অর্থতত্ত্বকে আর কী বলা হয়?
A
বাক্যতত্ত্ব
B
বাগার্থতত্ত্ব
C
রূপতত্ত্ব
D
ধ্বনিতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
• অর্থতত্ত্ব:
- ব্যাকরণের যে অংশে শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেই অংশের নাম অর্থতত্ত্ব।
- একে বাগর্থতত্ত্বও বলা হয়।
• আলোচ্য বিষয়:
- বিপরীত শব্দ,
- প্রতিশব্দ,
- শব্দজোড়,
- বাগ্ধারা
- শব্দ,
- বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা, ইত্যাদি।

0
Updated: 13 hours ago
কোনটি অনুবর্ণের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 week ago
A
অর্ধস্বর অর্ধস্বর
B
অর্ধস্বর
C
দ্বিস্বর
D
বর্ণসংক্ষেপ
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপ: অনুবর্ণ
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপকে অনুবর্ণ বলা হয়। অনুবর্ণের মধ্যে প্রধানত তিনটি ধরন রয়েছে: ফলা, রেফ এবং বর্ণসংক্ষেপ।
ফলা
-
ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু সংক্ষিপ্ত রূপ অন্য ব্যঞ্জনের নিচে বা ডান পাশে ঝুলে থাকে। এধরনের রূপগুলোকে ফলা বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
ন-ফলা
-
ব-ফলা
-
ম-ফলা
-
য-ফলা
-
র-ফলা
-
ল-ফলা
-
রেফ
-
রেফ হলো র-এর একটি অনুবর্ণ।
-
এটি মূলত অন্য ব্যঞ্জনের উপরে বসে র-এর সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশ করে।
বর্ণসংক্ষেপ
-
যুক্তবর্ণ লেখার সময় কখনও কখনও ব্যঞ্জনবর্ণকে সংক্ষেপে লেখা প্রয়োজন হয়।
-
এই সংক্ষিপ্ত রূপগুলোকে বর্ণসংক্ষেপ বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
ৎ বর্ণটি ত-এর একটি বর্ণসংক্ষেপ, যা বাংলা বর্ণমালায় স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে স্বীকৃত।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
পুরুষ বা স্ত্রী নির্দেশক সূত্রকে ব্যাকরণে কী বলে?
Created: 1 week ago
A
বচন
B
লিঙ্গ
C
বাক্য
D
বাগর্থ
যে সকল শব্দ দ্বারা পুরুষ, স্ত্রী ও অচেতন বস্তুকে চিহ্নিত করা যায়, তাকে লিঙ্গ বলে। লিঙ্গ চার প্রকার যথা- 1. পুংলিঙ্গ 2. স্ত্রীলিঙ্গ 3. ক্লীবলিঙ্গ 4. উভয় লিঙ্গ লিঙ্গ প্রসঙ্গে আর একটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে—কেবলমাত্র প্রাণীবাচক শব্দগুলি পুংলিঙ্গ অথবা স্ত্রীলিঙ্গের পর্যায়ে পড়ে।
অপ্রাণীবাচক শব্দ ক্লীবলিগের অন্তর্গত। সংস্কৃত ব্যাকরণে উভয় লিঙ্গ বলে কোন কিছু নেই; কিন্তু ইংরেজি ব্যাকরণে Common Gender অর্থাৎ উভয় লিঙ্গ আছে।

0
Updated: 1 week ago
'লাপাত্তা' শব্দের 'লা' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
Created: 3 months ago
A
আরবি ভাষা থেকে
B
ফরাসি ভাষা থেকে
C
হিন্দি ভাষা থেকে
D
উর্দু ভাষা থেকে
না বা অভাবসূচক ‘লা’ আরবি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ‘না’ বা অভাব বোঝাতে ব্যবহৃত ‘লা’ উপসর্গটি আরবি ভাষা থেকে আগত। এটি মূলত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বা অভাবের অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
লাপাত্তা (অদৃশ্য বা হারিয়ে যাওয়া)
-
লাজওয়াব (যার সমতুল্য নেই)
-
লাখেরাজ (জ্বরের এক ধরনের)
-
লাওয়ারিশ (যার কোনো দায়বদ্ধ ব্যক্তি নেই)
বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গের প্রভাব
বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত হয়ে প্রচলিত। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি উপসর্গও বাংলা শব্দের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদেশি উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ:
-
আরবি উপসর্গ:
যেমন - আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
এগুলো সাধারণত শব্দের অর্থ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। -
ফারসি উপসর্গ:
যেমন - কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
ফারসির উপসর্গগুলো বাংলায় বিভিন্ন ভাববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। -
উর্দু উপসর্গ:
যেমন - হর।
এটি বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দে ব্যবহৃত হয়। -
ইংরেজি উপসর্গ:
যেমন - হেড, সাব, ফুল, হাফ।
আধুনিক ইংরেজি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলা ভাষা একটি বহুভাষিক মিশ্রণ যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ ও শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাষাসমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দের অর্থ ও গঠনকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এবং ভাষাকে আরও প্রাঞ্জল ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 months ago