নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে সাধারণত কোন প্রকার বৃষ্টিপাত দেখা যায়?
A
ঘূর্ণি বৃষ্টি
B
বায়ুপ্রাচীরজনিত বৃষ্টি
C
পরিচলন বৃষ্টি
D
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
উত্তরের বিবরণ
বিভিন্ন ধরনের বৃষ্টিপাত তাদের উৎপত্তি ও প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। প্রধান বৃষ্টিপাতের ধরনগুলো হলো বায়ুপ্রাচীরজনিত বৃষ্টি, ঘূর্ণি বৃষ্টি, শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি এবং পরিচলন বৃষ্টি।
-
বায়ুপ্রাচীরজনিত বৃষ্টি (Frontal Rain):
-
শীতল ও উষ্ণ বায়ু মুখোমুখি অবস্থানে থাকলে তারা সরাসরি মিশে না গিয়ে মধ্যবর্তী এলাকায় অদৃশ্য বায়ুপ্রাচীর (Front) তৈরি করে।
-
শীতল বায়ুর সংস্পর্শে উষ্ণ বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায়, ফলে শিশিরাঙ্ক তৈরি হয়।
-
উভয় বায়ুর সংযোগস্থলে বৃষ্টিপাত ঘটে, যা মূলত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায়।
-
-
ঘূর্ণি বৃষ্টি (Cyclonic Rain):
-
কোনো অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলে নিম্নচাপ কেন্দ্র গঠিত হলে, জলভাগের উপর থেকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু এবং স্থলভাগের উপর থেকে শীতল ও শুষ্ক বায়ু ঐ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
শীতল বায়ু ভারী হওয়ায় উষ্ণ বায়ু শীতল বায়ুর ওপর দিয়ে উঠে যায়।
-
উষ্ণ বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিতে পরিণত হয়।
-
-
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি (Orographic Rain):
-
জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু যখন উঁচু পর্বতের পথে বাধা পায়, তখন বায়ু উপরের দিকে উঠতে বাধ্য হয়।
-
বায়ু ক্রমশ প্রসারিত হয়ে শীতল ও ঘনীভূত হয় এবং পর্বতের প্রতিবাত ঢালে (Windward slope) বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
-
পরিচলন বৃষ্টি (Convectional Rain):
-
দিনের সময় সূর্যের তাপ পানিকে বাষ্পে রূপান্তরিত করে, যা সোজা উপরের দিকে উঠে যায়।
-
শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে এই জলীয়বাষ্প মেঘে পরিণত হয় এবং পরে বৃষ্টির আকারে নিচে নামে।
-

0
Updated: 14 hours ago
বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?
Created: 1 week ago
A
২৩০ সেন্টিমিটার
B
২০৩ সেন্টিমিটার
C
২১৩ সেন্টিমিটার
D
২০১ সেন্টিমিটার
বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণভাবে উষ্ণ, আর্দ্র এবং মৌসুমী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানকার জলবায়ু প্রধানত ক্রান্তীয় মৌসুমী ধরনের।
-
বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করে, যা দেশের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে।
-
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের জলবায়ুর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মৌসুমী বায়ুর কারণে বৃষ্টিপাত প্রধানত বেশি হয়।
-
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ২০৩ সেন্টিমিটার এবং গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
-
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
-
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ, তবে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং বায়ুপ্রবাহের ভিত্তিতে মূলত তিনটি ঋতু প্রাধান্য পায়: গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল এবং শীতকাল।
-
এপ্রিল মাসে গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা বছরের উষ্ণতম মাস।
-
জানুয়ারি মাস শীতলতম, যার গড় তাপমাত্রা প্রায় ১৭.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

0
Updated: 1 week ago
ক্লাউডবার্স্ট বলতে কী বোঝায়?
Created: 2 days ago
A
অতি অল্প সময়ে অতি অল্প বৃষ্টিপাত
B
অতি অল্প সময়ে অতি বেশি বৃষ্টিপাত
C
দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত
D
দীর্ঘ সময় ধরে অতি বেশি বৃষ্টিপাত
মেঘ বিস্ফোরণ বা ক্লাউডবার্স্ট হলো এমন একটি আবহাওয়া ঘটনা যেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট ছোট এলাকায় প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত ঘটে। এর ফলে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধ্বস হতে পারে। সাধারণত যখন ১০ বর্গকিলোমিটার (৩.৮৬ বর্গ মাইল) এলাকায় এক ঘন্টার মধ্যে ১০ সেন্টিমিটার (৩.৯৪ ইঞ্চি) বা তার বেশি বৃষ্টি হয়, তখন তাকে ক্লাউডবার্স্ট বলা হয়। এই ঘটনা প্রধানত হিমালয়ান অঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকায় বেশি দেখা যায় এবং বর্ষা ঋতুতে বেশি হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মেঘ বিস্ফোরণের বৈশিষ্ট্য:
-
আকস্মিকভাবে ঘটে এবং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর বৃষ্টি হয়।
-
সাধারণত ছোট এলাকা জুড়ে সীমাবদ্ধ থাকে।
-
বিস্ফোরণের পরিধি কয়েক বর্গ কিলোমিটারের বেশি হয় না।
-
স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় নদী ও জলাশয় দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়।
-
এটি কখনও কখনও তীব্র আকার ধারণ করে, যা অতি দ্রুত বন্যার সৃষ্টি করে।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশে বার্ষিক সর্বোচ্চ গড় বৃষ্টিপাত নিম্নের কোন স্টেশনে রেকর্ড করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
সিলেট
B
টেকনাফ
C
কক্সবাজার
D
সন্দ্বীপ
বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রকৃতি
বাংলাদেশে মূলত তিনটি ঋতুর স্বাতন্ত্র্য স্পষ্টভাবে বোঝা যায়—শীতকাল, গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকাল। তবে প্রকৃতপক্ষে ছয় ঋতুই পালাক্রমে অনুভূত হয়।
দেশের মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করায় এখানে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজ করে। আবার মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে একে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুও বলা হয়।
বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণত সমভাবাপন্ন। অর্থাৎ শীতপ্রধান বা গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মতো এখানে তাপমাত্রা অতিমাত্রায় চরমে পৌঁছায় না।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত
-
বাংলাদেশে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ২০৩ সেন্টিমিটার।
-
সবচেয়ে কম গড় বৃষ্টিপাত হয় নাটোর জেলার লালপুরে (প্রায় ১১৭.৫ সেন্টিমিটার)।
-
সবচেয়ে বেশি গড় বৃষ্টিপাত হয় সিলেটের লালখালে (প্রায় ৬৩৭.৫ সেন্টিমিটার)।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ
-
দেশের উষ্ণতম স্থান → লালপুর, নাটোর
-
শীতলতম স্থান → শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
-
শীতলতম জেলা → সিলেট
-
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের স্থান → লালখাল, সিলেট
-
সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের স্থান → লালপুর, নাটোর
-
সর্বদক্ষিণের জেলা → কক্সবাজার
-
সর্বউত্তরের জেলা → পঞ্চগড়
-
আয়তনে সবচেয়ে বড় জেলা → রাঙামাটি
-
আয়তনে সবচেয়ে ছোট জেলা → নারায়ণগঞ্জ
উৎসঃ বিবিএ বাংলা, বাংলাদেশ স্টাডিজ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago