বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা কত সালে চালু হয়?
A
২০০৬ সালে
B
২০০৭ সালে
C
২০০৮ সালে
D
২০০৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন
-
নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা: নির্বাচন কমিশন।
-
প্রারম্ভ: স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল গঠিত হলেও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা চালু হয় ২০০৮ সালে।
-
আইনি ভিত্তি: ১৯৭২ সালের Representation of People Order (RPO)-কে সংশোধন করে ২০০৮ সালে Representation of People (Amendment) Ordinance প্রণয়ন করা হয়।
-
ধারা: সংশোধিত অধ্যায়ে ৯টি ধারা (৯০এ থেকে ৯০আই) অন্তর্ভুক্ত। ৯০এ ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে দলকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হবে।
নিবন্ধনের জন্য শর্তাবলী (যেকোনো একটি পূরণ করতে হবে):
১. স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে কমপক্ষে একটি আসনে জয়।
২. ওই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা অংশ নেওয়া আসনে মোট ভোটের কমপক্ষে ৫% প্রাপ্তি।
৩. কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস থাকতে হবে; দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় জেলা অফিস এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার থানায় অফিস থাকতে হবে, যেখানে প্রতিটি অফিসে কমপক্ষে ২০০ জন সদস্য ভোটার থাকা আবশ্যক।

0
Updated: 15 hours ago
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য কী?
Created: 1 month ago
A
সমাজসেবা করা
B
সরকার গঠন করা
C
চাপ সৃষ্টি করা
D
জনমত জরিপ করা
রাজনৈতিক দল:
-
রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ ও সরকার গঠন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
-
আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে এবং নিজেদের কর্মসূচি ও মতাদর্শ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
-
ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দল নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে।
-
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো শাসক দলের ব্যর্থতা তুলে ধরে জনমত গঠন করে এবং দলীয় আদর্শের ভিত্তিতে ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চালায়।
-
এভাবেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া কার্যকর হয়।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বিরোধী দলের কাজ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
গঠনমূলক সমালোচনা
B
রাজনৈতিক সংযোগ সাধ
C
গণতন্ত্র রক্ষা
D
উপরের সবগুলো
বিরোধী দলের কার্যক্রম ও গুরুত্ব
-
গঠনমূলক সমালোচনা:
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরে।
-
সরকারের একক সিদ্ধান্ত জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া কঠিন হয় বিরোধী দলের সমালোচনার কারণে।
-
-
অধিকার বাস্তবায়ন:
-
জনগণের অধিকার রক্ষা ও নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
-
সরকারের এমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বিরোধী দল সচেষ্ট থাকে।
-
-
গণতন্ত্র রক্ষা:
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।
-
বিভিন্ন মতের সংমিশ্রণ নিশ্চিত ও সরকারকে স্বৈরাচারী হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা বিরোধী দলের কাজ।
-
-
প্রার্থী মনোনয়ন:
-
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর ঘটে।
-
বিরোধী দল নিজ আদর্শ সংশ্লিষ্ট প্রার্থী মনোনয়ন করে এবং নির্বাচনী প্রচার চালায়।
-
-
রাজনৈতিক সংযোগ সাধন:
-
জনগণের দাবি ও মতামত সরকারের নিকট পৌঁছে দেওয়া।
-
জনগণের সঙ্গে দলের সংযোগ স্থাপন।
-
-
রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ:
-
জনগণকে রাজনীতির সাথে একত্রিত করা এবং ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা।
-
-
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা:
-
মন্ত্রিসভা তাদের কাজের জন্য আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ।
-
বিরোধীদলের সদস্যরা মন্ত্রীদের নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারে, এবং মন্ত্রীরা জবাবদিহি করতে বাধ্য।
-
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
বিরোধী দলের কাজ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
গঠনমূলক সমালোচনা
B
রাজনৈতিক সংযোগ সাধ
C
গণতন্ত্র রক্ষা
D
উপরের সবগুলো
বিরোধী দলের কার্যক্রম ও গুরুত্ব
-
গঠনমূলক সমালোচনা:
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরে।
-
সরকারের একক সিদ্ধান্ত জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া কঠিন হয় বিরোধী দলের সমালোচনার কারণে।
-
-
অধিকার বাস্তবায়ন:
-
জনগণের অধিকার রক্ষা ও নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
-
সরকারের এমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বিরোধী দল সচেষ্ট থাকে।
-
-
গণতন্ত্র রক্ষা:
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।
-
বিভিন্ন মতের সংমিশ্রণ নিশ্চিত ও সরকারকে স্বৈরাচারী হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা বিরোধী দলের কাজ।
-
-
প্রার্থী মনোনয়ন:
-
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর ঘটে।
-
বিরোধী দল নিজ আদর্শ সংশ্লিষ্ট প্রার্থী মনোনয়ন করে এবং নির্বাচনী প্রচার চালায়।
-
-
রাজনৈতিক সংযোগ সাধন:
-
জনগণের দাবি ও মতামত সরকারের নিকট পৌঁছে দেওয়া।
-
জনগণের সঙ্গে দলের সংযোগ স্থাপন।
-
-
রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ:
-
জনগণকে রাজনীতির সাথে একত্রিত করা এবং ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা।
-
-
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা:
-
মন্ত্রিসভা তাদের কাজের জন্য আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ।
-
বিরোধীদলের সদস্যরা মন্ত্রীদের নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারে, এবং মন্ত্রীরা জবাবদিহি করতে বাধ্য।
-
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago