কোনটি মৈমনসিংহ গীতিকায় স্থান পেয়েছে?
A
ভেলুয়া
B
দস্যু কেনারামের পালা
C
রতন ঠাকুর
D
আয়না বিবি
উত্তরের বিবরণ
মৈমনসিংহ গীতিকা বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে প্রচলিত প্রাচীন পালাগানের সংকলন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অনুরোধে চন্দ্রকুমার দে এগুলো সংগ্রহ করেন। পরে দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদনা করে ১৯২৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন। এ গ্রন্থটি বিষয়বস্তুর গভীরতা ও শিল্পগুণে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, শিক্ষিত সমাজকেও আকর্ষণ করে। মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে।
এ সংকলনে মোট ১০টি গীতিকা স্থান পেয়েছে—
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা
-
দেওয়ানা মদিনা
অন্যদিকে, পূর্ববঙ্গ-গীতিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে—
-
আয়না বিবি
-
রতন ঠাকুর
-
ভেলুয়া
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সরদার জয়েনউদ্দিন রচিত উপন্যাস?
Created: 1 month ago
A
নয়ান ঢুলি
B
বেলা ব্যানার্জীর প্রেম
C
অষ্টপ্রহর
D
অনেক সূর্যের আশা
‘অনেক সূর্যের আশা’ উপন্যাস দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পটভূমিতে সরদার জয়েনউদ্দীনের রচিত একটি কীর্তি। এই উপন্যাস তাঁকে খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা এনে দেয়।
সরদার জয়েনউদ্দীন সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
জন্ম: ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাটিতে এক কৃষক পরিবারে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
অনেক সূর্যের আশা
-
বেগম শেফালী মির্জা
-
রোদের ঢেউ
-
আদিগন্ত
তাঁর রচিত ছোটগল্পসমূহ:
-
নয়ান ঢুলি
-
খরস্রোত
-
বেলা ব্যানার্জীর প্রেম
-
অষ্টপ্রহর
0
Updated: 1 month ago
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন
B
প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়
C
ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী
D
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
সমাসের উদাহরণ ও সংজ্ঞা
-
দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস: ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী
-
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস: যে সমাসে ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন
-
হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ
-
ঝাল মিশ্রিত মুড়ি = ঝালমুড়ি
-
প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়
-
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
-
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
নীললোহিত
B
এইসব দিন রাত্রি
C
শবনম
D
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
উত্তর: গ) শবনম
‘শবনম’ একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যার রচয়িতা হলেন হুমায়ূন আহমেদ। এটি তাঁর সাহিত্যজীবনের অন্যতম প্রথম দিকের কাজ এবং বাংলা উপন্যাসে এক নতুন ধারার সূচনা ঘটিয়েছে। এই উপন্যাসে প্রেম, অনুভূতি ও সামাজিক বাস্তবতার এক মেলবন্ধন দেখা যায়, যা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
উপন্যাসটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো মানুষের মনের গভীরতম অনুভূতি, বিশেষত ভালোবাসা, হারানো ও প্রত্যাশার সংঘাত। হুমায়ূন আহমেদ এখানে সহজ, স্বচ্ছ ভাষায় জটিল মনস্তাত্ত্বিক আবেগকে তুলে ধরেছেন।
‘শবনম’ উপন্যাসটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে প্রেম ও মানবিক সম্পর্কের বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। লেখক অতিরিক্ত নাটকীয়তা পরিহার করে জীবনের সাধারণ কিন্তু গভীর অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেছেন।
-
ভাষা ও সংলাপ স্বাভাবিক ও কথ্যভঙ্গির, যা পাঠকের সঙ্গে তাত্ক্ষণিক সংযোগ সৃষ্টি করে।
-
লেখক চরিত্র নির্মাণে বিশেষ যত্ন নিয়েছেন। প্রতিটি চরিত্র জীবন্ত ও বাস্তব, যেন পাঠক তাদের চিনতে পারে নিজের জীবনে।
-
উপন্যাসে আধুনিক নগরজীবনের আবহ, একাকিত্ব ও মানসিক টানাপোড়েন নিপুণভাবে ফুটে উঠেছে।
-
হুমায়ূন আহমেদ এই রচনায় দেখিয়েছেন যে সাহিত্য হতে পারে সরল অথচ গভীর; এতে জীবনের রঙ, হাসি-কান্না, স্বপ্ন ও বাস্তবতা মিলেমিশে গেছে।
-
‘শবনম’ মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রেমকাহিনি, তবে এর মধ্যে লুকিয়ে আছে সামাজিক বার্তা ও মানবিক উপলব্ধি।
অন্যদিকে প্রশ্নে উল্লেখিত ‘নীললোহিত’, ‘এইসব দিন রাত্রি’ এবং ‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ উপন্যাস নয়। ‘নীললোহিত’ ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এক ছদ্মনাম; তিনি এই নামে গল্প লিখতেন। ‘এইসব দিন রাত্রি’ মূলত একটি টেলিভিশন নাটক, আর ‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ একটি চলচ্চিত্র যা নির্মাণ করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক।
তাই স্পষ্টভাবে বলা যায়, এখানে একমাত্র ‘শবনম’ই উপন্যাস, যা হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট সাহিত্যজগতে এক বিশেষ অবস্থান দখল করে আছে। এটি বাংলা সাহিত্যে প্রেমের নতুন ভাষা ও ভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে, যা এখনো পাঠকের হৃদয়ে অম্লান।
0
Updated: 1 week ago