘বর্ষ-আবাহন’ প্রকাশিত হয় ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩২৬ / এপ্রিল ১৯১৯)।
জীবনানন্দ দাশ:
-
তিনি ছিলেন কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশাল।
-
তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে।
-
তাঁর ডাক নাম ছিল মিলু।
-
পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক।
-
মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি।
-
মৃত্যু: ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা:
কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরাপালক (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উপন্যাস:
-
মাল্যবান
-
সুতীর্থ
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
কবিতার কথা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
'বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন' এর রচয়িতা -
Created: 2 weeks ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
মুহম্মদ আব্দুল হাই
C
আবুল মনসুর আহমদ
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
উত্তর: খ) মুহম্মদ আব্দুল হাই
‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’ গ্রন্থটির রচয়িতা মুহম্মদ আব্দুল হাই। এটি একটি ভ্রমণকাহিনি, যেখানে লেখক তাঁর বিদেশযাত্রার অভিজ্ঞতা সাহিত্যিকভাবে তুলে ধরেছেন। বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণবিষয়ক লেখার ধারায় এটি এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন, যা কেবল একটি ভ্রমণের বিবরণ নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানসিক অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি।
গ্রন্থটির মূল বিষয় হলো লেখকের ইংল্যান্ডে অবস্থানকালীন জীবন, শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ। তিনি সেখানে কাটিয়েছেন প্রায় সাড়ে সাতশ দিন, সেই সময়ের প্রতিটি অভিজ্ঞতাকে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছেন।
লেখাটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে বিদেশি সংস্কৃতি ও বাঙালি মানসিকতার পার্থক্য সূক্ষ্মভাবে চিত্রিত হয়েছে। লেখক তুলনামূলক দৃষ্টিতে পশ্চিমা জীবনধারা ও বাঙালি সমাজের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করেছেন।
-
ভাষা ও শৈলীতে রয়েছে হাস্যরস, রসিকতা ও সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ। এতে লেখকের ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিদীপ্ততা ও সাহিত্যিক পরিপক্বতা প্রকাশ পেয়েছে।
-
বইটিতে বিদেশি সমাজের প্রতি অবজারভেশনধর্মী বিশ্লেষণ পাওয়া যায়; তিনি কোনো কিছু অন্ধভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করেননি, বরং যুক্তিনির্ভরভাবে বিচার করেছেন।
-
এটি শুধু একটি ভ্রমণকাহিনি নয়; এতে আত্মপ্রতিকৃতি, শিক্ষা ও মানবসম্পর্কের বিশ্লেষণও বিদ্যমান।
-
লেখক বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশি প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করে জাতীয় পরিচয়ের প্রশ্নও উত্থাপন করেছেন।
-
‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’-এর ভাষা পরিশীলিত, কিন্তু সহজবোধ্য। লেখক তাঁর অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যে পাঠক মনে করে, সে নিজেও যেন সেই অভিজ্ঞতার অংশ।
মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিশারদ ও সাহিত্যসমালোচক। তিনি বাংলা সাহিত্যে যুক্তিবাদ, সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রচারক হিসেবে পরিচিত। তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে রয়েছে ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (সহলেখক), ‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ প্রভৃতি।
সব মিলিয়ে, ‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’ কেবল একটি ভ্রমণকাহিনি নয়, এটি এক বুদ্ধিদীপ্ত সাহিত্য-ভ্রমণ, যেখানে একজন বাঙালি বুদ্ধিজীবীর চোখে বিদেশি সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবজীবনের বহুমাত্রিক রূপ ধরা পড়েছে। এ কারণেই গ্রন্থটি বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের এক ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 2 weeks ago