নিচের কোনটি সাধু ভাষায় ব্যবহার উপযোগী নয়?
A
গল্প লেখা
B
কবিতা লেখা
C
প্রবন্ধ লেখা
D
বক্তৃতা দেওয়া
উত্তরের বিবরণ
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য:
-
সাধু ভাষার রূপ অপরিবর্তনীয়; অঞ্চল বা সময়ের সঙ্গে কোনো পরিবর্তন হয় না।
-
এটি ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে, এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট থাকে।
-
সাধু ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি, ফলে ভাষায় আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য থাকে।
-
সাধু ভাষারীতি মূলত লিখিত রূপে ব্যবহৃত হয়; কথ্য ভাষা, বক্তৃতা বা ভাষণে ব্যবহার উপযোগী নয়।
-
এতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নে বর্ণিত কোনটি ভাষার গুণ নয়?
Created: 1 month ago
A
আকাঙ্ক্ষা
B
যোগ্যতা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
বাক্য
-
যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে বাক্য বলা হয়।
-
কয়েকটি পদ একত্রিত হলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্য হয় না।
-
বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বা অন্বয় থাকা আবশ্যক।
-
এছাড়াও বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহ মিলিতভাবে একটি অখণ্ড ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে হবে।
ভাষার বিচারে বাক্যের তিনটি গুণ:
১. আকাঙ্ক্ষা:
-
বাক্যের অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা।
২. আসত্তি:
-
মনোভাব প্রকাশের জন্য পদসমূহ এমনভাবে সাজানো যাতে বাক্যের অর্থ ও ভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়।
৩. যোগ্যতা:
-
বাক্যের পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মিলবন্ধন।
-
উদাহরণ: "বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়।" — এখানে পদসমূহের অর্থ ও ভাব একত্রে সমন্বিত।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ব্যঞ্জন বিকৃতি'র উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
করিয়া > করে
B
ফলাহার > ফলার
C
ধাইমা > দাইমা
D
ফাল্গুন > ফাগুন
ব্যঞ্জন বিকৃতি হলো এমন ধ্বনিগত প্রক্রিয়া, যেখানে শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত উচ্চারণের স্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে ঘটে।
-
উদাহরণ:
-
কবাট → কপাট
-
ধােবা → ধােপা
-
ধাইমা → দাইমা
-
অন্য ধ্বনিগত পরিবর্তনের উদাহরণ:
-
অন্তর্হতি: ফাল্গুন → ফাগুন, ফলাহার → ফলার
-
অভিশ্রুতি: করিয়া → করে
0
Updated: 1 month ago
'আলোছায়া' শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বন্দ্ব সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
দ্বন্দ্ব সমাস
সংজ্ঞা
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ সমান প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
বৈশিষ্ট্য
-
প্রতিটি পদের অর্থ সমানভাবে রক্ষিত হয়।
-
ব্যাসবাক্যে (পূর্ণ বাক্যে) “এবং / ও / আর” ইত্যাদি অব্যয় দ্বারা সম্পর্ক প্রকাশ পায়।
উদাহরণ
-
আলো + ছায়া → আলোছায়া (আলো ও ছায়া)
-
তাল + তমাল → তালতমাল (তাল ও তমাল)
-
দোয়াত + কলম → দোয়াতকলম (দোয়াত ও কলম)
-
মাতা + পিতা → মাতাপিতা (মাতা ও পিতা)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ
0
Updated: 2 months ago