জ্ঞানদাস রচিত বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ -
A
প্রেমসাগর ও গোপাললীলা
B
মাথুর ও মুরলীশিক্ষা
C
বৃন্দাবনলীলা ও রাধামাধব
D
পদাবলী ও গীতগোবিন্দ
উত্তরের বিবরণ
জ্ঞানদাস চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বৈষ্ণব সাধকদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি বৈষ্ণবগুরু নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবী দেবীর শিষ্য ছিলেন।
জ্ঞানদাসের সাহিত্যকর্মের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো—
-
প্রথম ব্যক্তি যিনি ‘ষোড়শ-গোপাল’ রূপ বর্ণনা করে পদ রচনা করেন।
-
বাংলা ও ব্রজভাষায় রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় ২০০ (মতান্তরে ৪০০) পদ রচনা করেছেন।
-
তাঁর রচিত মাথুর ও মুরলীশিক্ষা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ।
-
পদরচনায় তিনি বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাসকে অনুসরণ করলেও সংস্কার ত্যাগ করে নিজের মতো সরল সুরে পদ রচনা করেছেন, যা পাঠককে সহজে আকৃষ্ট করে।
-
প্রেম, সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মিকতা জ্ঞানদাসের রচনার মূল বিষয়। বৃন্দাবনের কিশোর-কিশোরীর লীলাকে মানবজীবনের আলোকে বর্ণনা করেছেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
কারক
B
পদ
C
অক্ষর
D
প্রত্যয়
বাংলা ভাষার ব্যাকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে বোঝা জরুরি। নিচে সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
-
পদ হলো বিভক্তিযুক্ত শব্দ। অর্থাৎ, কোনো শব্দে বিভক্তি যুক্ত হলেই তা পদ হিসেবে গণ্য হয়।
-
বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দেই বিভক্তি থাকে।
-
যেসব শব্দে বিভক্তি প্রকাশ পায় না, সেখানে শূন্য বিভক্তি বিদ্যমান থাকে। তাই বাক্যের প্রতিটি শব্দই পদ।
-
পদ প্রধানত দুই ধরনের হয়— সব্যয় পদ ও অব্যয় পদ।
-
কারক হলো ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক।
-
কারক সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যোগ হয়।
-
অক্ষর (ইংরেজি নাম: syllable) হলো অল্প প্রয়াসে একবারে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। তাই একে শব্দাংশও বলা হয়।
-
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'চকচক' কোন ধরনের দ্বিরুক্ত শব্দ?
Created: 2 months ago
A
পুনরাবৃত্ত
B
পদাত্মক
C
ধ্বন্যাত্মক
D
অনুকার
ধ্বন্যাত্মক শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যে শব্দগুলো তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়।
-
পুনরাবৃত্তি: ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তিকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ:
-
কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, চকচক, টসটস, থকথকে, ভটভট, হিস হিস
মধ্যবর্তী স্বরধ্বনিসহ উদাহরণ:
-
খপাখপ, গবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'নবিতুন' কোন উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
সংশপ্তক
B
সারেং বৌ
C
পদ্মা নদীর মাঝি
D
ঘরে বাইরে
‘সারেং বৌ’ হলো শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত একটি কালজয়ী বাংলা উপন্যাস, যা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন, সংগ্রাম ও প্রেম-ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো কদম আলী (সারেং) ও নবিতুন।
উপন্যাসের কাহিনি সংক্ষেপ:
• “কদম” সারেং জাহাজে দীর্ঘদিন কাজ করার পর ফিরে আসে নিজের বাড়িতে।
• সে নবিতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করে।
• বিয়ের কিছুদিন পর আবার জাহাজের কাজে চলে যায়, কিন্তু মাঝে মাঝে নবিতনের কাছে চিঠি ও টাকা পাঠায়।
• গ্রামের প্রভাবশালী “মোড়ল” ডাক পিয়নের মাধ্যমে সেই চিঠি ও টাকা নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে নবিতনের সংসারে অভাব সৃষ্টি হয়।
• নবিতন নিজে গায়ে খেঁটে ঢেঁকিতে ধান বেঁনে সংসার চালায় এবং মোড়লের লালসার শিকার হতে দেয় না।
শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
• সংশপ্তক
• কৃষ্ণচূড়া মেঘ
• তিমির বলয়
• দিগন্তে ফুলের আগুন
• সমুদ্র ও তৃষ্ণা
• চন্দ্রভানের কন্যা
• কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
0
Updated: 1 month ago