মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
A
আট
B
দশ
C
এগার
D
পনের
উত্তরের বিবরণ
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংগঠিত করার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
সেক্টরভিত্তিক অঞ্চলসমূহ:
-
সেক্টর ১: ফেনী নদী থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি এবং ফেনী জেলার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল।
-
সেক্টর ২: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব রেলপথ ঘিরে নোয়াখালী ও ফরিদপুরের কিছু এলাকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৩: আখাউড়া–ভৈরব রেলপথের পূর্ব দিকসহ কুমিল্লার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকার কিছু এলাকাকে নিয়ে গঠিত।
-
সেক্টর ৪: সিলেট জেলার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল এই সেক্টরে।
-
সেক্টর ৫: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও সিলেটের অংশবিশেষ এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৬: ঠাকুরগাঁও মহকুমা ও ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা এলাকাগুলো বাদে পুরো রংপুর অঞ্চল এই সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৭: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়ার বেশিরভাগ এলাকা, দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টরের গঠন।
-
সেক্টর ৮: কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত অঞ্চল এবং ফরিদপুরের কিছু অংশ এই সেক্টরের অন্তর্গত।
-
সেক্টর ৯: বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনার কিছু অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হয় ৯ নম্বর সেক্টর।
-
সেক্টর ১০: এই সেক্টরটি ছিল বিশেষ; সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, নৌ-কমান্ডো এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ নিয়ন্ত্রণে এ সেক্টরের কাজ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
-
সেক্টর ১১: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ১১ নম্বর সেক্টর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০২৩
0
Updated: 3 months ago
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব-
Created: 3 weeks ago
A
বীরশ্রেষ্ঠ
B
বীরপ্রতীক
C
বীরবিক্রম
D
বীরউত্তম
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খেতাবগুলো প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব হলো বীরশ্রেষ্ঠ, এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব হলো বীরউত্তম।
-
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকারের অধীনে মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়।
-
খেতাবের বণ্টন ছিল:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীরউত্তম: ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক: ৪২৬ জন
-
বর্তমানে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য ৬৭২ জনের খেতাব বহাল রয়েছে, যার মধ্যে:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীরউত্তম: ৬৭ জন
-
বীরবিক্রম: ১৭৪ জন
-
বীরপ্রতীক: ৪২৪ জন
0
Updated: 3 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন-
Created: 3 weeks ago
A
মেজর জিয়াউর রহমান
B
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
C
এ.কে. খন্দকার
D
মেজর খালেদ মোশাররফ
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সামরিক নেতৃত্ব ও সংগঠন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠনের পর তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
৭ জুলাই ১৯৭১, যুদ্ধের কৌশলগত প্রয়োজনে সরকার নিয়মিত পদাতিক ব্রিগেড গঠনের পরিকল্পনা নেয় এবং প্রথম ব্রিগেড হিসেবে ‘জেড ফোর্স’ গঠন করা হয়, যার অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
-
পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ এবং ১৪ অক্টোবর ‘কে ফোর্স’ গঠন করা হয়।
-
এস ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ।
-
এই তিনটি ফোর্স মুক্তিযুদ্ধে সুসংগঠিত সামরিক অভিযান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 3 weeks ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য ‘বীরপ্রতীক’ উপাধি লাভ করে কত জন?
Created: 2 weeks ago
A
৭ জন
B
৬৮ জন
C
১৭৫ জন
D
৪২৬ জন
বীরপ্রতীক উপাধি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল বাংলাদেশ সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে, সারা দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা এবং ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে এই উপাধি প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য প্রধানত তিনটি উপাধি দেওয়া হয়েছিল:
বীরশ্রেষ্ঠ: সর্বোচ্চ সাহসিকতা ও অবদানের জন্য ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা এই উপাধি লাভ করেন।
বীরবিক্রম: দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা, যা ২৭০ জনকে দেওয়া হয়েছিল।
বীরপ্রতীক: তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা, যার জন্য ৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচিত হন।
0
Updated: 2 weeks ago