এইচআইভি ভাইরাস প্রধানত কোন কোষকে আক্রমণ করে?
A
বি-লসিকা কোষ
B
অণুচক্রিকা
C
বেসোফিল
D
T4 লসিকা কোষ
উত্তরের বিবরণ
এইচআইভি (HIV) এবং AIDS সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
এইচআইভি (Human Immunodeficiency Virus):
-
মূলত CD4+ T lymphocytes (T4 লসিকা কোষ)-কে আক্রমণ করে।
-
এই কোষগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অন্যান্য প্রতিরক্ষা কোষকে সক্রিয় করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
ভাইরাসের আক্রমণে T4 লিম্ফোসাইট ও ম্যাক্রোফেজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
-
-
AIDS (Acquired Immune Deficiency Syndrome):
-
HIV ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ।
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়াকে AIDS বলা হয়।
-
এতে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হতে পারে।
-
বিশ্বব্যাপী এটি একটি মারাত্মক যৌন রোগ হিসেবে বিবেচিত।
-
-
HIV আক্রমণের ধাপ:
-
ভাইরাসের gp120 প্রোটিন CD4 রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
কোষে প্রবেশের পর ভাইরাস নিজের প্রতিলিপন করে।
-
ধীরে ধীরে T4 লিম্ফোসাইট ধ্বংস হয়।
-
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে সাধারণ রোগেও মৃত্যু হতে পারে।
-
-
প্রতিরোধ ও সতর্কতা:
-
নিরাপদ যৌনমিলন এবং ধর্মীয় ও সামাজিক বিধি অনুসরণ করা।
-
যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার।
-
অস্বাভাবিক যৌনমিলন, বহুগামিতা, সহকামিতা ও পতিতাগামিতা পরিহার।
-
যৌনসঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক থাকা।
-
HIV আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকা।
-
AIDS আক্রান্ত মায়ের সন্তান ধারণ বা বুকের দুধ পান করানো এড়িয়ে চলা।
-
রক্ত গ্রহণের আগে HIV পরীক্ষা করা।
-
ইনজেকশন নেওয়ার সময় নতুন বা পরিশোধিত সিরিঞ্জ ও সুঁই ব্যবহার করা।
-
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ?
Created: 1 month ago
A
যক্ষ্মা
B
পোলিও
C
ম্যালেরিয়া
D
কলেরা
পোলিও বা Poliomyelitis একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা Poliovirus দ্বারা ছড়ায়। এ রোগ মূলত স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে স্থায়ীভাবে পঙ্গু করে দিতে পারে।
ভাইরাসজনিত রোগসমূহ হলো:
-
এইডস
-
পোলিও
-
ডেঙ্গু
-
ইনফ্লুয়েঞ্জা
-
পীতজ্বর
-
হাম
-
রুবেলা
-
মাম্পস
-
জন্ডিস
-
হার্পিস ইত্যাদি
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগসমূহ হলো:
-
আমাশয়
-
কলেরা
-
কুষ্ঠ
-
যক্ষ্মা
-
ধনুষ্টংকার
-
ডিপথেরিয়া
-
হুপিং কাশি ইত্যাদি
অন্যদিকে ম্যালেরিয়া হলো Plasmodium প্রজাতির প্রোটোজোয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ, যা প্রধানত মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
Created: 2 months ago
A
জন্ডিস
B
এইডস
C
নিউমোনিয়া
D
চোখ ওঠা
ভাইরাসজনিত রোগ
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাসজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু ভাইরাসজনিত রোগ হলো: এইডস, জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জলাতঙ্ক, ডেঙ্গু, ইবোলা ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলা হয়।
-
এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ মন্তব্য
নিউমোনিয়া শুধু ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব দিয়েও হতে পারে। তাই অপশনভিত্তিক প্রশ্নে এটি কখনো ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে পড়লেও, মূলত এটি বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণে ঘটতে পারে। সুতরাং পরীক্ষায় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে।
চোখ ওঠা রোগ (Conjunctivitis)
-
চোখ ওঠা রোগের বৈজ্ঞানিক নাম কনজাংটিভাইটিস।
-
এটি চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত অসুখ।
-
এ রোগ সাধারণত ভাইরাস দ্বারা হয় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক উদ্ভিদবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক
0
Updated: 2 months ago
জিকা ভাইরাস ছড়ায় কিসের মাধ্যমে ?
Created: 1 week ago
A
মশা
B
মাছি
C
পানি
D
বাতাস
জিকা ভাইরাস একটি সংক্রামক ভাইরাস যা মানুষের দেহে মশার মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এটি মূলত ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং বিশ্বব্যাপী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়।
-
জিকা ভাইরাস (Zika virus) ফ্ল্যাভিভাইরিডি (Flaviviridae) পরিবারের ফ্ল্যাভিভাইরাস (Flavivirus) গণের অন্তর্গত।
-
এর নামকরণ হয়েছে উগান্ডার “জিকা” গ্রাম থেকে, যেখানে প্রথমবার বানরের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল।
-
স্থানীয় ভাষায় ‘জিকা’ শব্দের অর্থ ‘বাড়ন্ত’, যা ভাইরাসটির দ্রুত বিস্তার বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে।
-
ভাইরাসটি প্রধানত দুই প্রজাতির এডিস মশা— Aedes aegypti এবং Aedes albopictus—এর মাধ্যমে ছড়ায়।
-
Aedes aegypti মশা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকে, কারণ শীতপ্রধান অঞ্চলে তারা টিকে থাকতে পারে না।
-
সংক্রমিত মশা যখন কাউকে কামড়ায়, তখন তার শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করে এবং পরে রক্তের মাধ্যমে অন্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ে।
-
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত জ্বর, র্যাশ, মাথাব্যথা, সন্ধিব্যথা ও চোখ লাল হওয়া (কনজাংকটিভাইটিস)-এর মতো উপসর্গে ভোগে।
-
এটি গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এটি নবজাতকের মাইক্রোসেফালি (মস্তিষ্কের আকার ছোট হওয়া) রোগের কারণ হতে পারে।
-
ভাইরাসটির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই, তাই প্রতিরোধই মূল উপায় — যেমন মশার কামড় থেকে সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা।
0
Updated: 1 week ago