সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোনটি?
A
স্বৈরাচার
B
গোপনীয়তা
C
দমন-পীড়ন
D
স্বচ্ছতা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, যা সামাজিক ন্যায়-বিচার ও বহুত্ববাদের সাথে সংযুক্ত। সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
সুশাসনের উপাদানসমূহ:
-
গণতন্ত্র
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বচ্ছতা
-
বৈধতা
-
দায়িত্বশীলতা
-
জবাবদিহিতা
-
জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্যতা
-
স্বাধীন প্রচার মাধ্যম
-
অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া
-
আইনের শাসন
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
জনবান্ধব প্রশাসন
-
সততা
-
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
-
সুশীল সমাজ দক্ষতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
-
বিকেন্দ্রীকরণ
-
লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি
-
প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতা
-
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের মতে সুশাসনের কয়টি উপাদান রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চারটি
B
পাঁচটি
C
সাতটি
D
আটটি
সুশাসনের উপাদানগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দার্শনিকদের মতে ভিন্নভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো মূলত সরকারের কার্যক্রম, জনগণের অংশগ্রহণ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে মনোনিবেশ করে।
-
জাতিসংঘ (UN) অনুযায়ী সুশাসনের ৮টি উপাদান:
-
অংশগ্রহণ
-
আইনের শাসন
-
স্বচ্ছতা
-
সহানুভূতিশীলতা
-
ঐক্যমতাভিত্তিকতা
-
ন্যায়বিচার
-
কার্যকারিতা
-
জবাবদিহিতা
-
-
অন্যান্য সংস্থার সংজ্ঞা:
-
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ADB): ৪টি মূল উপাদান
-
UNDP: ৯টি উপাদান
-
আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংক (AFDB): ৫টি উপাদান
-
UNHCR: ৫টি উপাদান
-
বিশ্বব্যাংক: ৬টি উপাদান
-
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমিতি (IDA): ৬টি উপাদান
-
প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ কৌটিল্য: ৪টি উপাদান
-
এভাবে বিভিন্ন সংস্থা ও দার্শনিক সুশাসনের উপাদান চিহ্নিত করেছেন, যা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 1 month ago
সামাজিক চুক্তি মতবাদের মূল বক্তব্য কী?
Created: 1 month ago
A
ধর্মীয় বিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে
B
সামরিক শক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে
C
জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে
D
রাষ্ট্র শাসকের ইচ্ছায় সৃষ্টি হয়েছে
সামাজিক চুক্তি মতবাদ
-
এ মতবাদের মূলকথা হলো—সমাজে বসবাসকারী জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে
-
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক টমাস হবস্ ও জন লক এবং ফরাসি দার্শনিক জ্যাঁ জ্যাক রুশো সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক ছিলেন
-
এ মতবাদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বসবাস করত
-
তারা প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলত এবং প্রাকৃতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত
-
কিন্তু প্রকৃতির রাজ্যে আইন অমান্য করলে শাস্তি দেওয়ার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না
-
ফলে সামাজিক জীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়
-
মানুষ হয়ে উঠে স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক; দুর্বলের উপর চলে সবলের অত্যাচার
-
এ কারণে মানুষের জীবন কষ্টকর ও দুর্বিষহ হয়ে উঠে
-
এছাড়া, প্রকৃতির রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তির আকাঙ্ক্ষা ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়
-
প্রকৃতির রাজ্যের এ অরাজকতাপূর্ণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি করে এবং নিরাপত্তার বিনিময়ে নিজেদের উপর শাসন করার জন্য স্থায়ীভাবে শাসকের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
'An Introduction to Ethics' গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
Created: 1 month ago
A
উইলিয়াম লিলি
B
ইমানুয়েল কান্ট
C
জি. ই. ম্যুর
D
ম্যাকরনি
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণ এবং তার নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণের বিজ্ঞান। এটি মানুষের আচরণের রীতিনীতি ও নৈতিক দিক বিশ্লেষণ করে এবং নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
-
নীতিবিদ্যা এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Ethics।
-
নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং আদর্শ নির্ধারণ করা।
-
নীতিবিদ্যাকে মানুষের আচরণের রীতিনীতি সম্পর্কিত বিজ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উল্লেখযোগ্য:
-
নীতিবিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ বই 'An Introduction to Ethics' এর লেখক হলেন উইলিয়াম লিলি।
-
এই বইটি নীতিশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে গণ্য হয়।
-
গ্রন্থে লিলি নৈতিকতার মৌলিক ধারণা, বিভিন্ন নৈতিক তত্ত্ব এবং তাদের ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
-
উইলিয়াম লিলি এই বইয়ে নীতিবিদ্যা সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, "নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।"
0
Updated: 1 month ago