সিমেন্ট তৈরিতে প্রধান কাঁচামাল কী?
A
চুনাপাথর
B
কয়লা
C
সালফার
D
বালি
উত্তরের বিবরণ
সিমেন্ট উৎপাদন ও চুনাপাথরের ভূমিকা:
-
চুনাপাথর (Limestone):
-
সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল।
-
এতে ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3) থাকে, যা পোড়ালে ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) এ পরিণত হয়।
-
অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়ার মাধ্যমে সিমেন্ট তৈরি হয়।
-
-
সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল:
-
ক্যালকেরিয়াস (Calcareous): চুনাপাথর, সিমেন্ট রক, মার্বেল, চক ইত্যাদি।
-
আরজিলেসিয়াস (Argillaceous): সিলিকা (SiO2), অ্যালুমিনা (Al2O3), আয়রন অক্সাইড (Fe2O3) ইত্যাদি।
-
-
পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের সাধারণ শতকরা সংযুক্তি:
-
চুন (CaO) → 60-70%
-
সিলিকা (SiO2) → 20-25%
-
অ্যালুমিনা (Al2O3) → 5-10%
-
ফেরিক অক্সাইড (Fe2O3) → 2-3%
-
ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড (MgO) → 1-5%
-
ক্ষার → 1%
-

0
Updated: 16 hours ago
বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে কতবার পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়?
Created: 2 weeks ago
A
৪০ বার
B
১০০ বার
C
৬০ বার
D
৫০ বার
তড়িৎ প্রবাহ:
- দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে যখন পরিবাহী তার দ্বারা যুক্ত করা হয় তখন তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।
- যখন দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে তার দ্বারা সংযুক্ত করা হয়, তখন নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন উচ্চ বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ধাতব বস্তুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বর্তমান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ঋণাত্মক আধানের এই প্রবাহ চলে।
- কোনোভাবে যদি ধাতব বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী বিভব পার্থক্য বজায় রাখা যায় তখন এই প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে।
- ঋণাত্মক আধান বা ইলেকট্রনের এই প্রবাহের জন্যই তড়িৎ প্রবাহিত হয়।
- মূলত কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাই হলো তড়িৎ প্রবাহ।
- প্রচলিত তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত দিকে হয়।
- তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার। একে সাধারণত A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- তড়িৎ প্রবাহ দুই প্রকার।
যথা-
(ক) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা পরিবর্তী প্রবাহ বা এসি প্রবাহ:
- যখন নির্দিষ্ট সময় পরপর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের তড়িৎ প্রবাহই পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ।
- এর কারণ তুলনামূলকভাবে এটি উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ এবং সাশ্রয়ী।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস জেনারেটর বা ডায়নামো।
- দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে জেনারেটরের সাহায্যে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ উৎপন্ন করা হয়।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন দেশভেদে বিভিন্ন হয়।
যেমন- বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশবার এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ষাটবার দিক পরিবর্তন করে।
(খ) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা সমপ্রবাহ বা একমুখী প্রবাহ বা ডিসি প্রবাহ:
- যখন সময়ের সাথে সাধারণত তড়িৎ প্রবাহের দিকের কোনো পরিবর্তন না ঘটে, অর্থাৎ যে তড়িৎ প্রবাহ সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই প্রবাহকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি থেকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ পাওয়া যায়।
- আবার ডিসি জেনারেটরের সাহায্যেও এই প্রকার তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন করা যায়।

0
Updated: 2 weeks ago
তড়িৎ মুদ্রণ কী?
Created: 2 weeks ago
A
ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রযুক্তি
B
ফটোগ্রাফির প্রিন্টিং প্রযুক্তি
C
কাগজে হাতের লেখা মুদ্রণের পদ্ধতি
D
তড়িৎ প্রলেপের মাধ্যমে হরফ বা ব্লক তৈরি করার পদ্ধতি
তড়িৎ মুদ্রণ (Electrotyping)
-
সংজ্ঞা: তড়িৎ প্রলেপের একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হরফ, ব্লক মডেল ইত্যাদি তৈরিকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে।
প্রক্রিয়া
-
প্রথমে লেখাটি সাধারণ টাইপ ব্যবহার করে মোমের উপর ছাপানো হয়।
-
এরপর মোমের ওপর সূক্ষ্ম গ্রাফাইট গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে এটি তড়িৎ পরিবাহী হয়।
-
এই মোমের ছাঁচকে কপার সালফেট দ্রবণে ক্যাথোড হিসেবে ডুবানো হয়।
-
একই দ্রবণে একটি তামার পাতকে অ্যানোড হিসেবে রাখা হয়।
-
দ্রবণের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে মোমের ছাঁচের ওপর তামার প্রলেপ জমতে থাকে।
-
প্রলেপ যথেষ্ট পুরু হলে ছাঁচ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় এবং সেটি ছাপার কাজে ব্যবহার করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোনটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ নয়?
Created: 2 days ago
A
শব্দ তরঙ্গ
B
বেতার তরঙ্গ
C
আলোক তরঙ্গ
D
পানির তরঙ্গ
তরঙ্গ এবং তাদের প্রকারভেদ
তরঙ্গ:
-
যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন, তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave) বলা হয়।
-
যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না, তাকে তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave) বলা হয়।
-
যান্ত্রিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয় মাধ্যমের কণার স্পন্দনের মাধ্যমে।
যান্ত্রিক তরঙ্গের প্রকার:
১. অনুপ্রস্থ তরঙ্গ (Transverse Wave):
-
যে তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমকোণ তৈরি করে।
-
উদাহরণ: পানির ঢেউ, আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ ইত্যাদি।
-
উদাহরণ ব্যাখ্যা: পানির কণাগুলো উপর-নিচে ওঠা-নামা করে, কিন্তু তরঙ্গ সামনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
২. অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ (Longitudinal Wave):
-
যে তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমান্তরাল।
-
উদাহরণ: শব্দ তরঙ্গ, স্প্রিং এর তরঙ্গ ইত্যাদি।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago