'মধুমালতী' - গ্রন্থটি মধ্যযুগের কোন ধারার সাহিত্য?
A
মর্সিয়া সাহিত্য
B
জীবনী সাহিত্য
C
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
D
বৈষ্ণব পদাবলি
উত্তরের বিবরণ
‘রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান’ মধ্যযুগের এক বিশেষ সাহিত্যধারা, যা মূলত মুসলিম চরিত্রনির্ভর এবং প্রণয়কাহিনি-আশ্রিত। এটি অনুবাদ সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে মুসলমান সাহিত্যিকরা বিদেশি কাহিনি অনুবাদ ও রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে নতুন ধারা সৃষ্টি করেন।
এই ধারার উল্লেখযোগ্য অনুবাদ সাহিত্য হলো—
-
ইউসুফ-জোলেখা
-
লায়লী মজনু
-
মধুমালতী
-
গুলে বকাওলী
-
চন্দ্রাবতী
-
পদ্মাবতী
-
সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী ইত্যাদি
এই ধারার প্রধান কবিগণ হলেন—
-
শাহ মুহম্মদ সগীর
-
সৈয়দ সুলতান
-
আবদুল হাকিম
-
আলাওল
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর প্রমুখ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'হায়! জীবন এতো ছোট ক্যানে? এই ভুবনে'- বিখ্যাত সংলাপটি কোন উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
কালিন্দী
B
কবি
C
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
D
আরগ্য নিকেতন
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যেখানে কবিত্ব, প্রেম, সমাজ ও মানবজীবনের সীমা-অসীমতার সংঘাত একসাথে রূপ পেয়েছে। এই উপন্যাসে লেখক একজন প্রান্তিক মানুষের শিল্পীসত্তা ও তার জীবনের বেদনাকে গভীর মানবিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
‘কবি’ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতাইচরণ, এক ডোম সম্প্রদায়ের যুবক, যার অন্তর্নিহিত কবিসত্তাই উপন্যাসের মূল বিষয়।
-
গল্পটি এক নিম্নবর্ণের মানুষ কীভাবে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ও সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চায়, সেই সংগ্রামকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
-
নিতাইচরণের জীবনে দুটি নারী আসে—কমলা ও কুন্তলা, যাদের মাধ্যমে প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের বহুমাত্রিক দিকগুলো ফুটে ওঠে।
-
উপন্যাসে শিল্পী ও সমাজের দ্বন্দ্ব, প্রেম ও দায়িত্ববোধের সংঘাত, এবং মানুষের আত্মপ্রতিষ্ঠার তীব্র আকাঙ্ক্ষা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উপন্যাসের অন্যতম বিখ্যাত সংলাপটি—
“এই খেদ আমার মনে, ভালবেসে মিটলোনা সাধ, কুলালোনা এই জীবনে। হায়! জীবন এত ছোট কেনে? এই ভুবনে।”
—এই সংলাপ নিতাইচরণের আত্মকথন, যেখানে তাঁর অপূর্ণ ভালোবাসা ও জীবনের সীমাবদ্ধতার গভীর বোধ প্রকাশ পেয়েছে। -
তারাশঙ্কর এই উপন্যাসে সমাজের প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠকে কেন্দ্র করে মানবিকতার এক সার্বজনীন রূপ তুলে ধরেছেন।
-
ভাষা ও বর্ণনা কাব্যিক, সংলাপগুলো আবেগপূর্ণ, যা উপন্যাসটিকে বাংলা কথাসাহিত্যে এক ক্লাসিক মর্যাদায় আসীন করেছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৮ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক জমিদার পরিবারে।
-
তাঁর প্রথম গল্প ‘রসকলি’, যা সেকালের প্রসিদ্ধ পত্রিকা ‘কল্লোল’-এ প্রকাশিত হয়।
-
তাঁর লেখায় গ্রামীণ সমাজ, প্রান্তিক মানুষের জীবনসংগ্রাম, নৈতিক দ্বন্দ্ব ও মানবিক বোধ গভীরভাবে প্রতিফলিত।
প্রধান উপন্যাসসমূহ:
-
চৈতালি ঘূর্ণি
-
ধাত্রীদেবতা
-
কালিন্দী
-
কবি
-
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
-
গণদেবতা
-
আরগ্য নিকেতন
-
পঞ্চপুণ্ডলী
-
রাধা
ত্রয়ী উপন্যাস:
-
ধাত্রীদেবতা
-
গণদেবতা
-
পঞ্চগ্রাম
প্রসিদ্ধ ছোটগল্প:
-
রসকলি
-
বেদেনী
-
ডাকহরকরা
‘কবি’ উপন্যাসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন—কবিত্ব কোনো সামাজিক অবস্থানের সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং তা মানবমনের অন্তর্গত এক অনন্ত স্রোত, যা জীবন, প্রেম ও মৃত্যুর সীমা অতিক্রম করে মানুষকে অমর করে তোলে।
0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি উপন্যাস?
Created: 3 months ago
A
নতুন চাঁদ
B
কন্যাকুমারী
C
গড্ডলিকা
D
নেমেসিস
রাশিদা আখতারের লেখা একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো 'কন্যাকুমারী'।
এদিকে,
-
'নতুন চাঁদ' হলো কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থ।
-
'গড্ডলিকা' নামক গল্পগ্রন্থটির রচয়িতা রাজশেখর বসু।
-
আর নাট্যজগতে নুরুল মোমেনের লেখা 'নেমেসিস' একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক হিসেবে পরিচিত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং 'কন্যাকুমারী' উপন্যাস (রাশিদা আখতার)।
0
Updated: 3 months ago
কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
মনোরমা
B
কাপালিক
C
হেমচন্দ্র
D
ভ্রমর
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস
-
‘কপালকুণ্ডলা’ (১৮৬৬) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
উপন্যাসটিকে রোমান্স বলা যায়, কারণ এতে নিগূঢ় ভাবসঙ্গতি প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কাহিনী গড়ে উঠেছে এক কাপালিক-পালিতা নারী কপালকুণ্ডলার চারপাশে।
-
মূল ঘটনা: সামাজিক সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিতা নারীর নবকুমারের সঙ্গে বিয়ে এবং কপালকুণ্ডলার সমাজবদ্ধনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব।
-
কাহিনিতে থাকা রহস্য উদ্ঘাটনই উপন্যাসের প্রধান বিষয়।
-
কাহিনিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের সময়কার আগ্রার নগর ও স্থাপত্য, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্র।
-
প্রকৃতির সৌন্দর্য, রহস্যময়তা, কপালকুণ্ডলার চরিত্র এবং কাহিনির ট্র্যাজিক পরিণতি এই তিন কারণে উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম স্মরণীয় রচনা।
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
অন্য উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র
-
কৃষ্ণকান্তের উইল → রোহিনী
-
মৃণালিনী → হেমচন্দ্র, মনোরমা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago