নিচের কোনটি বাক্-প্রত্যঙ্গ নয়?
A
নাক
B
ঠোঁট
C
জিহ্বা
D
কান
উত্তরের বিবরণ
ধ্বনি:
ধ্বনি হলো ভাষার সেই ক্ষুদ্র একক যা উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা যায়।
-
ধ্বনির সঙ্গে সরাসরি অর্থের কোনো সম্পর্ক নেই।
-
ধ্বনি তৈরি হয় বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে।
-
ধ্বনি তৈরিতে যেসব বাক্-প্রত্যঙ্গ সহায়তা করে, সেগুলো হলো: ফুসফুস, গলনালি, জিহ্বা, তালু, মাড়ি, দাঁত, ঠোঁট, নাক ইত্যাদি।
-
মানুষ ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করে।
-
ফুসফুস থেকে বাতাস বের হওয়ার সময় মুখে বিভিন্ন ধরনের ধ্বনি সৃষ্টি হয়।
-
তবে সব ধ্বনিই সব ভাষায় ব্যবহৃত হয় না।
0
Updated: 1 month ago
শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
Created: 1 month ago
A
দুই ভাগে
B
তিন ভাগে
C
চার ভাগে
D
পাঁচ ভাগে
শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমষ্টিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যা শব্দের অর্থ ও প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
১. যৌগিক শব্দ:
যেসব শব্দের অর্থ তাদের প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাদের যৌগিক শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
কৃ + তব্য = কর্তব্য, অর্থ: যা করা উচিত।
-
বাবু + আনা = বাবুয়ানা, অর্থ: যিনি বাবুর ভাব নিয়ে চলেন।
২. রূঢ় বা রূঢ়ী শব্দ:
যেসব শব্দের অর্থ তাদের প্রকৃতি বা প্রত্যয়ের মূল অর্থের সঙ্গে মিলিত না হয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে রূঢ় বা রূঢ়ী শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
সন্দেশ শব্দের মূল অর্থ হলো ‘সংবাদ’, ব্যবহারিক অর্থ হলো ‘মিষ্টান্ন’।
-
চিকন শব্দের মূল অর্থ ‘চকচকে’, ব্যবহারিক অর্থ হলো ‘সরু’।
৩. যোগরূঢ় শব্দ:
সমাসনিষ্পন্ন শব্দ যাদের ব্যাসবাক্যের কোনো অর্থ প্রকাশ না করে, বরং তৃতীয় কোনো অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে যোগরূঢ় শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
জলদ: মূল অর্থ ‘যে জল দেয়’, ব্যবহারিক অর্থ হলো ‘মেঘ’।
-
পঙ্কজ: শব্দের অর্থ ‘যা পঙ্কে জন্মে’, ব্যবহারিক অর্থ হলো ‘পদ্ম’।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার মূল উৎস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
কানাড়ি ভাষা
B
বৈদিক ভাষা
C
প্রাকৃত ভাষা
D
হিন্দি ভাষা
বাংলা ভাষার উৎস নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানীরা একমত যে বাংলা মূলত ভারতীয় আর্যভাষা পরিবারের অন্তর্গত।
-
বৈদিক সংস্কৃত থেকে ধীরে ধীরে নানা আঞ্চলিক রূপ তৈরি হয়।
-
সেখান থেকে জন্ম নেয় প্রাকৃত ভাষা।
-
প্রাকৃত ভাষার সহজতর রূপ হলো আপভ্রংশ ভাষা।
-
এই আপভ্রংশ ভাষার ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্য দিয়েই ৭ম–১০ম শতকের দিকে বাংলা ভাষার আদিরূপ গড়ে ওঠে।
অতএব, বাংলা ভাষার মূল উৎস হলো প্রাকৃত ভাষা।
👉 অন্যান্য বিকল্প:
-
ক) কানাড়ি ভাষা → এটি দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
-
খ) বৈদিক ভাষা → বাংলা সরাসরি বৈদিক ভাষা থেকে নয়, বরং প্রাকৃত–আপভ্রংশ হয়ে এসেছে।
-
ঘ) হিন্দি ভাষা → হিন্দি ও বাংলা উভয়ই আলাদা আলাদা ভাবে আপভ্রংশ ভাষা থেকে উদ্ভূত, তাই বাংলা হিন্দি থেকে আসে নি।
0
Updated: 2 months ago
‘-অক’ প্রত্যয়ের পরিবর্তে নারীবাচক শব্দে কোন প্রত্যয় বসে?
Created: 1 month ago
A
-নী
B
-আনী
C
-ইকা
D
-মতী
নারীবাচক শব্দ গঠন:
নরবাচক শব্দকে নারীবাচক করতে সাধারণত কিছু প্রত্যয় যোগ করা হয়।
-
‘-অক’ → ‘-ইকা’:
'-অক' প্রত্যয় দিয়ে গঠিত নরবাচক শব্দকে নারীবাচক করার সময় 'অক'-এর পরিবর্তে ‘-ইকা’ বসে।-
উদাহরণ: পাঠক → পাঠিকা, লেখক → লেখিকা, গায়ক → গায়িকা
-
-
‘আনী’ প্রত্যয়:
-
উদাহরণ: ইন্দ্র → ইন্দ্রাণী, শূদ্র → শূদ্রাণী
-
-
‘নী’ প্রত্যয়:
-
উদাহরণ: দুঃখী → দুঃখিনী, শ্বেতাঙ্গ → শ্বেতালিনী
-
-
‘মতী’ প্রত্যয়:
-
উদাহরণ: আয়ুম্মান → আয়ুষ্মতী, বুদ্ধিমান → বুদ্ধিমতী
-
0
Updated: 1 month ago