নিচের কোনটি স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ?
A
দ্ম
B
ন্ধ
C
ভ্র
D
ট্ট
উত্তরের বিবরণ
• স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ: দ্ম ( দ্ + ম)।
• অন্যদিকে,
- অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ:
ন্ধ= ন্ + ধ,
ভ্র = ভ্ + র
ট্ট = ট্ + ট।
উল্লেখ্য,
• যুক্তবর্ণ:
- একাধিক বর্ণ যুক্ত হয়ে যুক্তবর্ণ তৈরি হয়। যুক্ত হওয়া বর্ণগুলোকে দেখে কখনো সহজে চেনা যায়, কখনো সহজে চেনা যায় না।
এদিক দিয়ে যুক্তবর্ণ দুই রকম: স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ।

0
Updated: 13 hours ago
বাংলা ভাষায় মৌলিক ধ্বনির সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 week ago
A
১০টি
B
৩০টি
C
৩৭টি
D
২৫টি
বাংলা ভাষায় মোট ৩৭টি মৌলিক ধ্বনি রয়েছে, যেগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়: স্বরধ্বনি এবং ব্যঞ্জনধ্বনি।
-
মৌলিক স্বরধ্বনি: বাংলা ভাষায় ৭টি মৌলিক স্বরধ্বনি আছে।
উদাহরণ: ই, এ, অ্যা, আ, অ, ও, উ। -
মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি: বাংলা ভাষায় ৩০টি মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে।

0
Updated: 1 week ago
'রাজু পুস্তক পাঠ করছে।' বাক্যটির কর্মবাচ্যে রূপ হবে-
Created: 16 hours ago
A
রাজু কর্তৃক পুস্তক পাঠ হচ্ছে।
B
রাজু কর্তৃক পুস্তক পঠিত হচ্ছে।
C
রাজু কর্তৃক পুস্তক পাঠ্য হচ্ছে।
D
পুস্তক কর্তৃক রাজু পঠিত হচ্ছে।
• কর্তৃবাচ্য: রাজু পুস্তক পাঠ করছে।
• কর্মবাচ্য: রাজু কর্তৃক পুস্তক পঠিত হচ্ছে।
------------------------------------------
• কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
- কর্তৃবাচ্যের বাক্যকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে-
- কর্তায় তৃতীয়া , কর্মে প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি এবং ক্রিয়া কর্মের অনুসারী হয়।
যেমন:
• কর্তৃবাচ্য: বিদ্বানকে সকলেই আদর করে।
• কর্মবাচ্য: বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হন।
• কর্তৃবাচ্য: খোদাতায়ালা বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন।
• কর্মবাচ্য: বিশ্বজগৎ খোদাতায়ালা কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে।

0
Updated: 16 hours ago
গৌড়ী প্রাকৃত বলতে বোঝায়-
Created: 2 days ago
A
গৌড় অঞ্চলের মুখের ভাষা
B
গৌড় সাহিত্যের স্বাভাবিক রীতি
C
গৌড় ভাষার লিখিত নমুনা
D
গৌড় ভাষার বিকৃত উচ্চারণ
গৌড়ী প্রাকৃত বলতে বোঝানো হয় গৌড় অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। বাংলা ভাষার উৎপত্তি নিয়ে গবেষকদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে গৌড় অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা থেকে, যাকে বলা হয় গৌড়ীয় প্রাকৃত। তিনি মনে করেন, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে অর্থাৎ প্রায় ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে গৌড়ীয় অপভ্রংশ হয়ে বঙ্গকামরূপী ভাষার মাধ্যমে বাংলা ভাষার জন্ম হয়। তাঁর মতে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি সরাসরি সংস্কৃত থেকে হয়নি।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা ভাষার উৎস মগধ অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা, অর্থাৎ মাগধী প্রাকৃত। তিনি বলেন, খ্রিষ্টীয় দশম শতকে, অর্থাৎ প্রায় ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মাগধী অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়।
-
তুলনা করলে দেখা যায়, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন বাংলা ভাষার জন্ম সপ্তম শতকে (প্রায় ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে), আর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মনে করেন দশম শতকে (প্রায় ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে) এর উৎপত্তি হয়েছে।
বাংলা ভাষার বিকাশকে প্রধানত তিন যুগে ভাগ করা হয়:
১। প্রাচীন যুগ: ৬৫০ (মতান্তরে ৭৫০) থেকে ১২০০ সাল পর্যন্ত
২। মধ্যযুগ: ১২০০ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত
৩। আধুনিক যুগ: ১৮০০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত
এর মধ্যে ১২০১ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত সময়কে সন্ধিযুগ বা অন্ধকার যুগ হিসেবে ধরা হয়।
বাংলা ভাষা বিবর্তনের রূপরেখা-

0
Updated: 2 days ago