'গীতগোবিন্দম্' - গ্রন্থটি মধ্যযুগের কোন ধারার সাহিত্য?
A
বৈষ্ণব পদাবলি
B
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
C
মঙ্গলকাব্য
D
লোকসাহিত্য
উত্তরের বিবরণ
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।
মুখ্য তথ্যসমূহ—
-
বাঙালি কবি জয়দেবকে বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা বা আদিকবি বলা হয়। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন, তবে এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
পরবর্তীতে বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন এবং তাঁকে ব্রজবুলি ভাষায় আদি কবি বলা হয়; তিনি অভিনব জয়দেব নামেও পরিচিত।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদাবলি রচনা করেন চণ্ডীদাস।
বৈষ্ণব পদাবলিতে পাঁচটি রস বিদ্যমান:
১. শান্তরস
২. দাস্যরস
৩. সখ্যরস
৪. বাৎসল্যরস
৫. মধুররস (শৃঙ্গার রস)
উৎস:

0
Updated: 11 hours ago
'বটতলার উপন্যাস' গ্রন্থের লেখকের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
দিলারা হাশেম
B
রাজিয়া খান
C
রিজিয়া রহমান
D
সেলিনা হোসেন
রাজিয়া খান
- রাজিয়া খান আমিন মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন।
- অধ্যাপনা করলেও সাহিত্যের অঙ্গনেও তাঁর সমান পদচারণা ছিল।
- সাহিত্যকর্মে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে।
- তাঁর সাড়া জাগানো বই ‘বটতলার উপন্যাস’।

উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; 'বটতলার উপন্যাস' এবং বিবিসি নিউজ বাংলা।

0
Updated: 1 month ago
'রত্নবতী' কোন ধরনের গ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
প্রহসন
D
গল্পগ্রন্থ
রত্নবতী (মীর মশাররফ হোসেন)
-
লেখক: মীর মশাররফ হোসেন
-
প্রকাশ: ১৮৬৯
-
বিশেষত্ব:
-
মুসলিম সাহিত্যিকদের মধ্যে প্রথম গ্রন্থ যা ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান
-
রূপকথা জাতীয় শিক্ষামূলক দীর্ঘ গল্প
-
-
মূল বিষয়:
-
রাজপুত্র সুকুমার ও মন্ত্রীপুত্র সুমন্তের মধ্যে ‘ধন বড় না বিদ্যা বড়’ বিতর্ক ও তার সমাধান
-
মীর মশাররফ হোসেন
-
জন্ম: ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক
-
সাংবাদিকতা:
-
সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা-র মফঃস্বল সংবাদদাতা
-
পত্রিকা আজিজননেহার ও হিতকরী সম্পাদনা
-
-
সাহিত্যিক অবদান:
-
বঙ্কিমযুগের প্রধান গদ্যশিল্পী
-
উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ
-

0
Updated: 1 month ago
প্রদীপ নিবিয়া গেল!'-এ বিখ্যাত বর্ণনা কোন উপন্যাসের?
Created: 3 weeks ago
A
বঙ্কিমচন্দ্রের 'বিষবৃক্ষ
B
রবীন্দ্রনাথের 'চোখের বালি'
C
বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা
D
রবীন্দ্রনাথের ‘যোগাযোগ’
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস
-
প্রকাশকাল ও বৈশিষ্ট্য:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’ প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে। রহস্যময় আবহ ও গভীর ভাবসম্প্রক্তির কারণে একে রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা হয়। -
কাহিনি সংক্ষেপ:
অরণ্যে এক কাপালিকের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা কন্যা কপালকুণ্ডলা। সমাজজীবন ও সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিত এই কন্যার সঙ্গে নবকুমারের বিবাহকে কেন্দ্র করেই কাহিনি গড়ে ওঠে। কিন্তু সমাজজীবনের সঙ্গে কপালকুণ্ডলার অমিল ও দ্বন্দ্বই গল্পকে নিয়ে যায় করুণ পরিণতির দিকে। -
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
কাহিনিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের আগ্রার স্থাপত্য ও নগরজীবন, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের রহস্যময় পরিবেশ। প্রকৃতির সৌন্দর্য, কপালকুণ্ডলার রহস্যময় চরিত্র, এবং ট্র্যাজিক সমাপ্তিই এই উপন্যাসকে বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। -
জনপ্রিয়তা:
বঙ্কিমচন্দ্র জীবিত থাকতেই এ উপন্যাসের আটবার সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। অনেক সমালোচকের মতে, এটি তাঁর সেরা উপন্যাসগুলির একটি। -
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
-
-
বিখ্যাত উক্তি:
-
“পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ।” — কপালকুণ্ডলার নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে বলা সংলাপ।
-
“তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”
-
“প্রদীপ নিবিয়া গেল।”
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা উপন্যাস।

0
Updated: 3 weeks ago