European Environment Agency (EEA)- এর সদস্য দেশ কতটি? {সেপ্টেম্বর-২০২৫}
A
৩১টি
B
২৯টি
C
২৭টি
D
৩২টি
উত্তরের বিবরণ
ইউরোপীয় পরিবেশ সংস্থা (European Environment Agency):
-
কাজ: ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পরিবেশ বিষয়ক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা।
-
গঠন: ১৯৯৪ সাল।
-
সদর দপ্তর: কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক।
-
সদস্য: ৩২টি। [সেপ্টেম্বর-২০২৫]
-
সহযোগী দেশ: ৬টি।
0
Updated: 1 month ago
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 months ago
A
নিউইয়র্কে
B
রোমে
C
জেনেভায়
D
অটোয়ায়
FAO (Food and Agriculture Organization)
FAO হলো জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক একটি সংস্থা।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে কুইবেক, কানাডায়।
-
FAO জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৪৬ তারিখে।
-
এর সদর দপ্তর রয়েছে রোম, ইতালিতে।
-
বর্তমানে FAO-এর সদস্য সংখ্যা ১৯৫টি — এর মধ্যে ১৯৪টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রয়েছে।
-
বর্তমান মহাপরিচালক হচ্ছেন ড. কু ডংগিউ, যিনি চীনের নাগরিক।
FAO জাতিসংঘের ECOSOC (অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ)-এর অধীনে পরিচালিত হয়। সংস্থাটির প্রধান লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা দূর করা এবং সব মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা।
এই সংস্থার প্রতিষ্ঠার দিন ১৬ অক্টোবরকে বিশ্বজুড়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশ FAO-র সদস্যপদ লাভ করে ১২ নভেম্বর, ১৯৭৩ সালে।
তথ্যসূত্র: FAO এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
কোন দেশ প্রথম ওপেক (OPEC) সংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল?
Created: 5 months ago
A
কুয়েত
B
নাইজেরিয়া
C
সৌদি আরব
D
ভেনিজুয়েলা
OPEC এর পূর্ণরূপ হলো Organization of the Petroleum Exporting Countries — এটি একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা, যা পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত।
মূল উদ্দেশ্য:
OPEC-এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত নীতিমালা নির্ধারণ ও সমন্বয় সাধন এবং বৈশ্বিক তেলের দাম নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করা।
গঠনের ইতিহাস:
-
প্রস্তাবক দেশ: ভেনিজুয়েলা
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬০ সাল
-
প্রতিষ্ঠানস্থল: বাগদাদ, ইরাক
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা: ৫টি দেশ
-
ইরাক
-
ইরান
-
কুয়েত
-
সৌদি আরব
-
ভেনিজুয়েলা
-
সদরদপ্তর:
-
বর্তমান সদরদপ্তর: ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
-
১৯৬৫ সালের পূর্বে: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
বর্তমান সদস্য দেশসমূহ (১২টি):
-
আলজেরিয়া
-
কঙ্গো
-
নিরক্ষীয় গিনি
-
গ্যাবন
-
ইরান
-
ইরাক
-
কুয়েত
-
লিবিয়া
-
নাইজেরিয়া
-
সৌদি আরব
-
সংযুক্ত আরব আমিরাত
-
ভেনিজুয়েলা
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ অ্যাঙ্গোলা, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মতবিরোধের কারণে ১ জানুয়ারি ২০২৪-এ OPEC থেকে বেরিয়ে গেছে।
উৎস: OPEC ওয়েবসাইট
0
Updated: 5 months ago
বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোক্তা এর প্রস্তাবক হচ্ছে -
Created: 2 weeks ago
A
চীন
B
জাপান
C
ডেনমার্ক
D
সুইডেন
বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (Global Development Initiative - GDI) হলো চীনের প্রস্তাবিত একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ধারণা, যা বিশ্বের সার্বিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগটি মূলত এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে চায় যেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক সংযুক্তিকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।
-
বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই)-এর প্রস্তাবক দেশ হলো চীন। এটি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, যার মূল লক্ষ্য হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা ও উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করা।
-
জিডিআই ধারণার মূল ভিত্তি হলো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া, বিশেষত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) বাস্তবায়নে গতি আনা এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলা।
-
এই উদ্যোগে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ মোট আটটি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
-
জিডিআই-এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সংযোগ বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক উন্নয়ন ব্যবধান কমিয়ে আনা।
বাংলাদেশ ও জিডিআই:
চীন বাংলাদেশের সঙ্গে এই উদ্যোগে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন বাংলাদেশকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই)-এর সঙ্গে যুক্ত করতে চায়।
-
এ লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU) সইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।
-
সহযোগিতার মূল ক্ষেত্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও ডিজিটাল সংযুক্তি।
-
চীনের মতে, এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেবে।
সব মিলিয়ে, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (GDI) হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কাঠামো যা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি ন্যায়সঙ্গত, ভারসাম্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক উন্নয়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশও তার উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে নতুন সুযোগ পেতে পারে।
0
Updated: 2 weeks ago