নিচের কোনটির মাধ্যমে ব্রিটিশ কমনওয়েলথ অব নেশনস-এর গোড়াপত্তন হয়?
A
আটলান্টিক সনদ
B
ওয়েস্টমিনস্টার ঘোষণা
C
বেলফোর রিপোর্ট
D
মনরো ঘোষণা
উত্তরের বিবরণ
ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ও সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা:
-
বেলফোর রিপোর্ট (Balfour Declaration), ১৯ নভেম্বর ১৯২৬:
-
ব্রিটিশ কমনওয়েলথ অব নেশনস ধারণার গোড়াপত্তন ঘটায়।
-
-
স্ট্যাটিউট অব ওয়েস্ট মিনিস্টার (Statute of Westminster), ১১ ডিসেম্বর ১৯৩১:
-
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মাধ্যমে অনুমোদিত।
-
এর ফলে ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়।
-
কমনওয়েলথের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বতন্ত্র মর্যাদা অর্জন করে।
-
-
লন্ডন ঘোষণা (London Declaration), ২৮ এপ্রিল ১৯৪৯:
-
কমনওয়েলথের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
-
এ সময় সংস্থার নাম থেকে “ব্রিটিশ” শব্দটি বাদ দিয়ে Commonwealth of Nations রাখা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
মনরো ঘোষণা আমেরিকায় ইউরোপীয় হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করে।
-
আটলান্টিক সনদ যুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বশান্তি পরিকল্পনার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
স্ট্যাটিউট অব ওয়েস্টমিনস্টার, বেলফোর ঘোষণার আইনগত বাস্তবায়ন হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 14 hours ago
কমনওয়েলথের বর্তমান সদস্য সংখ্যা -
Created: 2 months ago
A
৪৮
B
৫০
C
৫২
D
৫৬
কমনওয়েলথ হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যা ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশিক দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এক সময় ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকা বিভিন্ন জনপদ ও অঞ্চল পরবর্তীতে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হলে, তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক রক্ষার উদ্দেশ্যে এই সংস্থাটি গঠিত হয়।
কমনওয়েলথের নেতৃত্বে রয়েছেন ব্রিটেনের রাজা বা রানী, যিনি এই সংস্থার প্রধান হিসেবে স্বীকৃত। সংস্থাটির সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে।
প্রতিষ্ঠা ও কাঠামো:
-
প্রতিষ্ঠা বছর: ১৯৪৯
-
সদস্য সংখ্যা: বর্তমানে ৫৬টি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র
-
সদরদপ্তর: মার্লবোরো হাউস, লন্ডন
মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:
কমনওয়েলথ সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সাধন করা।
এটি এমন একটি মঞ্চ যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো সমতা ও সংহতির ভিত্তিতে কাজ করে, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করে এবং বিশ্বে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
উৎস:
কমনওয়েলথ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
কমনওয়েলথের বর্তমান সদস্য দেশ কয়টি? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 week ago
A
৫২টি
B
৫৫টি
C
৫৬টি
D
৫৮টি
কমনওয়েলথ হলো অতীতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা স্বাধীন দেশগুলোর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা ১৯২৬ সালে ধারণাগতভাবে গঠিত হয় এবং ১৯৪৯ সালে আধুনিক কমনওয়েলথ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
-
সদরদপ্তর: লন্ডন
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৫৬টি [আগস্ট, ২০২৫]
-
ব্রিটিশ উপনিবেশে না থেকে সদস্য দেশসমূহ: মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, গ্যাবন ও টোগো
-
দাপ্তরিক ভাষা: ইংরেজি
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের সদস্য হয়
-
বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩২তম সদস্য

0
Updated: 1 week ago
কোন ঘোষণার মাধ্যমে কমনওয়েলথ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে?
Created: 3 weeks ago
A
বেলফোর ঘোষণা
B
ওয়েস্টমিনস্টার ঘোষণা
C
ক্যানবেরা ঘোষণা
D
লন্ডন ঘোষণা
কমনওয়েলথ (Commonwealth of Nations):-
-
এটি মূলত ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশিক দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক জোট।
-
ব্রিটেনের রাজা বা রাণী এই সংস্থার প্রধান (Head of the Commonwealth)।
-
সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া: সর্বসম্মতিক্রমে।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৯ সালে।
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৫৬টি দেশ।
-
সদরদপ্তর: মার্লবোরো হাউস, লন্ডন।
-
বর্তমান মহাসচিব: শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে (৭ম মহাসচিব)।
-
মূল লক্ষ্য: কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি।
🔹 ইতিহাস ও গঠন প্রক্রিয়া:
-
১৯ নভেম্বর, ১৯২৬: বেলফোর ঘোষণা (Balfour Declaration)-এর মাধ্যমে ব্রিটিশ কমনওয়েলথ অব নেশনস (British Commonwealth of Nations) ধারণার সূচনা হয়।
-
১১ ডিসেম্বর, ১৯৩১: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্ট্যাটিউট অব ওয়েস্টমিনস্টার (Statute of Westminster) আইনের মাধ্যমে উপনিবেশগুলোকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হয় এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ স্বতন্ত্র মর্যাদা লাভ করে।
-
২৮ এপ্রিল, ১৯৪৯: লন্ডন ঘোষণা (London Declaration)-এর মাধ্যমে কমনওয়েলথ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এবং নাম থেকে “ব্রিটিশ” শব্দটি বাদ দিয়ে রাখা হয় শুধু কমনওয়েলথ অব নেশনস।
উৎস: Commonwealth ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 weeks ago