'বেদান্তগ্রন্থ' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
উইলিয়াম কেরি
C
রামমোহন রায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তরের বিবরণ
‘বেদান্তগ্রন্থ’ ১৮১৫ সালে রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা হিসেবে রচিত হয়। বাংলাগদ্যের ইতিহাসে এর গুরুত্ব অসাধারণ। এই গ্রন্থে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি পৌত্তলিকতা নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য। এর ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রামমোহন রায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ হলো—
-
তিনি বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ। জন্মগ্রহণ করেন ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে।
-
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি প্রদান করেন এবং ব্রিটিশ রাজ ও পার্লামেন্টে পক্ষে ওকালতির জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।
-
২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে তিনি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তিনি শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩০টি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 2 months ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
ক্রীতদাসের হাসি
B
মাটি আর অশ্রু
C
হাঙর নদী গ্রেনেড
D
সারেং বউ
হাঙর নদী গ্রেনেড (উপন্যাস)
সেলিনা হোসেনের লেখা ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি আবেগঘন ও প্রতিবাদী উপন্যাস। গল্পটি হলদী গ্রামের এক বয়স্ক নারীর জীবনকে কেন্দ্র করে গড়া। এই মা নিজের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে উৎসাহিত করেন এবং একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষা করার জন্য নিজের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে দেন।
উপন্যাসে মা ও দেশের জন্য তার আত্মত্যাগের মহিমা ফুটে ওঠে। এছাড়া, উপন্যাসে বর্ণিত গ্রামটি যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রতীকী বাংলাদেশ হিসেবে উপস্থিত হয়।
উৎস: সেলিনা হোসেন, হাঙর নদী গ্রেনেড, সাহিত্য প্রকাশন, বাংলাদেশ।
0
Updated: 2 months ago
'গীতগোবিন্দম্' - গ্রন্থটি মধ্যযুগের কোন ধারার সাহিত্য?
Created: 1 month ago
A
বৈষ্ণব পদাবলি
B
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
C
মঙ্গলকাব্য
D
লোকসাহিত্য
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।
মুখ্য তথ্যসমূহ—
-
বাঙালি কবি জয়দেবকে বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা বা আদিকবি বলা হয়। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন, তবে এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
পরবর্তীতে বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন এবং তাঁকে ব্রজবুলি ভাষায় আদি কবি বলা হয়; তিনি অভিনব জয়দেব নামেও পরিচিত।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদাবলি রচনা করেন চণ্ডীদাস।
বৈষ্ণব পদাবলিতে পাঁচটি রস বিদ্যমান:
১. শান্তরস
২. দাস্যরস
৩. সখ্যরস
৪. বাৎসল্যরস
৫. মধুররস (শৃঙ্গার রস)
উৎস:
0
Updated: 1 month ago