গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে ‘নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ এবং অনুমোদিত ইংরেজি পাঠের মধ্যে বাংলা পাঠই প্রাধান্য পাবে’?
A
১৫৩ নং
B
১৫২ নং
C
১৫১ নং
D
১৫০ নং
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান
-
মোট অনুচ্ছেদ: সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ আছে।
-
১৫৩ নং অনুচ্ছেদ: সংবিধান প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযোগ্য পাঠ।
বিস্তারিত:
-
১৫৩ (১): সংবিধানকে “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান” বলা হবে এবং এটি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই প্রক্রিয়াকেই সংবিধানে “সংবিধান-প্রবর্তন” বলা হয়েছে।
-
১৫৩ (২): সংবিধানের বাংলা একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ এবং ইংরেজীতে একটি অনুমোদিত অনুবাদ পাঠ থাকবে। উভয় পাঠ নির্ভরযোগ্য হিসেবে গণপরিষদের স্পীকার সার্টিফিকেট প্রদান করবেন।
-
১৫৩ (৩): এই অনুচ্ছেদের (২) অনুযায়ী সার্টিফিকেটকৃত পাঠই সংবিধানের বিধানাবলীর চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তবে বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধ হলে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাবে।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুসারে কাউকে নিজের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ - ৩৪
B
অনুচ্ছেদ - ৩২
C
অনুচ্ছেদ - ৩৫
D
অনুচ্ছেদ - ৩৩
বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদের মাধ্যমে রচিত হয় এবং এটি দেশের মৌলিক আইন হিসেবে দেশের রাষ্ট্রনীতি ও নাগরিক অধিকার নির্ধারণ করে। সংবিধানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২, যা ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়।
-
সংগঠন: সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ১১টি অধ্যায় রয়েছে।
-
মৌলিক ফৌজদারি ধারা (অনুচ্ছেদ ৩৫ অনুসারে):
-
কেউ কোনো অপরাধ করলে, সেই অপরাধ সংঘটনের সময় কার্যকর আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে; নতুন কোনো কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে না।
-
একবার যদি কাউকে কোনো অপরাধের জন্য বিচার ও শাস্তি দেওয়া হয়, তবে একই অপরাধে পুনরায় বিচার বা শাস্তি দেওয়া যাবে না।
-
ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ উঠলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে দ্রুত ও প্রকাশ্যে বিচার পাওয়ার অধিকারী।
-
কাউকে নিজের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না।
-
কাউকে নির্যাতন করা যাবে না, নিষ্ঠুর বা অমানবিক শাস্তি দেওয়া যাবে না, কিংবা লজ্জাজনক আচরণ করা যাবে না।
-
প্রচলিত আইনে যে শাস্তি বা বিচারপদ্ধতি নির্ধারিত আছে, তা এই অনুচ্ছেদের (৩) বা (৫) দফার দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
-
-
প্রধান সংবিধানিক অধিকারসমূহ:
-
অনুচ্ছেদ ৩২: জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৩: গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৪: জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে 'বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি'-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৮১
B
৮৫
C
৮৭
D
৮৮
সংবিধানে বাজেটকে “বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি” নামে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এ সম্পর্কিত বিধান অনুচ্ছেদ ৮৭-তে বর্ণিত। এই অনুচ্ছেদে সরকারের বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের বিবরণ সংসদে উপস্থাপনের নিয়ম ও কাঠামো স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
তথ্যগুলো হলো:
-
অনুচ্ছেদ ৮৭ (১): প্রত্যেক অর্থবছরের জন্য সরকারের অনুমিত আয় ও ব্যয়ের বিবরণী সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। এই বিবরণীকে “বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি” বলা হয়।
-
অনুচ্ছেদ ৮৭ (২): এই বিবৃতিতে দুটি বিষয় আলাদাভাবে প্রদর্শিত হবে—
-
(ক) সংবিধান অনুযায়ী সংযুক্ত তহবিলের দায় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ।
-
(খ) সংযুক্ত তহবিল থেকে ব্যয়যোগ্য অন্যান্য প্রস্তাবিত খাত নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ।
-
-
রাজস্ব খাতের ব্যয় অন্যান্য ব্যয় থেকে পৃথকভাবে প্রদর্শন করার নির্দেশনা রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গঠিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৩৭
B
১৩৮
C
১৪৭
D
১৫০
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
-
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন হল একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান, যা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেয়।
-
এটি সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা এবং আপিলের মত বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়।
-
সংবিধানের একটি অধ্যায়ে এই কমিশনের গঠন ও কাজের নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে মোট ৫টি অনুচ্ছেদ আছে।
-
রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন।
-
প্রধান বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহণ করান।
সংবিধানের ৫টি অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো আছে:
-
অনুচ্ছেদ ১৩৭: সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
-
অনুচ্ছেদ ১৩৮: সদস্য নিয়োগের নিয়ম।
-
অনুচ্ছেদ ১৩৯: সদস্যদের মেয়াদ।
-
অনুচ্ছেদ ১৪০: কমিশনের দায়িত্ব।
-
অনুচ্ছেদ ১৪১: কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নিয়ম।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago