বাংলাদেশ থেকে কত সালে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হয়?
A
১৯৫০ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৮ সালে
D
১৯৬০ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে জমিদারি প্রথা ও রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ আইন, ১৯৫০
-
জমিদারি প্রথার বিলুপ্তি: বাংলাদেশে জমিদারি প্রথা ১৯৫০ সালে উচ্ছেদ করা হয়।
-
আইন প্রণয়ন: এটি ১৯৫০ সালের পূর্ববঙ্গ রাজ্য অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে কার্যকর হয়। আইনের মাধ্যমে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বিলুপ্ত করা হয় এবং কৃষকদের জমির মালিকানা নিশ্চিত করা হয়।
The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০):
-
আইন প্রণয়ন: ১৯৫০ সালে; আইন সংখ্যা: ২৮, ১৯৫১ সন
-
বিষয়বস্তু: পূর্ববাংলায় জমিতে খাজনা সংগ্রাহক ও অন্যান্য স্বার্থধারীদের অধিগ্রহণ, প্রজাদের সঙ্গে সম্পর্ক, এবং সম্পর্কিত অন্যান্য আইনগত বিষয়সমূহ সংজ্ঞায়িত করা।
-
প্রেক্ষাপট: এই আইনের আগে কৃষিসংক্রান্ত আইন ছিল ১৭৯৩ সালের বঙ্গীয় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবিধান ও ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন।
-
প্রণয়নের ধাপ:
-
১৯৪৮ সালের ৩১ মার্চ পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব বিল প্রকাশ
-
বিল পাঠানো হয় আইন পরিষদের বিশেষ কমিটিতে
-
১৬ মে ১৯৫১ সালে অনুমোদনমূলক সম্মতি প্রাপ্ত
-
আইনের কার্যক্রম ও বৈশিষ্ট্য:
-
সরকার দেশের একমাত্র জমিদারে পরিণত হয়
-
জমিতে সকল খাজনা-আদায়ি স্বার্থ অধিগ্রহণ করে
-
৩ নং ধারা বলবৎ হওয়ায় জমির মালিকরা সরকারের প্রত্যক্ষ প্রজা হিসেবে গণ্য হন
-
সরকার হাটবাজার, ফেরি ও মাছ উৎপাদনমূলক জলভাগের মালিক ও ব্যবস্থাপক হয়
-
আইনটি ১৫২টি ধারায় বিভক্ত, যা পাঁচটি অংশ ও উনিশটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত

0
Updated: 15 hours ago
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা -
Created: 1 week ago
A
ওয়াজির
B
সুবাহদার
C
ফৌজদার
D
শিকদার
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
- মুঘল শাসনব্যবস্থা এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী ছিল।
- এই শাসনব্যবস্থা ছিল প্রধানত সামরিক শক্তি নির্ভর।
- একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া অন্যসব কর্মচারিকে সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হত।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি রচিত হয় তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে।
- মুঘলরা একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিল।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার উৎস ছিলেন 'পাদশাহ' বা সম্রাট।
- তিনি একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান এবং প্রধান বিচারক হিসেবে রাজ্য পরিচালনা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন।
- সম্রাটের পরই প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান ছিল।
- বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের সুষ্ঠু শাসনের জন্য সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলো 'সুবাহ' বা প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল।
- সুবাহদার ছিলেন সুবাহর প্রধান কর্ম নির্বাহক।
- মুঘল আমলে প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় এবং প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত ছিল।
- ফৌজদার ছিলেন সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা।
- শিকদার ছিলেন পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা।

0
Updated: 1 week ago
একটি ইউনিয়ন কয়টি ওয়ার্ডে বিভক্ত?
Created: 1 week ago
A
৭টি
B
৮টি
C
৯টি
D
১০টি
ইউনিয়ন পরিষদের গঠন:
- একটি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত।
- চেয়ারম্যান ১ জন।
- নির্বাচিত সদস্য ৯ জন।
- সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৩ জন।
- ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয় মোট ১৩ জন সদস্য নিয়ে।
- প্রতি তিন ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন।
- কার্যালয় পরিচালনার জন্য এক জন সচিব নিয়োগ করা হয়।
- ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ ৫ বছর, সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যদের অপসারণ করা যায়।
- ইউনিয়ন পরিষদের সকলেই সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।

0
Updated: 1 week ago
রূপকল্প-২০৪১ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কত?
Created: 1 week ago
A
৭.৬%
B
৮.২%
C
৯.৯%
D
১০.১%
রূপকল্প-২০৪১:
- ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে সামিল করার লক্ষ্য সামনে রেখে রূপকল্প ২০৪১।
- রূপকল্প ২০৪১ এর খসড়া জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়।
- ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের পর্যায় পেরিয়ে এক শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদ।
- সুশাসন, জনগণের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন হবে এই অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র।
উদ্দেশ্য:
- সম্ভাব্য জনসংখ্যা ২১ কোটি ৩ লাখ।
- মাথাপিছু আয়: ১২,৫০০ ডলার (২০৪১ সালের মূল্যমানে ১৬,০০০ ডলারের বেশি)।
- দারিদ্র্য দূরীকরণ।
- ২০৪১ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৯%।
- প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৮০ বছর।
- ২০৪১ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ১০০% এ বৃদ্ধি করা।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১% এরও নিচে নামিয়ে আনা।

0
Updated: 1 week ago