নিচের কোন ভিটামিনটি পানিতে সহজে দ্রবীভূত হয়?
A
ভিটামিন–E
B
ভিটামিন–D
C
ভিটামিন–B
D
ভিটামিন–A
উত্তরের বিবরণ
ভিটামিনের ধরন ও দ্রাব্যতা:
-
সংজ্ঞা:
ভিটামিন হলো অতি অল্প পরিমাণে প্রয়োজনীয় জৈব যৌগ, যা দেহের সুস্থতা, বৃদ্ধি ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য অপরিহার্য। -
ভিটামিনের শ্রেণীবিভাগ:
১. চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন:-
ভিটামিন A
-
ভিটামিন D
-
ভিটামিন E
-
ভিটামিন K
এই ভিটামিনগুলো চর্বি বা তেলের সাথে দ্রবণীয় এবং দেহে সংরক্ষিত থাকে।
২. পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন:
-
ভিটামিন B কমপ্লেক্স
-
ভিটামিন C
এই ভিটামিনগুলো পানিতে দ্রবণীয়, তাই অতিরিক্ত পরিমাণ দেহ থেকে দ্রুত বের হয়ে যায় এবং নিয়মিত গ্রহণ করা প্রয়োজন।
-
0
Updated: 1 month ago
পানিতে কোন ভিটামিন দ্রবণীয়?
Created: 1 week ago
A
A ও D
B
E ও K
C
B ও C
D
A ও C
মানবদেহের জন্য ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা শরীরের বিভিন্ন জৈব প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত — চর্বিতে দ্রবণীয় ও পানিতে দ্রবণীয়। পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন দেহে সঞ্চিত থাকে না, অতিরিক্ত অংশ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এই কারণেই প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে এই ভিটামিনগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা প্রয়োজন।
মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ—
-
পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন হলো ভিটামিন B কমপ্লেক্স ও ভিটামিন C।
এরা পানিতে সহজেই দ্রবীভূত হয় এবং শরীরের টিস্যুতে সীমিত সময়ের জন্য থাকে। -
ভিটামিন B কমপ্লেক্স আসলে একদল ভিটামিনের সমষ্টি। এর মধ্যে আছে—
B₁ (Thiamine), B₂ (Riboflavin), B₃ (Niacin), B₅ (Pantothenic acid), B₆ (Pyridoxine), B₇ (Biotin), B₉ (Folic acid) এবং B₁₂ (Cobalamin)।
এরা শরীরে শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম ও রক্তকণিকা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। -
ভিটামিন C (Ascorbic acid) দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বক ও মাড়ির সুস্থতা রক্ষা করে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, ফলে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
-
পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের প্রধান উৎস:
-
ভিটামিন B কমপ্লেক্স পাওয়া যায়— দুধ, ডিম, শস্যদানা, ডাল, মাংস, মাছ ও শাকসবজিতে।
-
ভিটামিন C পাওয়া যায়— লেবু, আমলকি, কমলা, পেয়ারা, টমেটো, কাঁচা মরিচ ও অন্যান্য টক ফলে।
-
-
অভাবজনিত রোগ:
-
ভিটামিন B₁-এর অভাবে হয় বেরিবেরি রোগ।
-
ভিটামিন B₂-এর অভাবে হয় চোখ ও ত্বকের সমস্যা।
-
ভিটামিন B₃-এর অভাবে হয় পেল্লাগ্রা।
-
ভিটামিন B₉ বা ফোলিক অ্যাসিডের অভাবে হয় অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা)।
-
ভিটামিন C-এর অভাবে হয় স্কার্ভি (মাড়ি ফুলে রক্ত পড়া)।
-
-
বৈশিষ্ট্য:
-
পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন তাপে সংবেদনশীল, অর্থাৎ রান্নার সময় সহজেই নষ্ট হয়।
-
এরা দেহে সঞ্চিত থাকে না, তাই প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে পূরণ করতে হয়।
-
অতিরিক্ত গ্রহণের পরিমাণ সাধারণত প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়, তাই বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা কম।
-
-
চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের বিপরীতে পার্থক্য:
-
চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন (A, D, E, K) দেহে সঞ্চিত থাকে, কিন্তু পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন থাকে না।
-
চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণের জন্য চর্বি প্রয়োজন, কিন্তু পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন সহজেই পানিতে মিশে যায়।
-
সারসংক্ষেপে বলা যায়, ভিটামিন B ও C হলো পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন, যা দেহের শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ও কোষের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফলমূল ও পুষ্টিকর খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।
0
Updated: 1 week ago
কোন ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে?
Created: 1 month ago
A
ভিটামিন ‘কে’
B
ভিটামিন ‘সি’
C
ভিটামিন ‘বি’
D
ভিটামিন ‘ডি’
ভিটামিন কে (Vitamin K):
ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়ক একটি অপরিহার্য ভিটামিন। এর রাসায়নিক নাম ফাইলোকুইনন (Phylloquinone) বা ন্যাপথোকুইনন (Naphthoquinone)। এটি তাপ, আর্দ্রতা ও বায়ুর সংস্পর্শে সহজে নষ্ট হয় না।
ভিটামিন কে-এর উৎস:
-
সবুজ শাক-সবজি
-
ডিমের কুসুম
-
দুধ
-
যকৃত
-
মাংস
-
মাছ
-
লেটুস পাতা
-
বাঁধাকপি, ফুলকপি
-
মটরশুঁটি ইত্যাদি
ভিটামিন কে-এর কাজ:
১. রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে (প্রোথ্রম্বিন প্রোটিন সক্রিয়করণে সহায়তা করে)।
২. পিত্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. যকৃতের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বজায় রাখে।
অভাবজনিত অবস্থা:
-
রক্ত জমাট বাঁধা ব্যাহত হয়।
-
সামান্য কাটা-ছেঁড়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
মায়ের দুধে কোন ধরনের ইমিউনোগ্লোবিউলিন পাওয়া যায়?
Created: 2 months ago
A
IgG
B
IgA
C
IgE
D
IgM
অ্যান্টিবডি (Antibody):
দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্র (immune system) থেকে উৎপন্ন এক ধরনের দ্রবণীয় গ্লাইকোপ্রোটিন, যা রোগ-ব্যাধি সৃষ্টিকারী নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন (যেমন: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া) ধ্বংস করে।
প্রত্যেকটি অ্যান্টিবডি হলো ইমিউনোগ্লোবিউলিন (Ig) নামে বিশেষ ধরনের প্রোটিন অণু।
লিম্ফোসাইট ও অ্যান্টিবডি উৎপাদন:
শ্বেত রক্তকণিকার একটি প্রধান অংশ হলো লিম্ফোসাইট, যা দুটি ধরনের:
১. T-কোষ
২. B-কোষ
B-লিম্ফোসাইটের একটি উপধরন হলো প্লাজমা B-কোষ (Plasmacell), যেখান থেকে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়।
প্রয়োজন হলে প্রতিটি প্লাজমাকোষ প্রতি সেকেন্ডে কয়েক হাজার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে।
মানুষের দেহে প্রায় ১০০ মিলিয়ন (১০ কোটি) প্রকারের অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হতে পারে।
অ্যান্টিবডির প্রকারভেদ:
অ্যান্টিবডির গঠনে যে ভারী শৃঙ্খল রয়েছে, তার অ্যামিনো এসিড ক্রমের ভিত্তিতে ৫ ধরনের:
- γ (gamma), α (alpha), μ (mu), ε (epsilon), δ (delta)
এ পাঁচ ধরনের ভারী শৃঙ্খল অনুযায়ী অ্যান্টিবডি শ্রেণিভুক্ত:
১. ইমিউনোগ্লোবিউলিন G (IgG)
২. ইমিউনোগ্লোবিউলিন A (IgA)
৩. ইমিউনোগ্লোবিউলিন M (IgM)
৪. ইমিউনোগ্লোবিউলিন D (IgD)
৫. ইমিউনোগ্লোবিউলিন E (IgE)
ইমিউনোগ্লোবিউলিন A (IgA):
দেহের মোট Ig-র মধ্যে প্রায় ১৫% হলো IgA।
এটি মিউকাস ঝিল্লিতে থাকে (যেমন: পরিপাক, জনন ও শ্বসনতন্ত্র), যেখানে রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব ও অণুকণাকে প্রতিরোধ করে।
মায়ের দুধেও IgA থাকে এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর দেহে স্থানান্তরিত হয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (গাজী আজমল)
0
Updated: 2 months ago