সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোনটি?
A
স্বৈরাচার
B
গোপনীয়তা
C
দমন-পীড়ন
D
স্বচ্ছতা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, যা সামাজিক ন্যায়-বিচার ও বহুত্ববাদের সাথে সংযুক্ত। সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
সুশাসনের উপাদানসমূহ:
-
গণতন্ত্র
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বচ্ছতা
-
বৈধতা
-
দায়িত্বশীলতা
-
জবাবদিহিতা
-
জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্যতা
-
স্বাধীন প্রচার মাধ্যম
-
অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া
-
আইনের শাসন
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
জনবান্ধব প্রশাসন
-
সততা
-
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
-
সুশীল সমাজ দক্ষতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
-
বিকেন্দ্রীকরণ
-
লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি
-
প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতা
-

0
Updated: 14 hours ago
কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
Created: 3 days ago
A
ধর্ম শিক্ষা
B
C
মূল্যবোধ শিক্ষা
D
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ভূমিকা অপরিসীম। সুশাসন কেবল প্রশাসনিক দক্ষতা বা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের উপর নির্ভর করে না; এটি এমন মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়ায় যা ব্যক্তি ও সমাজকে ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
-
সুশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী হলো স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা।
-
এই গুণাবলী মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
-
এটি ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসনের ভিত্তি তৈরি করে।
-
সুতরাং, মূল্যবোধ শিক্ষা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।
অন্যদিকে:
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সহায়ক হতে পারে, তবে এটি সুশাসনের একমাত্র পূর্বশর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের জন্য সহায়ক হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক কার্যক্ষমতা বাড়ায়, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ব্যতীত সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না।

0
Updated: 3 days ago
মানুষ জন্মের পর থেকেই কী শিখতে শুরু করে?
Created: 2 weeks ago
A
নৈতিকতা
B
সংস্কৃতি
C
মূল্যবোধ
D
নীতি
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে। অর্থাৎ মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ ভুল ও শুদ্ধ, ভালো ও মন্দ পার্থক্য করতে পারে।
-
এটি হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী মানদণ্ড ও নীতি।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে আরও সুদৃঢ় করা যায়।
-
মানুষ জন্মের পর থেকেই মূল্যবোধ শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা আমৃত্যু অব্যাহত থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরণ ও প্রভাবেও পরিবর্তন আসে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথমপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 weeks ago
'অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন' উক্তিটি করেছেন -
Created: 2 days ago
A
ডাইসি
B
স্পেনসার
C
লাস্কি
D
কোল
সাম্যের প্রকারভেদ বিভিন্ন রকমের হতে পারে, যেমন: সামাজিক সাম্য, রাজনৈতিক সাম্য, অর্থনৈতিক সাম্য, এবং আইনগত সাম্য।
-
অর্থনৈতিক সাম্য:
-
অর্থনৈতিক সাম্যের অর্থ সকল সম্পদ সবার মাঝে সমানভাবে ভাগ করা নয়।
-
এটি বোঝায়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল নাগরিককে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ্যতা অনুযায়ী সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
-
প্রত্যেকের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার ও ন্যায্য মজুরি পাওয়ার সুযোগ অর্থনৈতিক সাম্যের অংশ।
-
উদাহরণ: বেকারত্ব থেকে মুক্তি, বৈধ পেশা গ্রহণ ইত্যাদি।
-
কোল এর মতে, “অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।”
-

0
Updated: 2 days ago