জাতিসংঘের মতে সুশাসনের কয়টি উপাদান রয়েছে?
A
চারটি
B
পাঁচটি
C
সাতটি
D
আটটি
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের উপাদানগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দার্শনিকদের মতে ভিন্নভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো মূলত সরকারের কার্যক্রম, জনগণের অংশগ্রহণ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে মনোনিবেশ করে।
-
জাতিসংঘ (UN) অনুযায়ী সুশাসনের ৮টি উপাদান:
-
অংশগ্রহণ
-
আইনের শাসন
-
স্বচ্ছতা
-
সহানুভূতিশীলতা
-
ঐক্যমতাভিত্তিকতা
-
ন্যায়বিচার
-
কার্যকারিতা
-
জবাবদিহিতা
-
-
অন্যান্য সংস্থার সংজ্ঞা:
-
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ADB): ৪টি মূল উপাদান
-
UNDP: ৯টি উপাদান
-
আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংক (AFDB): ৫টি উপাদান
-
UNHCR: ৫টি উপাদান
-
বিশ্বব্যাংক: ৬টি উপাদান
-
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমিতি (IDA): ৬টি উপাদান
-
প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ কৌটিল্য: ৪টি উপাদান
-
এভাবে বিভিন্ন সংস্থা ও দার্শনিক সুশাসনের উপাদান চিহ্নিত করেছেন, যা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 1 month ago
সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক কারা ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
প্লেটো, এরিস্টটল, সিসারো
B
মেকিয়াভেলি, মন্টেস্কু, কান্ট
C
সক্রেটিস, এরিস্টটল, সেন্ট অগাস্টিন
D
হবস্, লক ও রুশো
সামাজিক চুক্তি মতবাদ
-
এ মতবাদের মূলকথা হলো—সমাজে বসবাসকারী জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।
-
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক টমাস হবস্ ও জন লক এবং ফরাসি দার্শনিক জ্যাঁ জ্যাক রুশো সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক ছিলেন।
-
এ মতবাদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বসবাস করত।
-
তারা প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলত এবং প্রাকৃতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত।
-
কিন্তু প্রকৃতির রাজ্যে আইন অমান্য করলে শাস্তি দেওয়ার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না।
-
ফলে সামাজিক জীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
-
মানুষ হয়ে উঠে স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক; দুর্বলের উপর চলে সবলের অত্যাচার।
-
এ কারণে মানুষের জীবন কষ্টকর ও দুর্বিষহ হয়ে উঠে।
-
এছাড়া, প্রকৃতির রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তির আকাঙ্ক্ষা ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
-
প্রকৃতির রাজ্যের এ অরাজকতাপূর্ণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি করে এবং নিরাপত্তার বিনিময়ে নিজেদের উপর শাসন করার জন্য স্থায়ীভাবে শাসকের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
'Greatest Happiness Principle’-এই নীতির প্রবক্তা কে?
Created: 1 month ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
রুশোঁ
C
সক্রেটিস
D
জেরেমি বেন্থাম
গ্রেটেস্ট হ্যাপিনেস প্রিন্সিপল এমন এক নৈতিক দর্শন যা সমাজের সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সর্বাধিক সুখ নিশ্চিত করাকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ধরে। এই তত্ত্বের সূত্রপাত করেন জেরেমি বেন্থাম, পরে জন স্টুয়ার্ট মিল একে আরও পরিমার্জিত করেন। নীতিটি মূলত মানব নৈতিকতা ও আইনকে এমনভাবে পরিচালিত করার পরামর্শ দেয় যাতে ব্যক্তিগত নয়, সামষ্টিক মঙ্গলই প্রধান বিবেচ্য হয়। এই ধারণা উপযোগবাদ (Utilitarianism) নামেও পরিচিত।
-
জেরেমি বেন্থাম ও নীতি
-
ব্রিটিশ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, আইনবিদ ও আইন সংস্কারক হিসেবে তিনি আধুনিক উপযোগবাদের প্রতিষ্ঠাতা।
-
তাঁর প্রচারিত সুখবাদকে বলা হয় অসংযত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদ (Gross Utilitarianism)।
-
তিনি মনস্তাত্ত্বিক সুখবাদ (Psychological Hedonism) ও আত্মসুখবাদ (Egoism) সমর্থন করলেও শেষ পর্যন্ত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদের দিকেই গুরুত্ব দেন।
-
সুখের গুণগত পার্থক্য তিনি স্বীকার করেননি, তাই তাঁর মতে “Quantity of pleasures being equal, pushpin is as good as poetry”, অর্থাৎ পরিমাণ সমান হলে শারীরিক খেলার আনন্দ ও কবিতা পাঠের আনন্দ সমান।
-
সুখের মাত্রা নির্ধারণে তিনি সাতটি মানদণ্ডের কথা বলেন: তীব্রতা, স্থায়িত্ব, নৈকট্য, নিশ্চয়তা, বিশুদ্ধি, উর্বরতা ও বিস্তৃতি।
-
-
জন স্টুয়ার্ট মিলের অবদান
-
পিতা জেমস মিল ও বেন্থামের ধারণাকে ভিত্তি করে তিনি নীতি পুনর্লিখন করেন।
-
মিল বলেন, মূর্খের সহজ আনন্দের চেয়ে সক্রেটিসের মতো জ্ঞানীর উচ্চতর সুখ অধিক মূল্যবান।
-
তিনি সুখের গুণগত পার্থক্যকে গুরুত্ব দেন এবং বৌদ্ধিক উন্নয়ন, নৈতিকতা ও সমাজের সামগ্রিক মঙ্গলকে প্রাধান্য দেন।
-
0
Updated: 1 month ago
'An Introduction to Ethics' গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
Created: 1 month ago
A
উইলিয়াম লিলি
B
ইমানুয়েল কান্ট
C
জি. ই. ম্যুর
D
ম্যাকরনি
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণ এবং তার নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণের বিজ্ঞান। এটি মানুষের আচরণের রীতিনীতি ও নৈতিক দিক বিশ্লেষণ করে এবং নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
-
নীতিবিদ্যা এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Ethics।
-
নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং আদর্শ নির্ধারণ করা।
-
নীতিবিদ্যাকে মানুষের আচরণের রীতিনীতি সম্পর্কিত বিজ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উল্লেখযোগ্য:
-
নীতিবিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ বই 'An Introduction to Ethics' এর লেখক হলেন উইলিয়াম লিলি।
-
এই বইটি নীতিশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে গণ্য হয়।
-
গ্রন্থে লিলি নৈতিকতার মৌলিক ধারণা, বিভিন্ন নৈতিক তত্ত্ব এবং তাদের ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
-
উইলিয়াম লিলি এই বইয়ে নীতিবিদ্যা সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, "নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।"
0
Updated: 1 month ago