‘শূদ্র’ শব্দের নারীবাচক রূপ কোনটি?
A
শূধা
B
শূদ্রাণী
C
শূদ্রিনী
D
শূদ্রিয়া
উত্তরের বিবরণ
‘শূদ্র’ শব্দের নারীবাচক রূপ হচ্ছে- শূদ্রাণী।
• ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যয়যোগে গঠিত নারীবাচক শব্দের অর্থপার্থক্য
ভিন্ন ভিন্ন নারীবাচক প্রত্যয় যোগে একই পুরুষবাচক শব্দের একাধিক নারীবাচক রূপ হতে পারে।
সেক্ষেত্রে অর্থগত পার্থক্য হয়ে থাকে।
যেমন:
আচার্য- আচার্যা (অধ্যাপিকা),
আচার্যানী (আচার্যের স্ত্রী)।
ক্ষত্রিয়-ক্ষত্রিয়া/ক্ষত্রিয়াণী ক্ষত্রিয় রমণী,
ক্ষত্রিয়ী (ক্ষত্রিয়ের স্ত্রী)।
চণ্ড-চণ্ডা (কোপন স্বভাবের নারী),
চন্ডী (দেবী দুর্গা)।
প্রাজ্ঞ-প্রাজ্ঞা (প্রজ্ঞাবতী মহিলা),
প্রাজ্ঞী (প্রজ্ঞাবানের স্ত্রী),
বৈশ্য-বৈশ্যা (বৈশ্য নারী),
বৈশ্যানী (বৈশ্যের স্ত্রী),
শূদ্র-শূদ্রা (শূদ্র জাতীয় নারী),
শূদ্রাণী (শূদ্রের পত্নী)।

0
Updated: 16 hours ago
বাংলা ভাষার মূল উৎস কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
কানাড়ি ভাষা
B
বৈদিক ভাষা
C
প্রাকৃত ভাষা
D
হিন্দি ভাষা
বাংলা ভাষার উৎস নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানীরা একমত যে বাংলা মূলত ভারতীয় আর্যভাষা পরিবারের অন্তর্গত।
-
বৈদিক সংস্কৃত থেকে ধীরে ধীরে নানা আঞ্চলিক রূপ তৈরি হয়।
-
সেখান থেকে জন্ম নেয় প্রাকৃত ভাষা।
-
প্রাকৃত ভাষার সহজতর রূপ হলো আপভ্রংশ ভাষা।
-
এই আপভ্রংশ ভাষার ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্য দিয়েই ৭ম–১০ম শতকের দিকে বাংলা ভাষার আদিরূপ গড়ে ওঠে।
অতএব, বাংলা ভাষার মূল উৎস হলো প্রাকৃত ভাষা।
👉 অন্যান্য বিকল্প:
-
ক) কানাড়ি ভাষা → এটি দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
-
খ) বৈদিক ভাষা → বাংলা সরাসরি বৈদিক ভাষা থেকে নয়, বরং প্রাকৃত–আপভ্রংশ হয়ে এসেছে।
-
ঘ) হিন্দি ভাষা → হিন্দি ও বাংলা উভয়ই আলাদা আলাদা ভাবে আপভ্রংশ ভাষা থেকে উদ্ভূত, তাই বাংলা হিন্দি থেকে আসে নি।

0
Updated: 2 weeks ago
উচ্চারণের রীতি অনুযায়ী, নিচের কোনটি উচ্চমধ্য-পশ্চাৎ স্বরধ্বনি?
Created: 2 weeks ago
A
অ
B
আ
C
ও
D
এ
বাখ্যা:
বাংলা স্বরধ্বনির উচ্চারণ বিভিন্ন দিক থেকে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। মূলত এটি নির্ভর করে জিভের উচ্চতা, জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান এবং ঠোঁটের উন্মুক্তির পরিমাণ এর ওপর।
১. জিভের উচ্চতা অনুযায়ী স্বরধ্বনি:
-
উচ্চ স্বরধ্বনি: ই, উ
-
উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: এ, ও
-
নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: অ্যা, অ
-
নিম্ন স্বরধ্বনি: আ
২. জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনি:
-
সন্মুখ স্বরধ্বনি: ই, এ, অ্যা
-
মধ্য স্বরধ্বনি: আ
-
পশ্চাৎ স্বরধ্বনি: অ, ও, উ
এভাবে স্বরধ্বনিগুলো উচ্চারণের ভৌত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, যা বাংলা উচ্চারণ এবং ধ্বনিতত্ত্ব বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 weeks ago
'তোয়ালে এবং পাউরুটি' শব্দ দুটি বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে
Created: 2 weeks ago
A
তৎসম ভাষা হতে
B
আরবি ভাষা হতে
C
পর্তুগিজ ভাষা হতে
D
ওলন্দাজ ভাষা হতে
🔎 বাখ্যা:
-
বাংলা ভাষায় বিদেশি ভাষা থেকে বহু শব্দ এসেছে। তার মধ্যে পর্তুগিজ ভাষা থেকেও বেশ কিছু শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে।
-
যেমন: তোয়ালে ও পাউরুটি সরাসরি পর্তুগিজ ভাষা থেকে এসেছে।
-
শুধু তাই নয়, আরও অনেক দৈনন্দিন ব্যবহৃত শব্দ যেমন—কামরা, গির্জা, গুদাম, আনারস, চাবি, জানালা, পাদ্রি, পেয়ারা, বালতি, বোতল, বোতাম—এসবও পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত।
-
এভাবে দেখা যায়, বিদেশি সংস্পর্শ ও বাণিজ্যের কারণে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে এবং নতুন নতুন শব্দে ভাণ্ডার প্রসারিত হয়েছে।
সুতরাং “তোয়ালে, পাউরুটি” সহ উপরের শব্দগুলো পর্তুগিজ উৎসজাত শব্দ।

0
Updated: 2 weeks ago