জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নয় কোনটি?
A
বন্যা
B
জলোচ্ছ্বাস
C
বনাঞ্চল সৃষ্টি
D
খরা
উত্তরের বিবরণ
বনাঞ্চল সৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশ্বিক প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
জলবায়ু পরিবর্তন হলো মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মকান্ডের ফলে বায়ুমন্ডলের গঠনগত পরিবর্তন, যা নির্দিষ্ট সময়কালে জলবায়ুর উপাদানসমূহকে প্রভাবিত করে এবং প্রাকৃতিক জলবায়ুগত ভিন্নতা সৃষ্টি করে।
-
এর নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে দেখা যায়: বৃষ্টির সময় অনাবৃষ্টি, খরার সময় বৃষ্টি, শীতের সময় অস্বাভাবিক গরম, গরমের সময় ভিন্নধর্মী আবহাওয়া ইত্যাদি।
-
পৃথিবীর উপকূলীয় এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে এবং বিখ্যাত শহরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে; বাংলাদেশও এর শীর্ষে রয়েছে।
-
এছাড়া, সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধির ফলে এশিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক ঝুঁকি বৃদ্ধি, বন্য জীবজন্তুর সংখ্যা কমে যাওয়া, লোনা পানির প্রবেশ ঝুঁকি, অসময়ে জলোচ্ছ্বাস, সুপেয় পানি দূষণ, বনাঞ্চল ধ্বংস, বাস্তুসংস্থানের ক্ষতি, খরা, বন্যা ও লবনাক্ততার কারণে ফসলি জমির ক্ষতি ঘটবে।
-
পৃথিবীর উষ্ণায়নের কারণে একবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশের জীবন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে।
-
গ্রীনহাউস প্রভাব সামাজিক, প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে, যার ফলে অর্থনৈতিক মন্দা ও খাদ্যাভাব দেখা দেবে। এটি উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর জনগণকে শরণার্থী পরিস্থিতিতে ঠেলে দেবে।
-
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ব্যাপক, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে বর্ষার বৃদ্ধির কারণে শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

0
Updated: 16 hours ago
বাণিজ্য বায়ুর অপর নাম কী?
Created: 1 week ago
A
পশ্চিমা বায়ু
B
ঘূর্ণিবায়ু
C
অয়ন বায়ু
D
মৌসুমি বায়ু
বাণিজ্য বায়ুর অপর নাম অয়নবায়ু।
অয়নবায়ু:
-
বিষুবীয় অঞ্চলে সূর্যকিরণ লম্বভাবে পতিত হওয়ায় বায়ুর চাপ কম থাকে, ফলে বায়ু উপরে উঠে ছড়িয়ে যায়।
-
এই বায়ু ক্রমাগত শীতল হয়ে নিচে নামতে না পেরে উত্তর ও দক্ষিণে ছড়িয়ে যায়।
-
প্রায় ৩০° অক্ষাংশ বরাবর এই বায়ু নিচে নেমে আবার বিষুবীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
ফেরেলের সূত্রানুযায়ী, উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে এই বায়ু প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ুকেই অয়নবায়ু বলা হয়।
-
উত্তর গোলার্ধের অয়নবায়ুকে উত্তর-পূর্ব অয়নবায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধের অয়নবায়ুকে দক্ষিণ-পূর্ব অয়নবায়ু বলা হয়।
-
প্রাচীনকালে বাণিজ্য জাহাজগুলো এই বায়ুপ্রবাহ অনুসরণ করতো, তাই একে বাণিজ্য বায়ুও বলা হয়।
-
সাধারণত উচ্চচাপ সম্পন্ন এলাকায় অয়নবায়ু প্রবাহিত হওয়ায় এসব স্থানে আবহাওয়া উষ্ণ, শুষ্ক ও মেঘমুক্ত হয়।
-
পৃথিবীর বড় বড় মরুভূমি যেমন সাহারা ও কালাহারি মরুভূমিতে এই বায়ুপ্রবাহের প্রভাব দেখা যায়।
-
উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অয়নবায়ু নিরক্ষরেখার কাছাকাছি এসে অত্যধিক তাপে হালকা বায়ু হিসাবে উপরে উঠে যায়।
-
এই সময় নিরক্ষীয় রেখার উভয় পাশে প্রায় ৫০° অক্ষাংশ পর্যন্ত একটি শান্ত বলয় তৈরি হয়, যাকে নিরক্ষীয় শান্ত বলয় (Doldrum) বলা হয়।

0
Updated: 1 week ago