'স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি' - প্রবন্ধটি রচনা করেন কে?
A
সোমেন চন্দ
B
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী একজন খ্যাতিমান প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হলো “স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি”।
-
জন্ম: ১৯৩৬ সালের ২৩শে জুন, বিক্রমপুরের বাড়ৈখালিতে।
-
পরিচিতি: তিনি মূলত প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক ও সাহিত্য বিশ্লেষক হিসেবে খ্যাত।
-
পুরস্কার ও সম্মাননা: লেখক সংঘ পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখিকা সংঘ পুরস্কার, একুশে পদক, এবং ঋষিজ পদক লাভ করেছেন।
-
রচিত গল্প: “ভালো মানুষের জগৎ”, “দরজাটা খোলো”।
0
Updated: 1 month ago
'বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন' এর রচয়িতা -
Created: 2 weeks ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
মুহম্মদ আব্দুল হাই
C
আবুল মনসুর আহমদ
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
উত্তর: খ) মুহম্মদ আব্দুল হাই
‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’ গ্রন্থটির রচয়িতা মুহম্মদ আব্দুল হাই। এটি একটি ভ্রমণকাহিনি, যেখানে লেখক তাঁর বিদেশযাত্রার অভিজ্ঞতা সাহিত্যিকভাবে তুলে ধরেছেন। বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণবিষয়ক লেখার ধারায় এটি এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন, যা কেবল একটি ভ্রমণের বিবরণ নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানসিক অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি।
গ্রন্থটির মূল বিষয় হলো লেখকের ইংল্যান্ডে অবস্থানকালীন জীবন, শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ। তিনি সেখানে কাটিয়েছেন প্রায় সাড়ে সাতশ দিন, সেই সময়ের প্রতিটি অভিজ্ঞতাকে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছেন।
লেখাটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে বিদেশি সংস্কৃতি ও বাঙালি মানসিকতার পার্থক্য সূক্ষ্মভাবে চিত্রিত হয়েছে। লেখক তুলনামূলক দৃষ্টিতে পশ্চিমা জীবনধারা ও বাঙালি সমাজের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করেছেন।
-
ভাষা ও শৈলীতে রয়েছে হাস্যরস, রসিকতা ও সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ। এতে লেখকের ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিদীপ্ততা ও সাহিত্যিক পরিপক্বতা প্রকাশ পেয়েছে।
-
বইটিতে বিদেশি সমাজের প্রতি অবজারভেশনধর্মী বিশ্লেষণ পাওয়া যায়; তিনি কোনো কিছু অন্ধভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করেননি, বরং যুক্তিনির্ভরভাবে বিচার করেছেন।
-
এটি শুধু একটি ভ্রমণকাহিনি নয়; এতে আত্মপ্রতিকৃতি, শিক্ষা ও মানবসম্পর্কের বিশ্লেষণও বিদ্যমান।
-
লেখক বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশি প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করে জাতীয় পরিচয়ের প্রশ্নও উত্থাপন করেছেন।
-
‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’-এর ভাষা পরিশীলিত, কিন্তু সহজবোধ্য। লেখক তাঁর অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যে পাঠক মনে করে, সে নিজেও যেন সেই অভিজ্ঞতার অংশ।
মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিশারদ ও সাহিত্যসমালোচক। তিনি বাংলা সাহিত্যে যুক্তিবাদ, সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রচারক হিসেবে পরিচিত। তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে রয়েছে ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (সহলেখক), ‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ প্রভৃতি।
সব মিলিয়ে, ‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’ কেবল একটি ভ্রমণকাহিনি নয়, এটি এক বুদ্ধিদীপ্ত সাহিত্য-ভ্রমণ, যেখানে একজন বাঙালি বুদ্ধিজীবীর চোখে বিদেশি সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবজীবনের বহুমাত্রিক রূপ ধরা পড়েছে। এ কারণেই গ্রন্থটি বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের এক ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 2 weeks ago
“পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল“ পঙ্খক্তির রচয়িতা -
Created: 2 weeks ago
A
রামনারায়ণ তর্করত্ন
B
বিহারীলাল চক্রবর্তী
C
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
D
মদনমোহন তর্কালংকার
এই পঙক্তিটি উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট গদ্যকার ও কবি মদনমোহন তর্কালংকারের রচনা। তিনি ছিলেন বাংলা নবজাগরণের প্রাথমিক যুগের একজন অগ্রণী সাহিত্যিক, যিনি প্রাচীন ও আধুনিক ভাবধারার মধ্যে এক সেতুবন্ধন রচনা করেন। “পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল” পঙক্তিটি তাঁর সাহিত্যিক সৃষ্টির মধ্য দিয়ে প্রকৃতি, সমাজ ও নৈতিক জাগরণের এক প্রতীকী চিত্র প্রকাশ করে।
এই পঙক্তির মাধ্যমে তিনি মানুষের মনন ও সমাজজীবনের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটি কেবল একটি প্রকৃতিবিষয়ক বর্ণনা নয়, বরং গভীর দার্শনিক অর্থ বহন করে—যেখানে ‘রাতি পোহাইল’ মানে অজ্ঞানতার অবসান এবং ‘পাখির রব’ মানে নবজাগরণের সূচনা।
ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়—
• মদনমোহন তর্কালংকার ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথমদিকের আধুনিক গদ্যরচয়িতাদের একজন। তাঁর রচনায় সমাজসংস্কার, মানবপ্রেম ও জাতীয় চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
• “পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল” পঙক্তিটি প্রতীকধর্মী। এখানে ‘পাখি’ বোঝায় জাগ্রত মানুষ, যারা আলোর আহ্বান জানায়; আর ‘রাতি’ বোঝায় অজ্ঞতা, নিদ্রা বা পশ্চাৎপদতার সময়।
• এই লাইনটি মূলত মানবমনের জাগরণের আহ্বান। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সময় এসেছে ঘুম থেকে জেগে উঠার, কর্মে প্রবৃত্ত হওয়ার।
• উক্ত পঙক্তি বাংলা নবজাগরণের সাহিত্যিক ভাষায় এক নবচেতনার প্রকাশ—যা মানুষের ভেতরের অন্ধকার দূর করে সমাজে প্রগতির আলো ছড়ানোর আহ্বান জানায়।
• সাহিত্যিক হিসেবে মদনমোহন তর্কালংকার সমাজে যুক্তিবাদী চিন্তা ও সংস্কারবিরোধী চেতনা ছড়িয়েছিলেন। তাঁর রচনাগুলোতে দেখা যায় নৈতিক জাগরণ, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর।
• এই পঙক্তি শুধু সাহিত্য নয়, তৎকালীন সমাজের মানসিক অবস্থার প্রতিফলনও বটে—যেখানে মানুষ ধীরে ধীরে কুসংস্কার ত্যাগ করে যুক্তিবাদ ও মানবতাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।
• “রাতি পোহাইল” শব্দবন্ধের মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত করেছেন যে, অন্ধকারের পরেই আসে নতুন ভোর, অর্থাৎ দুর্দশার পরেই মুক্তির সম্ভাবনা।
• এই পঙক্তি তাই যুগচেতনার প্রতীক—যা বাংলার রেনেসাঁ যুগের আত্মপ্রকাশের মূর্ত প্রতিচ্ছবি।
সার্বিকভাবে, মদনমোহন তর্কালংকারের এই লাইনটি শুধু কবিত্বের সৌন্দর্য নয়, বরং এক মানবিক ও আলোকিত সমাজের আহ্বান। তাঁর এই পঙক্তি বাংলা সাহিত্যে চিরন্তন বার্তা হিসেবে বিবেচিত—অন্ধকারের অবসান ঘটিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।
0
Updated: 2 weeks ago
“একটি কবিতা পড়া হবে… ‘কখন আসবে কবি?’- রচয়িতা?
Created: 1 day ago
A
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
শামসুর রাহমান
D
ফরহাদ মজহার
কবিতা “একটি কবিতা পড়া হবে…” বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ের এক অনন্য সাহিত্য সৃষ্টি। এটি রচনা করেছেন নির্মলেন্দু গুণ, যিনি তার গভীর দেশপ্রেম ও সামাজিক চেতনার জন্য পরিচিত কবি। এই কবিতাটি জাতির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে প্রকাশ করে।
• নির্মলেন্দু গুণের “স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো” কবিতাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও স্বাধীনতার আহ্বানকে ফুটিয়ে তুলেছে।
• “একটি কবিতা পড়া হবে…” মূলত সেই চেতনারই ধারাবাহিক প্রকাশ, যেখানে কবি সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি কবির দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেন।
• কবিতাটি মুক্তচিন্তা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বোধের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
• এতে কবির কণ্ঠে ফুটে উঠেছে মানবতার মুক্তির আহ্বান ও সত্য উচ্চারণের সাহস।
0
Updated: 1 day ago