"গায়েপড়া" শব্দটি কোন ধরনের বহুব্রীহি সমাস?
A
সংখ্যাবাচক
B
পদলোপী
C
ব্যাধিকরণ
D
অলুক
উত্তরের বিবরণ
অলুক বহুব্রীহি সমাস:
অলুক বহুব্রীহি সমাস হলো সেই বহুব্রীহি সমাস যেখানে সমস্যমান পদের পূর্বপদের বিভক্তি অক্ষুণ্ণ থাকে।
উদাহরণ:
-
গায়ে এসে পড়া যে → গায়েপড়া
-
কানে খাটো যে → কানেখাটো
অন্য ধরনের বহুব্রীহি সমাস:
-
সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস: পূর্বপদ সংখ্যাবাচক হয়।
-
উদাহরণ: চার ভুজ যে ক্ষেত্র → চতুর্ভুজ
সে (তিন) তার যে যন্ত্র → সেতার
-
-
পদলোপী বহুব্রীহি সমাস: বহুব্রীহি সমাসের ব্যাসবাক্য থেকে এক বা একাধিক পদ লোপ পায়।
-
উদাহরণ: চিরুনির মতো দাঁত যার → চিরুনদাঁতি
হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে → হাতেখড়ি
-
-
ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস: পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ই বিশেষ্য (কখনো কখনো ক্রিয়াবিশেষণ)।
0
Updated: 1 month ago
যেসব বাক্যে ভাবসাদৃশ্য আছে তাদের মধ্যে কোন বিরামচিহ্ন বসে?
Created: 1 month ago
A
সেমিকোলন
B
হাইফেন
C
কোলন
D
ড্যাশ
বিরাম চিহ্ন
লেখার সময় বাক্যের মধ্যে বিরতি বা ছেদ দেখানোর জন্য কিছু বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এধরনের চিহ্নগুলোকে বিরতি চিহ্ন, যতি চিহ্ন, ছেদ চিহ্ন বা ভাষা চিহ্ন বলা হয়।
সেমিকোলনের (;) ব্যবহার
-
স্বাধীন বাক্য সংযুক্ত করতে:
-
একাধিক স্বাধীন বাক্যকে একটি বাক্যে লিখলে সেগুলোর মাঝে সেমিকোলন ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণ: তিনি শুধু তামাশা দেখিতেছিলেন; কোথাকার জল কোথায় গিয়ে পড়ে।
-
-
সমজাতীয় বাক্য বা বক্তব্য স্পষ্ট করতে:
-
সমজাতীয় বাক্য পাশাপাশি প্রতিস্থাপন করলে সেমিকোলন বসানো হয়।
-
উদাহরণ: বৃদ্ধ তাহারাই যাহারা মায়াচ্ছন্ন নব মানবের অভিনব জয়যাত্রার শুধু বোঝা নয়, বিঘ্ন; শতাব্দীর নব যাত্রীর চলার ছন্দে ছন্দ মিলাইয়া যাহারা কুচকাওয়াজ করিতে জানে না, পারে না; জীব হইয়াও জড়; যাহারা অটল সংস্কারের পাষাণ-সস্তূপ আঁকড়িয়া পড়িয়া আছে।
-
-
যোগক শব্দ ছাড়া সংযুক্ত বাক্যে:
-
দুটি বা ত্রি-বচন যুক্ত না হলে সেমিকোলন ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: আগে পাঠ্যবই পড়; পরে গল্প-উপন্যাস।
-
-
তালিকা বা নাম-পদ উল্লেখে:
-
একাধিক ব্যক্তির নাম ও পদ উল্লেখ থাকলে বোঝার সুবিধার জন্য সেমিকোলন বসানো হয়।
-
উদাহরণ: এবারের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন: আকবরউদ্দিন আহমদ, সভাপতি; আফসার রায়হান, সাধারণ সম্পাদক; চিত্ত বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক; এন্ড্রু গোমেজ, সংস্কৃতি সম্পাদক; ইত্যাদি।
-
-
যোজক শব্দের আগে:
-
সেজন্যে, তবু, তথাপি, সুতরাং ইত্যাদি যোজক বৈপরীত্য বা অনুমান প্রকাশ করলে তাদের আগে সেমিকোলন বসে।
-
উদাহরণ: সে ফেল করেছে; সেজন্যে সে মুখ দেখায় না। মনোযোগ দিয়ে পড়; তাহলেই পাশ করবে।
-
-
ভাবসাদৃশ্যযুক্ত বাক্যে:
-
যেসব বাক্যে ভাবসাদৃশ্য আছে তাদের মধ্যে সেমিকোলন বসানো হয়।
-
উদাহরণ: দিনটা ভালো নয়; মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়ছে।
-
-
বিতর্কিত বা ছোটো অংশ নির্দেশ করতে:
-
ছোটো ছোটো বিতর্কিত অংশের জন্যও সেমিকোলন ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণ: মেয়েটি, যে প্রথম হয়েছে, একটি পুরস্কার পেয়েছে; এবার আশা করা যায়, সে আরও ভালো করবে।
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago
ব্যাকরণের কোন শাখায় 'বিশেষ্য', 'সর্বনাম', 'ক্রিয়া' আলোচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
রূপতত্ত্ব
B
বাক্যতত্ত্ব
C
ধ্বনিতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
রূপতত্ত্ব হলো ভাষার সেই শাখা যা মূলত শব্দ এবং তার গঠন ও উপাদান নিয়ে আলোচনা করে।
আলোচ্য বিষয়সমূহ:
-
বিশেষ্য
-
সর্বনাম
-
বিশেষণ
-
ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি পদ
-
শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া (যেমন: উপসর্গ, প্রত্যয়, সংযুক্তি)
0
Updated: 1 month ago
'লাপাত্তা' শব্দের 'লা' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
Created: 4 months ago
A
আরবি ভাষা থেকে
B
ফরাসি ভাষা থেকে
C
হিন্দি ভাষা থেকে
D
উর্দু ভাষা থেকে
না বা অভাবসূচক ‘লা’ আরবি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ‘না’ বা অভাব বোঝাতে ব্যবহৃত ‘লা’ উপসর্গটি আরবি ভাষা থেকে আগত। এটি মূলত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বা অভাবের অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
লাপাত্তা (অদৃশ্য বা হারিয়ে যাওয়া)
-
লাজওয়াব (যার সমতুল্য নেই)
-
লাখেরাজ (জ্বরের এক ধরনের)
-
লাওয়ারিশ (যার কোনো দায়বদ্ধ ব্যক্তি নেই)
বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গের প্রভাব
বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত হয়ে প্রচলিত। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি উপসর্গও বাংলা শব্দের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদেশি উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ:
-
আরবি উপসর্গ:
যেমন - আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
এগুলো সাধারণত শব্দের অর্থ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। -
ফারসি উপসর্গ:
যেমন - কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
ফারসির উপসর্গগুলো বাংলায় বিভিন্ন ভাববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। -
উর্দু উপসর্গ:
যেমন - হর।
এটি বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দে ব্যবহৃত হয়। -
ইংরেজি উপসর্গ:
যেমন - হেড, সাব, ফুল, হাফ।
আধুনিক ইংরেজি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলা ভাষা একটি বহুভাষিক মিশ্রণ যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ ও শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাষাসমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দের অর্থ ও গঠনকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এবং ভাষাকে আরও প্রাঞ্জল ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 4 months ago