কোনটি জৈব যৌগের সমগোত্রীয় শ্রেণির বৈশিষ্ট্য নয়?
A
অভিন্ন মৌল দ্বারা গঠিত
B
সাধারণ সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা যায়
C
রাসায়নিক ধর্মে সাদৃশ্য বিদ্যমান
D
আণবিক ভর অভিন্ন
উত্তরের বিবরণ
সমগোত্রীয় যৌগ ও সমগোত্রীয় শ্রেণি (Homologous Series):
-
সংজ্ঞা:
সমগোত্রীয় যৌগ হলো সেই ধরণের জৈব যৌগ, যেগুলোর গঠন ও রাসায়নিক ধর্ম প্রায় একই, কিন্তু প্রতিটি পরবর্তী যৌগে –CH₂– গ্রুপ যোগ হওয়ায় আণবিক ভর বৃদ্ধি পায়। -
সমগোত্রীয় শ্রেণি:
-
জৈব যৌগের সংখ্যা বিপুল হওয়ায় তাদেরকে গঠন ও ধর্মের সাদৃশ্য অনুসারে শ্রেণিতে ভাগ করা হয়, যাকে সমগোত্রীয় শ্রেণি বলা হয়।
-
উদাহরণ: অ্যালকেন (CnH2n+2)
-
মিথেন (CH4), ইথেন (C2H6), প্রোপেন (C3H8) ইত্যাদি একই শ্রেণির সমগোত্রক।
-
-
-
বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
যৌগগুলো অভিন্ন মৌল দ্বারা গঠিত।
-
একটি সাধারণ সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
-
পাশাপাশি দুটি সমগোত্রকের মধ্যে –CH2– পার্থক্য থাকে।
-
প্রতিটি সমগোত্রক একটি নির্দিষ্ট কার্যকরী গ্রুপ বহন করে।
-
ভৌত ধর্মে নিয়মিত ক্রম থাকে: আণবিক ভর বৃদ্ধির সাথে গলনাংক, স্ফুটনাংক ও ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, এবং দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।
-
রাসায়নিক ধর্মে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
-
একই সাধারণ নিয়মে প্রস্তুত করা যায়।
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন উপাদানের অভাবে উদ্ভিদের ক্লোরোসিস হতে পারে?
Created: 2 months ago
A
লৌহ
B
ম্যাঙ্গানিজ
C
দস্তা
D
উপরোক্ত সবগুলোই
নাইট্রোজেন (N)
-
উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ক্লোরোফিল উৎপাদনে সরাসরি ভূমিকা রাখে।
-
নাইট্রোজেনের অভাবে ক্লোরোফিল তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে পাতার সবুজ রং ফিকে হয়ে ধীরে ধীরে হলুদে পরিণত হয়।
-
ক্লোরোফিলের অনুপস্থিতিতে অন্যান্য বর্ণকণার সম্মিলিত রঙ পাতায় দেখা দেয়, যা মূলত হলুদ।
-
পাতার এই হলুদ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্লোরোসিস (Chlorosis) বলা হয়।
-
শুধু নাইট্রোজেনের অভাব নয়, লৌহ (Fe), ম্যাঙ্গানিজ (Mn), দস্তা (Zn) এর ঘাটতিতেও ক্লোরোসিস হতে পারে, কারণ এ উপাদানগুলোও ক্লোরোফিল তৈরির সাথে সম্পর্কিত।
-
ক্লোরোসিস হলে কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন হ্রাস পায়, ফলে উদ্ভিদের সামগ্রিক বৃদ্ধি কমে যায়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
টয়লেট ক্লিনারে জীবাণুনাশক হিসেবে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
ফেনল
B
ইথানল
C
সোডিয়াম সিলিকেট
D
ক্লোরোফরম
টয়লেট ক্লিনার ও গ্লাস ক্লিনার বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং তাদের রাসায়নিক গঠনও আলাদা। টয়লেট ক্লিনার মূলত কমোড বা টয়লেট পরিষ্কার, দুর্গন্ধ দূর ও জীবাণু নির্মূল করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে গ্লাস ক্লিনার কাচের উপরিভাগে লেগে থাকা ধুলাবালি, ময়লা, তেল ও গ্রিজ অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
টয়লেট ক্লিনার:
• টয়লেট পরিষ্কার ও দুর্গন্ধ দূর করতে NaOH ভিত্তিক ক্লিনার ব্যবহার করা হয়।
• এতে প্রায় 20-25% কস্টিক সোডা (NaOH), 10-12% সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট (NaOCl), 3-5% বোরাক্স (Na2B4O7), 5-7% সোডিয়াম সিলিকেট (Na2SiO3) থাকে। কিছু ক্ষেত্রে ভিনেগার ও সামান্য খাদ্য লবণও ব্যবহার করা হয়।
• দুর্গন্ধ দূর করতে ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে এবং ফেনল জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
• টয়লেটের প্যান পোরসেলিন সিরামিক হওয়ায় NaOH এর সঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। -
গ্লাস ক্লিনার:
• কাচের ধুলাবালি, তেল, গ্রিজ, ময়লা অপসারণের জন্য অ্যামোনিয়াভিত্তিক ক্লিনার ব্যবহার করা হয়।
• এতে সাধারণত 30-32% NH3, 25-30% আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, 30-35% পানি এবং সামান্য রঞ্জক পদার্থ থাকে।
• কাচের উপরিভাগে লেগে থাকা তেল ও ময়লা অ্যামোনিয়াতে দ্রবীভূত হয়।
• প্রয়োগের পর অ্যামোনিয়া দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়, ফলে কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। -
অন্যান্য রাসায়নিক বিষয়:
• ইথানল জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে, তবে টয়লেট ক্লিনারে কম ব্যবহৃত হয়; বেশি ব্যবহৃত হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা মেডিকেল প্যাডে।
• অ্যাসিটিক অ্যাসিড দুর্বল অম্ল এবং কিছুটা জীবাণুনাশক হলেও টয়লেট ক্লিনারে প্রধান জীবাণুনাশক নয়।
• ক্লোরোফরম অর্গানিক সলভেন্ট ও এনেস্থেটিক হিসেবে ব্যবহার করা হতো, কিন্তু জীবাণুনাশক নয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি জৈব এসিড?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রিক এসিড
B
সালফিউরিক এসিড
C
সাইট্রিক এসিড
D
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
সাইট্রিক এসিড হলো একটি জৈব এসিড, যা মূলত জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া এবং লেবুতে পাওয়া যায়। জৈব এবং অজৈব এসিডের উদাহরণ এবং তাদের ব্যবহার বা বৈশিষ্ট্যগুলো ভিন্ন।
-
জৈব এসিড:
-
সাইট্রিক এসিড: জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া ও লেবুতে পাওয়া যায়।
-
টারটারিক এসিড: তেঁতুলে থাকে।
-
ল্যাকটিক এসিড: টকদইতে উপস্থিত।
-
ইথানোয়িক এসিড (CH3COOH): বাজারে কাঁচের বোতলে পাওয়া ভিনেগারের ৬-১০% জলীয় দ্রবণ।
-
কার্বনিক এসিড: বিভিন্ন সফট ড্রিংকসে বিদ্যমান।
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl): পাকস্থলির দেয়াল দ্বারা উৎপন্ন, যা খাবারের সঙ্গে ক্ষতিকারক অণুজীবকে ধ্বংস করে এবং খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। অতিরিক্ত এসিডের কারণে বুক জ্বালা বা গলায় জ্বালাপোড়া হলে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট (NaHCO3) বা এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
-
-
অজৈব এসিড:
-
উদাহরণ: হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক এসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4)।
-
এগুলো পানিতে বিভিন্ন অনুপাতে দ্রবীভূত করে ব্যবহার করা হয় এবং জলীয় দ্রবণে এসিড ধর্ম প্রদর্শন করে।
-
হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl) গ্যাস নিজে কোনো এসিড ধর্ম দেখায় না; পানি যোগ করলে এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড হিসেবে কার্যকর হয়।
-
0
Updated: 1 month ago