”কাল একবার এসো।” - কী অর্থে অনুজ্ঞার ব্যবহার হয়েছে?
A
সম্ভাবনা
B
উপদেশ
C
অনুরোধ
D
বিধান
উত্তরের বিবরণ
ভবিষ্যৎ কালের অনুজ্ঞা হলো এমন ধরনের ক্রিয়ার রূপ যা বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন আদেশ, অনুরোধ, অনুমতি বা প্রার্থনা। এটি সাধারণত মধ্যম পুরুষে ব্যবহৃত হয় এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কালে প্রযোজ্য।
-
আদেশে অর্থে: সদা সত্য বলবে।
-
সম্ভাবনায় অর্থে: চেষ্টা কর, সবই বুঝতে পারবে।
-
বিধান অর্থে: রোগ হলে ওষুধ খাবে।
-
অনুরোধ অর্থে: কাল একবার এসো (বা আসিও, বা আসিবে)।
উল্লেখ্য, আদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, প্রার্থনা, অনুনয় প্রভৃতি অর্থে যে ক্রিয়াপদ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কালে মধ্যম পুরুষে ব্যবহৃত হয়, তাকে অনুজ্ঞা পদ বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago
নীরা বললো যে, সে বাগান করা পছন্দ করে। - উক্তিটির প্রত্যক্ষরূপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নীরা বললো, "আমি বাগান করা পছন্দ করতাম।
B
নীরা বলেছিল, "আমি বাগান করা পছন্দ করি।
C
নীরা বললো, "আমি বাগান করা পছন্দ করি।"
D
নীরা বলে, "আমি বাগান করা পছন্দ করি।
উক্তি হলো বক্তার কথা উপস্থাপনের ধরন, যা বাক্যের অর্থের সঠিকতা ও ভাবের সংগতি বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়। উক্তিতে প্রায়শই সর্বনামের পরিবর্তন প্রয়োজন হয়, যাতে বক্তার বক্তব্য পরোক্ষ আকারেও সঠিকভাবে প্রকাশ পায়।
-
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উক্তির উদাহরণ:
-
প্রত্যক্ষ উক্তি: নীরা বললো, "আমি বাগান করা পছন্দ করি।"
পরোক্ষ উক্তি: নীরা বললো যে, সে বাগান করা পছন্দ করে। -
প্রত্যক্ষ উক্তি: মিহির বললো, "আমার জানামতে সবুজ এ বাসায় থাকে।"
পরোক্ষ উক্তি: মিহির বললো যে, তার জানামতে সবুজ সে বাসায় থাকতো।
-
উল্লেখ্য, বক্তার কথা উপস্থাপনের ধরনকে উক্তি বলা হয় এবং উক্তি দুই প্রকার:
-
প্রত্যক্ষ উক্তি: বক্তার কথাকে যেমন বলা হয়েছে তেমনভাবে উদ্ধৃত করা হয়।
-
উদাহরণ: ছেলেটি বলেছিল, "আজ আমি অনেক পড়েছি।"
-
-
পরোক্ষ উক্তি: বক্তার কথার অর্থকে অন্যভাবে প্রকাশ করা হয়, প্রয়োজনে সর্বনাম বা কাল পরিবর্তন করে।
-
উদাহরণ: ছেলেটি বলেছিল যে, সেদিন সে অনেক পড়েছে।
-
0
Updated: 1 month ago
"এসো যুগ-সারথি নিঃশঙ্ক নির্ভয়।
এসো চির-সুন্দর অভেদ অসংশয়।" - কবিতাংশটুকুর রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
সুকান্ত ভট্টাচার্য
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
• স্বরসন্ধির নিয়ম (ও-কারের রূপান্তর):
বাংলা ভাষায় দুটি স্বরের সংযোগে বিশেষ ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। সাধারণভাবে, প্রথম পদের শেষ অ/আ ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের প্রথম উ/ঊ ধ্বনির সংযোগে ও-কার (ও-ধ্বনি) তৈরি হয়।
নিয়ম ও উদাহরণ:
-
অ + উ = ও
-
সর্ব + উচ্চ → সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় → সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ → দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর → প্রশ্নোত্তর
-
অ + ঊ = ও
-
নব + ঊঢ়া → নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব → সর্বোর্ধ্ব
-
আ + উ = ও
-
যথা + উচিত → যথোচিত
-
কথা + উপকথন → কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত → যথোপযুক্ত
-
আ + ঊ = ও
-
গঙ্গা + ঊর্মি → গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি → মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব → মহোর্ধ্ব
সংক্ষেপে: প্রথম পদের অ/আ + দ্বিতীয় পদের উ/ঊ = ও-কার।
এটি বাংলা শব্দসংযোগে স্বরসন্ধির অন্যতম নিয়ম।
0
Updated: 1 month ago
গুরুচণ্ডালী দোষে বাক্যের কোন গুণ লোপ পায়?
Created: 1 month ago
A
আসত্তি
B
যোগ্যতা
C
আকাঙ্ক্ষা
D
প্রসাদগুণ
• গুরুচণ্ডালী দোষ:
তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের মিশ্রণ ঘটলে যে দোষের সৃষ্টি হয় তাকে গুরুচণ্ডালী দোষ বলে। এদোষে দুষ্ট শব্দ তার যোগ্যতা হারায়।
যেমন:
গরুর গাড়ি, শবদাহ ইত্যাদি হলো তৎসম শব্দ। কিন্তু যদি বলা হয় গরুর শকট, মড়াদাহ তাহলে তা গুরুচণ্ডালী দোষে দুষ্ট হয়ে যায়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯-সংস্করণ) এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 1 month ago