সিমেন্ট তৈরিতে প্রধান কাঁচামাল কী?
A
চুনাপাথর
B
কয়লা
C
সালফার
D
বালি
উত্তরের বিবরণ
সিমেন্ট উৎপাদন ও চুনাপাথরের ভূমিকা:
-
চুনাপাথর (Limestone):
-
সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল।
-
এতে ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3) থাকে, যা পোড়ালে ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) এ পরিণত হয়।
-
অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়ার মাধ্যমে সিমেন্ট তৈরি হয়।
-
-
সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল:
-
ক্যালকেরিয়াস (Calcareous): চুনাপাথর, সিমেন্ট রক, মার্বেল, চক ইত্যাদি।
-
আরজিলেসিয়াস (Argillaceous): সিলিকা (SiO2), অ্যালুমিনা (Al2O3), আয়রন অক্সাইড (Fe2O3) ইত্যাদি।
-
-
পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের সাধারণ শতকরা সংযুক্তি:
-
চুন (CaO) → 60-70%
-
সিলিকা (SiO2) → 20-25%
-
অ্যালুমিনা (Al2O3) → 5-10%
-
ফেরিক অক্সাইড (Fe2O3) → 2-3%
-
ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড (MgO) → 1-5%
-
ক্ষার → 1%
-
0
Updated: 1 month ago
চিংড়ি চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে কী বলে?
Created: 2 months ago
A
প্রণকালচার
B
পিসিকালচার
C
মেরিকালচার
D
সেরিকালচার
আধুনিক চাষ পদ্ধতি:
- চিংড়ি চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে প্রণকালচার।
অন্যদিকে,
- মৌমাছি চাষ বিষয়ক করাকে এপিকালচার বলে।
- রেশম চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে সেরিকালচার।
- মৎস্য চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে পিসিকালচার।
- উদ্যান বিষয়ক বিদ্যাকে বলে হর্টিকালচার।
- পাখি পালন বিষয়ক বিদ্যাকে বলে এভিকালচার।
- সামুদ্রিক মৎস্য পালন বিষয়ক বিদ্যাকে বলে মেরিকালচার।
0
Updated: 2 months ago
জোয়ার-ভাটার তেজকটাল কখন হয়?
Created: 1 month ago
A
অমাবস্যা তিথিতে
B
অষ্টমী তিথিতে
C
একাদশীতেে
D
যখন চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাথে সমকোণে অবস্থান করে
পানির উচ্চতা ভিত্তিক শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী জোয়ার-ভাটাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়: তেজ কটাল বা ভরা কটাল এবং মরা কটাল।
তেজ কটাল বা ভরা কটাল (Spring Tide):
-
জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে চন্দ্রের পাশাপাশি সূর্যও ভূমিকা রাখে।
-
অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে।
-
এই সময় সূর্যের আকর্ষণ চন্দ্রের আকর্ষণকে সাহায্য করে, ফলে জোয়ার পানির উচ্চতা সর্বাধিক হয়।
-
মূলত পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার পানি ফুলে উঠে, যাকে ভরা কটাল বা তেজ কটাল বলা হয়।
-
পূর্ণিমার সময় পৃথিবীর যে স্থানে চন্দ্রের কারণে মুখ্য জোয়ার হয়, সেখানে সূর্যের আকর্ষণে গৌণ জোয়ার হয়।
-
চন্দ্রের প্রভাবে যেখানে গৌণ জোয়ার হয়, সেখানে সূর্যের আকর্ষণে মুখ্য জোয়ার সৃষ্টি হয়।
0
Updated: 1 month ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 2 months ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago