”এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।” কোন কালের উদাহরণ?
A
সাধারণ ভবিষ্যৎ
B
ঘটমান ভবিষ্যৎ
C
অনুজ্ঞা ভবিষ্যৎ
D
ঘটমান বর্তমান
উত্তরের বিবরণ
ঘটমান ভবিষ্যৎ হলো সেই ধরনের ক্রিয়া যা ভবিষ্যৎ কালে চলতে থাকবে বা ভবিষ্যতে ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন হতে থাকবে তা প্রকাশ করে। এটি সাধারণ ভবিষ্যৎ ক্রিয়ার একটি বিশেষ রূপ।
-
উদাহরণ:
-
আমাদের কাজ আমরা করতে থাকব।
-
এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
-
উল্লেখ্য, ভবিষ্যৎ কাল হলো ভবিষ্যতে যে ক্রিয়া সম্পন্ন হবে তাকে নির্দেশ করে।
ভবিষ্যৎ কালের তিন প্রকার:
-
সাধারণ ভবিষ্যৎ
-
ঘটমান ভবিষ্যৎ
-
অনুজ্ঞা ভবিষ্যৎ
0
Updated: 1 month ago
ভাষার মৌলিক অংশ কয়টি?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
ভাষার গঠন ও ব্যাকরণমূলক বিশ্লেষণে শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থবিচার এবং অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ যেমন—মুখ্যার্থ, গৌণার্থ, বিপরীতার্থ ইত্যাদি প্রধান ভূমিকা পালন করে। এই কারণে বাংলা ভাষার মৌলিক অংশ চারটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
-
ধ্বনি (sound)
-
শব্দ (word)
-
বাক্য (sentence)
-
অর্থ (meaning)
ফলে, সব ভাষার ব্যাকরণে মূলত চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনা হয়:
-
ধানিতত্ত্ব (Phonology)
-
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology)
-
বাক্যতত্ত্ব (Syntax)
-
অর্থতত্ত্ব (Semantics)
এই চারটি তত্ত্ব নিয়েই ভাষার ব্যাকরণের কাঠামো গড়ে উঠেছে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে?
Created: 2 weeks ago
A
সংস্কৃত
B
প্রাকৃত
C
অপভ্রংশ
D
পালি
বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত প্রাকৃত ভাষা থেকে, যা ছিল সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা। সংস্কৃত ছিল শিক্ষিত ও ধর্মীয় মানুষের ভাষা, আর প্রাকৃত ছিল সাধারণ জনগণের। সময়ের বিবর্তনে প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ, আর অপভ্রংশ থেকে আধুনিক বাংলা ভাষা গড়ে ওঠে।
নিচে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তন সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো সাজানো হল—
-
প্রাকৃত ভাষার সংজ্ঞা: প্রাকৃত বলতে বোঝানো হয় সেই ভাষাগুলিকে, যা ছিল সংস্কৃতের তুলনায় সহজ ও লোকভাষাভিত্তিক। এই ভাষাগুলোই সাধারণ মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল।
-
ভাষা পরিবার: প্রাকৃত ভাষাগুলি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের ইন্দো-ইরানীয় শাখার ইন্দো-আর্য উপশাখার অন্তর্গত।
-
প্রাকৃত ভাষার বৈশিষ্ট্য:
-
এগুলো ছিল অসংস্কৃত বা অমার্জিত রূপের ভাষা।
-
সংস্কৃতের তুলনায় উচ্চারণ ও ব্যাকরণে সহজ।
-
ধর্মীয় ও সাহিত্যিক কাজেও ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন পালি ভাষায় বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ রচিত হয়েছিল।
-
-
প্রধান প্রাকৃত ভাষাসমূহ: মাগধী প্রাকৃত, শৌরসেনী প্রাকৃত, অর্ধমাগধী প্রাকৃত, মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত প্রভৃতি।
-
বাংলা ভাষার উৎস: বাংলা ভাষার সরাসরি উৎপত্তি মাগধী প্রাকৃত থেকে। মাগধী প্রাকৃত → অপভ্রংশ → প্রাচীন বাংলা → মধ্য বাংলা → আধুনিক বাংলা।
-
অন্যান্য ভাষার উদ্ভব:
-
মাগধী প্রাকৃত → বাংলা, অসমীয়া, ওড়িয়া, বিহারী।
-
শৌরসেনী প্রাকৃত → পশ্চিমী হিন্দি, পাঞ্জাবি।
-
অর্ধমাগধী প্রাকৃত → পূর্বী হিন্দি।
-
মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত → মারাঠি।
-
-
প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ: সময়ের পরিবর্তনে প্রাকৃত ভাষার উচ্চারণ, শব্দরূপ ও ব্যাকরণে পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তিত রূপকে বলা হয় অপভ্রংশ ভাষা।
-
অপভ্রংশ থেকে বাংলা: প্রায় ১০০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে অপভ্রংশ ভাষা থেকে বাংলা ভাষার প্রাথমিক রূপ দেখা যায়, যা পরে আরও পরিশোধিত হয়ে আজকের আধুনিক বাংলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
-
ভৌগোলিক ভূমিকা: বাংলা ভাষার উৎপত্তিস্থল ছিল প্রাচীন মাগধ অঞ্চল, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অংশবিশেষ এবং ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত।
-
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।বিশ্বের সপ্তম সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা (প্রায় ২৩ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলে)। বাংলা ভাষার সাহিত্যিক ঐতিহ্য প্রায় এক হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো।
বাংলা ভাষা প্রাকৃত, বিশেষত মাগধী প্রাকৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত। এটি এক দীর্ঘ ভাষাগত বিবর্তনের ফল, যেখানে লোকভাষা থেকে ধীরে ধীরে গঠিত হয়েছে সমৃদ্ধ সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভাষা — আধুনিক বাংলা।
0
Updated: 2 weeks ago
'চাকু' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
Created: 2 months ago
A
চীনা
B
তুর্কি
C
পর্তুগিজ
D
হিন্দি
✦ শব্দ: চাকু (বিশেষ্য পদ)
Language Origin: তুর্কি
Meaning / অর্থ:
-
ফলার ধারালো দিক ভাঁজ করে হাতলে ঢুকিয়ে রাখা যায় এমন ছোট ছুরি।
✦ অন্যান্য তুর্কি উৎসের বাংলা শব্দসমূহ
-
বাবা
-
কোর্মা
-
খাতুন
-
উজবুক
-
চাকু
-
তোপ
-
বাবুর্চি
0
Updated: 2 months ago