'চণ্ডীমঙ্গল' কাব্যের কোন কবিকে 'স্বভাব কবি' বলা হয়?
A
দ্বিজমাধব
B
ভবানীশঙ্কর দাস
C
হরিরাম
D
মুকুন্দরাম
উত্তরের বিবরণ
‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্য চণ্ডী নামক লৌকিক-পৌরাণিক দেবীর পূজা প্রচারের কাহিনি অবলম্বনে রচিত। এর আদি কবি মানিক দত্ত, তবে চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান বা শ্রেষ্ঠ কবি হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। এছাড়া এই কাব্যের কবি দ্বিজমাধবকে ‘স্বভাব কবি’ বলা হয়।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্রসমূহ—
-
কালকেতু
-
ফুল্লরা
-
ধনপতি
-
ভাঁড়ুদত্ত
-
মুরারি শীল প্রমুখ
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিগণ—
-
ষোল শতক: মানিক দত্ত, বলরাম, দ্বিজমাধব, মুকুন্দরাম
-
সতের শতক: হরিরাম, দ্বিজরাম দেব
-
আঠার শতক: মুক্তারাম সেন, ভারতচন্দ্র রায়, অকিঞ্চন চক্রবর্তী, জয়নারায়ণ সেন, ভবানীশঙ্কর দাস
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলাম তার কোন গ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন?
Created: 1 month ago
A
সঞ্চিতা
B
দোলনচাঁপা
C
বিষের বাশিঁ
D
সর্বহারা
কাজী নজরুল ইসলামের ‘সঞ্চিতা’ একটি কবিতা সংকলন, যা প্রকাশিত হয় ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে। এই গ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। সংকলনে মোট ৭৮টি কবিতা ও গান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
‘সঞ্চয়িতা’ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা সংকলন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বসন্ত নাটক কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বিখ্যাত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' কাব্যগ্রন্থ কে অনুবাদ করেন?
Created: 1 month ago
A
E.M Milford
B
Thomas Gray
C
James Long
D
Robert Frost
'নক্সী কাঁথার মাঠ' হলো জসীমউদ্দীনের রচিত একটি কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ, যা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনীকাব্য হিসেবে স্বীকৃত।
-
রচয়িতা ও রচনাকাল: জসীমউদ্দীন (১৯০৩–১৯৭৬), রচনাকাল ১৯২৯
-
কাব্যের ধরন: এটি একটি শিল্পসফল কাহিনীকাব্য
-
গঠন: কাব্যটি চোদ্দটি সর্গ বা ছোট ছোট দৃশ্যপটে বর্ণিত
-
ইংরেজি অনুবাদ: ১৯৩৯ সালে E.M. Milford 'The Field of the Embroidered Quilt' নামে এর ইংরেজি অনুবাদ করেন
0
Updated: 1 month ago
'আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' সম্পাদনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
মুহম্মদ এনামুল হক
C
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
D
সুকুমার সেন
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন খ্যাতিমান বাঙালি ব্যক্তিত্ব, বহুভাষাবিদ, শিক্ষক ও দার্শনিক। তিনি ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে পরিচিত এবং তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলেও অভিহিত করা হয়।
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর বিখ্যাত উক্তি:
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।” -
১৯৫৯ সালে তিনি ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ রচনা করেন।
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। এটি বাংলা ভাষার প্রথম ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ভাষার অভিধান।
তাঁর ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা ইত্যাদি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago