উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির জন্য কোনটি আবশ্যক নয়?
A
সূর্যালোক
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
পানি
D
অক্সিজেন
উত্তরের বিবরণ
সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis):
-
সংজ্ঞা:
সালোকসংশ্লেষণ হলো একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যেখানে উদ্ভিদ, শৈবাল ও কিছু ব্যাকটেরিয়া সূর্যালোকের উপস্থিতিতে পানি (H₂O) ও কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) ব্যবহার করে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) এবং অক্সিজেন (O₂) উৎপন্ন করে।-
অক্সিজেন এখানে খাদ্য তৈরির জন্য নয়, বরং এটি একটি উপজাত/by-product।
-
-
প্রক্রিয়া ও স্থান:
-
এটি একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।
-
উদ্ভিদের প্লাস্টিডে সংঘটিত হয়।
-
পাতার মেসোফিল টিস্যু প্রধান স্থান।
-
-
প্রয়োজনীয় উপাদান:
-
সূর্যালোক
-
ক্লোরোফিল
-
পানি
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড
-
-
ফলাফল:
-
খাদ্য (গ্লুকোজ) উৎপন্ন করে
-
অক্সিজেন ও পানি তৈরি হয়
-
এটি একটি জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া, যেখানে পানি জারিত হয় এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বিজারিত হয়
-
-
অন্যান্য তথ্য:
-
জলজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণের হার স্থলজ উদ্ভিদ থেকে বেশি।
-
লাল আলোতে সালোকসংশ্লেষণ সবচেয়ে বেশি হয়।
-

0
Updated: 16 hours ago
মাছ চাষের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন মাত্রা কত?
Created: 2 weeks ago
A
২ পিপিএম
B
৫ পিপিএম
C
১০ পিপিএম
D
১২ পিপিএম
মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ
মাছের সুস্থ বৃদ্ধি, খাদ্যগ্রহণ এবং উৎপাদনের জন্য পুকুরের পানির গুণাগুণ উপযুক্ত মাত্রায় থাকা জরুরি। পুকুরের পানি দুই ধরণের গুণাবলীতে ভাগ করা যায়—
1️⃣ ভৌত গুণাগুণ (Physical Properties)
ক) গভীরতা:
-
খুব গভীর পুকুরে সূর্যের আলো নীচ পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাংকটন কম উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
-
খুব অগভীর পুকুরে গ্রীষ্মকালে পানি অতিরিক্ত গরম হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
খ) তাপমাত্রা:
-
মাছের বৃদ্ধি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। শীতকালে খাবার গ্রহণ কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি কম হয়।
-
উদাহরণ: রুই মাছের জন্য ২৫–৩০°সে তাপমাত্রা অনুকূল।
গ) ঘোলাত্ব (Turbidity):
-
কাদা বা কণার কারণে পানি ঘোলা হলে সূর্যালোক কম প্রবেশ করে, যা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ঘ) সূর্যালোক:
-
পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকলে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়। ফলে ফাইটোপ্লাংকটন বৃদ্ধি পায় এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
2️⃣ রাসায়নিক গুণাগুণ (Chemical Properties)
ক) দ্রবীভূত অক্সিজেন (Dissolved Oxygen, DO):
-
মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রধান উৎস: ফাইটোপ্লাংকটন ও জলজ উদ্ভিদ দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি পানিতে মিশ্রিত হওয়া।
-
রাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, তাই DO কমে যায়।
-
মাছ চাষের জন্য ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম/লিটার (৫ ppm) থাকা প্রয়োজন।
খ) দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂):
-
ফাইটোপ্লাংকটনের জন্য প্রয়োজনীয়।
-
মাত্রাতিরিক্ত CO₂ মাছের জন্য ক্ষতিকর।
-
নিরাপদ মাত্রা: ১–২ ppm; ১২ ppm পর্যন্ত বিষাক্ত নয়।
গ) পিএইচ (pH):
-
মাছ চাষের জন্য পানির pH ৬.৫–৮.৫ অনুকূল।
-
pH < ৪ বা > ১১ হলে মাছ মারা যায়।
-
অম্লীয় হলে চুন (১–২ কেজি/শতক) প্রয়োগ করা হয়।
-
ক্ষারীয় হলে অ্যামোনিয়াম সালফেট বা তেঁতুল পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
ঘ) ফসফরাস (Phosphorus):
-
প্রাকৃতিক পানিতে অল্প থাকে।
-
পরিমিত ফসফরাস ফসফেটে রূপান্তরিত হয়ে ফাইটোপ্লাংকনের জন্ম বৃদ্ধি করে।
উৎস: কৃষিশিক্ষা, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago