কোনটি জৈব যৌগের সমগোত্রীয় শ্রেণির বৈশিষ্ট্য নয়?
A
অভিন্ন মৌল দ্বারা গঠিত
B
সাধারণ সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা যায়
C
রাসায়নিক ধর্মে সাদৃশ্য বিদ্যমান
D
আণবিক ভর অভিন্ন
উত্তরের বিবরণ
সমগোত্রীয় যৌগ ও সমগোত্রীয় শ্রেণি (Homologous Series):
-
সংজ্ঞা:
সমগোত্রীয় যৌগ হলো সেই ধরণের জৈব যৌগ, যেগুলোর গঠন ও রাসায়নিক ধর্ম প্রায় একই, কিন্তু প্রতিটি পরবর্তী যৌগে –CH₂– গ্রুপ যোগ হওয়ায় আণবিক ভর বৃদ্ধি পায়। -
সমগোত্রীয় শ্রেণি:
-
জৈব যৌগের সংখ্যা বিপুল হওয়ায় তাদেরকে গঠন ও ধর্মের সাদৃশ্য অনুসারে শ্রেণিতে ভাগ করা হয়, যাকে সমগোত্রীয় শ্রেণি বলা হয়।
-
উদাহরণ: অ্যালকেন (CnH2n+2)
-
মিথেন (CH4), ইথেন (C2H6), প্রোপেন (C3H8) ইত্যাদি একই শ্রেণির সমগোত্রক।
-
-
-
বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
যৌগগুলো অভিন্ন মৌল দ্বারা গঠিত।
-
একটি সাধারণ সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
-
পাশাপাশি দুটি সমগোত্রকের মধ্যে –CH2– পার্থক্য থাকে।
-
প্রতিটি সমগোত্রক একটি নির্দিষ্ট কার্যকরী গ্রুপ বহন করে।
-
ভৌত ধর্মে নিয়মিত ক্রম থাকে: আণবিক ভর বৃদ্ধির সাথে গলনাংক, স্ফুটনাংক ও ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, এবং দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।
-
রাসায়নিক ধর্মে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
-
একই সাধারণ নিয়মে প্রস্তুত করা যায়।
-

0
Updated: 15 hours ago
মাছ চাষের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন মাত্রা কত?
Created: 2 weeks ago
A
২ পিপিএম
B
৫ পিপিএম
C
১০ পিপিএম
D
১২ পিপিএম
মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ
মাছের সুস্থ বৃদ্ধি, খাদ্যগ্রহণ এবং উৎপাদনের জন্য পুকুরের পানির গুণাগুণ উপযুক্ত মাত্রায় থাকা জরুরি। পুকুরের পানি দুই ধরণের গুণাবলীতে ভাগ করা যায়—
1️⃣ ভৌত গুণাগুণ (Physical Properties)
ক) গভীরতা:
-
খুব গভীর পুকুরে সূর্যের আলো নীচ পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাংকটন কম উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
-
খুব অগভীর পুকুরে গ্রীষ্মকালে পানি অতিরিক্ত গরম হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
খ) তাপমাত্রা:
-
মাছের বৃদ্ধি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। শীতকালে খাবার গ্রহণ কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি কম হয়।
-
উদাহরণ: রুই মাছের জন্য ২৫–৩০°সে তাপমাত্রা অনুকূল।
গ) ঘোলাত্ব (Turbidity):
-
কাদা বা কণার কারণে পানি ঘোলা হলে সূর্যালোক কম প্রবেশ করে, যা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ঘ) সূর্যালোক:
-
পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকলে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়। ফলে ফাইটোপ্লাংকটন বৃদ্ধি পায় এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
2️⃣ রাসায়নিক গুণাগুণ (Chemical Properties)
ক) দ্রবীভূত অক্সিজেন (Dissolved Oxygen, DO):
-
মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রধান উৎস: ফাইটোপ্লাংকটন ও জলজ উদ্ভিদ দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি পানিতে মিশ্রিত হওয়া।
-
রাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, তাই DO কমে যায়।
-
মাছ চাষের জন্য ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম/লিটার (৫ ppm) থাকা প্রয়োজন।
খ) দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂):
-
ফাইটোপ্লাংকটনের জন্য প্রয়োজনীয়।
-
মাত্রাতিরিক্ত CO₂ মাছের জন্য ক্ষতিকর।
-
নিরাপদ মাত্রা: ১–২ ppm; ১২ ppm পর্যন্ত বিষাক্ত নয়।
গ) পিএইচ (pH):
-
মাছ চাষের জন্য পানির pH ৬.৫–৮.৫ অনুকূল।
-
pH < ৪ বা > ১১ হলে মাছ মারা যায়।
-
অম্লীয় হলে চুন (১–২ কেজি/শতক) প্রয়োগ করা হয়।
-
ক্ষারীয় হলে অ্যামোনিয়াম সালফেট বা তেঁতুল পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
ঘ) ফসফরাস (Phosphorus):
-
প্রাকৃতিক পানিতে অল্প থাকে।
-
পরিমিত ফসফরাস ফসফেটে রূপান্তরিত হয়ে ফাইটোপ্লাংকনের জন্ম বৃদ্ধি করে।
উৎস: কৃষিশিক্ষা, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 2 weeks ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি জৈব এসিড?
Created: 2 days ago
A
নাইট্রিক এসিড
B
সালফিউরিক এসিড
C
সাইট্রিক এসিড
D
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
সাইট্রিক এসিড হলো একটি জৈব এসিড, যা মূলত জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া এবং লেবুতে পাওয়া যায়। জৈব এবং অজৈব এসিডের উদাহরণ এবং তাদের ব্যবহার বা বৈশিষ্ট্যগুলো ভিন্ন।
-
জৈব এসিড:
-
সাইট্রিক এসিড: জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া ও লেবুতে পাওয়া যায়।
-
টারটারিক এসিড: তেঁতুলে থাকে।
-
ল্যাকটিক এসিড: টকদইতে উপস্থিত।
-
ইথানোয়িক এসিড (CH3COOH): বাজারে কাঁচের বোতলে পাওয়া ভিনেগারের ৬-১০% জলীয় দ্রবণ।
-
কার্বনিক এসিড: বিভিন্ন সফট ড্রিংকসে বিদ্যমান।
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl): পাকস্থলির দেয়াল দ্বারা উৎপন্ন, যা খাবারের সঙ্গে ক্ষতিকারক অণুজীবকে ধ্বংস করে এবং খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। অতিরিক্ত এসিডের কারণে বুক জ্বালা বা গলায় জ্বালাপোড়া হলে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট (NaHCO3) বা এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
-
-
অজৈব এসিড:
-
উদাহরণ: হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক এসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4)।
-
এগুলো পানিতে বিভিন্ন অনুপাতে দ্রবীভূত করে ব্যবহার করা হয় এবং জলীয় দ্রবণে এসিড ধর্ম প্রদর্শন করে।
-
হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl) গ্যাস নিজে কোনো এসিড ধর্ম দেখায় না; পানি যোগ করলে এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড হিসেবে কার্যকর হয়।
-

0
Updated: 2 days ago