ঈষৎ অর্থ প্রকাশ করছে কোন উপসর্গযুক্ত শব্দটি?
A
অভিজ্ঞ
B
আরক্ত
C
আখাম্বা
D
তুল্য
উত্তরের বিবরণ
আরক্ত দ্বারা ঈষৎ অর্থ প্রকাশ করছে।
আরক্ত অর্থ হচ্ছে রক্তিম আভাযুক্ত।
• আ-
- অর্থদ্যোতকতা: ঈষৎ
- উদাহরণ: আ+রক্ত = আরক্ত
অন্যান্য অপশন:
• অভি-
- অর্থদ্যোতকতা: সম্যক
- উদাহরণ: অভি+জ্ঞ = অভিজ্ঞ
• আ-
- অর্থদ্যোতকতা: সদৃশ
- উদাহরণ: আ+ খাম্বা = আখাম্বা
• প্রতি-
- অর্থদ্যোতকতা: তুল্য
- উদাহরণ: প্রতি+ধ্বনি = প্রতিধ্বনি

0
Updated: 16 hours ago
'হস্তী' - কোন ধরনের শব্দ?
Created: 3 weeks ago
A
মৌলিক
B
যৌগিক
C
রূঢ়ি
D
যোগরূঢ়
রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ
সংজ্ঞা:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হয়ে মূল শব্দের আক্ষরিক অর্থের অনুগামী না থেকে একেবারে অন্য কোনো বিশেষ বা প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
উদাহরণসমূহ
-
হস্তী: হস্ত + ইন → আক্ষরিক অর্থ হাত আছে যার; কিন্তু রূঢ় অর্থে বোঝায় একটি পশু (হাতি)।
-
গবেষণা: গো + এষণা → আক্ষরিক অর্থ গরু খোঁজা; রূঢ় অর্থে ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: আক্ষরিক অর্থে বাঁশ দিয়ে তৈরি বস্তু; রূঢ় অর্থে সুর বাজানোর বাদ্যযন্ত্র।
-
তৈল: মূল অর্থে তিলজাত স্নেহ পদার্থ; রূঢ় অর্থে যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ (যেমন: বাদাম তেল)।
-
প্রবীণ: আক্ষরিক অর্থে প্রকৃষ্টভাবে বীণা বাজাতে পারেন যিনি; রূঢ় অর্থে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি।
-
সন্দেশ: মূল অর্থে সংবাদ; রূঢ় অর্থে একটি মিষ্টান্ন বিশেষ।
✅ অর্থাৎ, রূঢ়ি শব্দের প্রকৃত অর্থ তার আদি গঠনমূলক অর্থ থেকে ভিন্ন ও বিশেষ প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 3 weeks ago
‘ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
সুকুমার সেন
B
সুকুমারী ভট্টাচার্য
C
নিহার রঞ্জন রায়
D
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
"ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ " - গ্রন্থের রচয়িতা ড.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি একজন ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ।

0
Updated: 2 weeks ago
‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ কত খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দ
B
১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দ
C
১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ
D
১৮২০ খ্রিষ্টাব্দ
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
-
‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ হলো বাঙালি রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
-
এটি রচনা করেন রাজা রামমোহন রায়।
-
গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে এবং এটি তাঁর সর্বশেষ রচনা।
-
এর আগে রামমোহন রায় ইংরেজিতে Bengali Grammar in the English Language নামের ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন।
-
গ্রন্থটি মোট বারোটি অধ্যায়ে বিভক্ত।
-
প্রথম অধ্যায়ে ধ্বনি, বর্ণ, উচ্চারণ, শব্দ, অক্ষর প্রভৃতি বিষয়ে উদাহরণসহ আলোচনা করা হয়েছে।
-
পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে বাংলা ভাষার লিঙ্গ, প্রত্যয়, পদান্বয়, বাক্যরীতি, ছন্দ ইত্যাদি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণে বাংলা ভাষার ধ্বনি ও রূপগত বৈশিষ্ট্যের বৈয়াকরণিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago