বাংলা ভাষায় শ্রীচৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থ কোনটি
A
শ্রীচৈতন্য-লীলা
B
চৈতন্য-চরিত্রামৃত
C
চৈতন্য-ভাগবত
D
চৈতন্য-মঙ্গল
উত্তরের বিবরণ
শ্রীচৈতন্যদেব জন্মগ্রহণ করেন ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার, নবদ্বীপে। তাঁর প্রকৃত নাম বিশ্বম্ভর মিশ্র, তবে তিনি কৃষ্ণ চৈতন্য নামেও পরিচিত এবং ডাক নাম রাখা হয় নিমাই।
শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী রচনার মাধ্যমে বাংলায় জীবনীসাহিত্য শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ জীবনীগ্রন্থসমূহ—
-
‘চৈতন্য-ভাগবত’: রচয়িতা বৃদ্ধাবন দাস, বাংলা ভাষায় প্রথম শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী।
-
‘চৈতন্য-মঙ্গল’: রচয়িতা লোচন দাস, দ্বিতীয় জীবনীগ্রন্থ।
-
‘চৈতন্য-চরিত্রামৃত’: রচয়িতা কৃষ্ণদাস কবিরাজ, সর্বাপেক্ষা তথ্যবহুল চৈতন্যজীবনী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সরদার জয়েনউদ্দিন রচিত উপন্যাস?
Created: 1 month ago
A
নয়ান ঢুলি
B
বেলা ব্যানার্জীর প্রেম
C
অষ্টপ্রহর
D
অনেক সূর্যের আশা
‘অনেক সূর্যের আশা’ উপন্যাস দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পটভূমিতে সরদার জয়েনউদ্দীনের রচিত একটি কীর্তি। এই উপন্যাস তাঁকে খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা এনে দেয়।
সরদার জয়েনউদ্দীন সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
জন্ম: ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাটিতে এক কৃষক পরিবারে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
অনেক সূর্যের আশা
-
বেগম শেফালী মির্জা
-
রোদের ঢেউ
-
আদিগন্ত
তাঁর রচিত ছোটগল্পসমূহ:
-
নয়ান ঢুলি
-
খরস্রোত
-
বেলা ব্যানার্জীর প্রেম
-
অষ্টপ্রহর
0
Updated: 1 month ago
কোনটি উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
নীললোহিত
B
এইসব দিন রাত্রি
C
শবনম
D
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
উত্তর: গ) শবনম
‘শবনম’ একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যার রচয়িতা হলেন হুমায়ূন আহমেদ। এটি তাঁর সাহিত্যজীবনের অন্যতম প্রথম দিকের কাজ এবং বাংলা উপন্যাসে এক নতুন ধারার সূচনা ঘটিয়েছে। এই উপন্যাসে প্রেম, অনুভূতি ও সামাজিক বাস্তবতার এক মেলবন্ধন দেখা যায়, যা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
উপন্যাসটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো মানুষের মনের গভীরতম অনুভূতি, বিশেষত ভালোবাসা, হারানো ও প্রত্যাশার সংঘাত। হুমায়ূন আহমেদ এখানে সহজ, স্বচ্ছ ভাষায় জটিল মনস্তাত্ত্বিক আবেগকে তুলে ধরেছেন।
‘শবনম’ উপন্যাসটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে প্রেম ও মানবিক সম্পর্কের বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। লেখক অতিরিক্ত নাটকীয়তা পরিহার করে জীবনের সাধারণ কিন্তু গভীর অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেছেন।
-
ভাষা ও সংলাপ স্বাভাবিক ও কথ্যভঙ্গির, যা পাঠকের সঙ্গে তাত্ক্ষণিক সংযোগ সৃষ্টি করে।
-
লেখক চরিত্র নির্মাণে বিশেষ যত্ন নিয়েছেন। প্রতিটি চরিত্র জীবন্ত ও বাস্তব, যেন পাঠক তাদের চিনতে পারে নিজের জীবনে।
-
উপন্যাসে আধুনিক নগরজীবনের আবহ, একাকিত্ব ও মানসিক টানাপোড়েন নিপুণভাবে ফুটে উঠেছে।
-
হুমায়ূন আহমেদ এই রচনায় দেখিয়েছেন যে সাহিত্য হতে পারে সরল অথচ গভীর; এতে জীবনের রঙ, হাসি-কান্না, স্বপ্ন ও বাস্তবতা মিলেমিশে গেছে।
-
‘শবনম’ মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রেমকাহিনি, তবে এর মধ্যে লুকিয়ে আছে সামাজিক বার্তা ও মানবিক উপলব্ধি।
অন্যদিকে প্রশ্নে উল্লেখিত ‘নীললোহিত’, ‘এইসব দিন রাত্রি’ এবং ‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ উপন্যাস নয়। ‘নীললোহিত’ ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এক ছদ্মনাম; তিনি এই নামে গল্প লিখতেন। ‘এইসব দিন রাত্রি’ মূলত একটি টেলিভিশন নাটক, আর ‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ একটি চলচ্চিত্র যা নির্মাণ করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক।
তাই স্পষ্টভাবে বলা যায়, এখানে একমাত্র ‘শবনম’ই উপন্যাস, যা হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট সাহিত্যজগতে এক বিশেষ অবস্থান দখল করে আছে। এটি বাংলা সাহিত্যে প্রেমের নতুন ভাষা ও ভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে, যা এখনো পাঠকের হৃদয়ে অম্লান।
0
Updated: 1 week ago
'বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ' কোন ধরনের সাহিত্য?
Created: 1 month ago
A
কাব্য
B
প্রহসন
C
মহাকাব্য
D
উপন্যাস
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ একটি প্রহসন। প্রথমে এ প্রহসনের নাম ছিল ‘ভগ্ন-শিবমন্দির’। কাহিনীর মূল বিষয় হলো এক লম্পট জমিদারের আচার-ব্যবহার ও দরিদ্র প্রজাদের দ্বারা তাকে উচিত শিক্ষা প্রদান।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
ভক্তপ্রসাদ বাবু
-
পঞ্চানন বাচস্পতি
-
গদাধর
-
পুঁটি
-
ফতেমা
মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যান্য প্রহসন:
-
একেই কি বলে সভ্যতা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago