বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কতজন নারী উপদেষ্টা রয়েছে?
A
২ জন
B
৩ জন
C
৪ জন
D
৫ জন
উত্তরের বিবরণ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (২০২৪)
-
গঠন: ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ৮ আগস্ট ২০২৪ সালে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
-
নেতৃত্ব: নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে।
-
শপথ গ্রহণ: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন কর্তৃক বঙ্গভবনে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
-
উপদেষ্টা সংখ্যা: মোট ২৩ জন।
-
নারী উপদেষ্টা: ৪ জন — ফরিদা আখতার, নূরজাহান বেগম, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমীন এস মুরশিদ।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা হলেন -
Created: 2 days ago
A
প্রধান বিচারপতি
B
স্পিকার
C
আইনমন্ত্রী
D
এটর্নি জেনারেল
বাংলাদেশ সংবিধানের ৬৪ নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার দায়িত্ব ও পদমর্যাদা নির্ধারণ করা হয়েছে, যিনি হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের পক্ষে সকল আদালতে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং আইনগত বিষয়ে রাষ্ট্রকে পরামর্শ প্রদান করেন। এই পদটি শুধু একটি প্রশাসনিক বা আইনি দায়িত্ব নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত।
অ্যাটর্নি জেনারেল মূলত রাষ্ট্রের আইনগত স্বার্থ রক্ষা, সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা এবং আদালতে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। সংবিধানের ৬৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োজিত হন এবং তিনি রাষ্ট্রপতির ইচ্ছানুযায়ী দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে, অর্থাৎ তাঁকে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী হতে হয়, যিনি বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনায় দক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রধান দায়িত্ব হলো সরকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আইনি পরামর্শ ও মামলা পরিচালনা করা। কোনো আইন বা নীতিমালা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা, সে বিষয়ে আদালতে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করা তাঁর অন্যতম কাজ। পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যুতেও পরামর্শ দেন, যেমন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদান, নির্বাচনী প্রশ্ন, বা কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বৈধতা সংক্রান্ত বিষয়।
অ্যাটর্নি জেনারেলের অধীনে সাধারণত অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল কাজ করেন, যারা বিভিন্ন আদালতে সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। তাঁদের কার্যক্রম সমন্বয় ও নির্দেশনা দেওয়ার দায়িত্বও অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর বর্তায়।
এই পদটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের কাছে সরকারের নীতি বা সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে পারেন, কিন্তু তিনি আদালতের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করতে পারেন না। অর্থাৎ, তিনি সরকারের প্রতিনিধি হলেও বিচার বিভাগের ওপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন না। তিনি শুধুমাত্র আইনি যুক্তির মাধ্যমে আদালতে সরকারের অবস্থানকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রায়ই বলা হয় সরকারের মুখপাত্র হিসেবে আদালতে রাষ্ট্রের আইনগত কণ্ঠস্বর, কারণ তাঁর উপস্থাপনা ও ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করে অনেক রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের আইনি বৈধতা নির্ধারিত হয়। তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রশ্নে সরকারকে দিকনির্দেশনা দেন এবং আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের ক্ষেত্রেও সরকারের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন।
সবশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ সংবিধানের ৬৪ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার ভারসাম্য ও আইনের শাসন রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাঁর দায়িত্ব শুধু সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা নয়, বরং আইন ও সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা। এই কারণে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বাংলাদেশের আইনি কাঠামোর অন্যতম মূল স্তম্ভ হিসেবে গণ্য করা হয়।
0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি মূলত -
Created: 1 month ago
A
প্রধান বিচারক
B
অলঙ্কারিক প্রধান
C
প্রধান আইন প্রণেতা
D
বর্ণিত সবগুলো
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রধান নির্বাহী পদে অবস্থান করেন, যদিও তিনি অলঙ্কারিক প্রধান হিসেবে বিবেচিত। দেশের যাবতীয় সরকারি কার্যাদি রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত হয় এবং সংবিধানের চতুর্থ ভাগের প্রথম পরিচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারিত আছে। রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেন।
রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের মেয়াদে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। সংসদ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাঁকে অভিশংসনের মুখোমুখি করা যেতে পারে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(৪) অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। এছাড়া সংবিধানে নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী, তিনি আগে কখনও এই পদ থেকে অপসারিত হননি। রাষ্ট্রপতি পদে থাকা অবস্থায় তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রদান করেছে, যা অন্তর্ভুক্ত:
-
শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা
-
সংসদ ও আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা
-
বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা
-
অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা
-
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করা হয়েছে কিসের বিরুদ্ধে?
Created: 1 week ago
A
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ
B
সাম্প্রাদায়িক দাঙ্গাবাদ
C
সন্ত্রাসবাদ
D
ধর্মীয় উগ্রবাদ
বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ মূলত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গৃহীত কঠোর অবস্থান নির্দেশ করে। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো সমাজে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং যেকোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা।
-
সন্ত্রাস শব্দটি এসেছে ‘ত্রাস’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ভয়, ভীতি বা শঙ্কা। সন্ত্রাস বলতে বোঝায় এমন এক পরিস্থিতি, যেখানে মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করা হয় বা ভয় প্রদর্শনের মাধ্যমে ভীতিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়।
-
সন্ত্রাসবাদ হলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে হত্যাকাণ্ড, বোমা হামলা, নির্যাতন বা অন্যান্য সহিংস কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। এটি এক ধরনের নীতি বা কৌশল, যা ভয় সৃষ্টি করে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়।
-
এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভয় ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়।
অতএব, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ হলো এমন সংগঠিত সহিংস কার্যকলাপ, যা রাষ্ট্র, সমাজ ও মানবতার জন্য গুরুতর হুমকি, এবং এজন্যই বাংলাদেশ সরকার এদের প্রতি শূন্য সহনশীলতা বা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
0
Updated: 1 week ago