বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট। তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও জনসেবার মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল রাজনীতির মাঠ থেকে, যেখানে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই সক্রিয় ছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করে সংসদ সদস্য, স্পিকার এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হন। তাঁর সততা, দক্ষ নেতৃত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতি অটল বিশ্বাস তাঁকে জাতির শ্রদ্ধার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আব্দুল হামিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় অপরিসীম অবদান রেখেছেন। নিচে তাঁর সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হলো—
• জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন: মো. আব্দুল হামিদ ১ জানুয়ারি ১৯৪৪ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মো. তায়েব উদ্দিন এবং মাতা তামিজা খাতুন। তিনি স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে আইন পেশায় যুক্ত হন।
• রাজনৈতিক জীবন: ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি প্রথম জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করেন।
• সংসদে অবদান: তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্পিকার হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। স্পিকার হিসেবে সংসদ পরিচালনায় তাঁর শৃঙ্খলাপূর্ণ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছিল।
• রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব: ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি কার্যালয় সব সময় জনগণের কল্যাণ ও সংবিধান রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
• ব্যক্তিত্ব ও অবদান: তিনি একজন শান্ত, বিনয়ী ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে উৎসাহ প্রদান তাঁর অন্যতম গুণ।
• সম্মাননা ও স্বীকৃতি: তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুবার দলীয় ও জাতীয়ভাবে সম্মানিত হয়েছেন। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
সব মিলিয়ে মো. আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন এক নেতা যিনি সততা, দৃঢ়তা ও জনগণের প্রতি ভালোবাসার মাধ্যমে নিজেকে আলাদা স্থানে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক ধারা সংরক্ষণে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।