বাংলা ভাষায় বানানগত শুদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় শব্দের অশুদ্ধ ব্যবহার দেখা যায়, যেমন—স্বত্ত্ব আসলে একটি অশুদ্ধ বানান। এর শুদ্ধ রূপ হলো স্বত্ব, যা একটি বিশেষণ পদ।

• অশুদ্ধ বানান: স্বত্ত্ব

• শুদ্ধ বানান: স্বত্ব

• পদপ্রকৃতি: বিশেষণ

• অর্থ: বিষয়সম্পত্তি, ব্যবসায় প্রভৃতিতে অধিকার বা মালিকানা (যেমন—গ্রন্থস্বত্ব)।

অন্যদিকে নিম্নের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ:

• চূর্ণবিচূর্ণ

• সর্বাঙ্গীণ

• উপর্যুক্ত

উৎস: 

যখন ঋ, র বা ষ-এর পরে স্বরধ্বনি, ষ, য়, ব, হ, ৎ, অথবা ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকে, তখন তার পরবর্তী ন মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়ে যায়। অর্থাৎ, উচ্চারণগত নিয়মে এ অবস্থায় ‘ন’ → ‘ণ’ রূপে রূপান্তরিত হয়।

উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়—

• কৃপণ: ঋ-কারের পরে প্, তার পরে ণ → কৃ + প + ণ।

• হরিণ: র-এর পরে স্বরধ্বনি (ই), তার পরে ণ → হ + রি + ণ।

• অর্পণ: র্-এর পরে প্, তারপর অ ও ণ → অ + র্ + প + ণ।

• লক্ষণ: ষ (ক্) + অ + ণ → ল + ক্ষ + ণ।

• এছাড়াও রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ প্রভৃতি শব্দেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

'জঙ্গম' শব্দের অর্থ হলো গতিশীল, চলমান, সচল, এবং এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো স্থাবর, যার অর্থ স্থানান্তরিত করা যায় না এমন, নিশ্চল, স্থির। এর পাশাপাশি আরও কিছু বিপরীতার্থক শব্দ রয়েছে।

• সুগম: দুর্গম

• মসৃণ: বন্ধুর

উৎস: