নিচের কোনটি নিত্য পুরুষবাচক শব্দ?
A
শূদ্র
B
সেনাপতি
C
শিষ্য
D
মরদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় নিত্য পুরুষবাচক শব্দ এমন শব্দ যা স্বাভাবিকভাবেই পুরুষ লিঙ্গ নির্দেশ করে। এ ধরনের শব্দ সাধারণভাবে পুরুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
নিত্য পুরুষবাচক শব্দ
-
কবিরাজ
-
কৃতদার
-
অকৃতদার
-
ঢাকী
-
সেনাপতি
-
-
সমতুল্য নারী বা বিপরীত লিঙ্গ নির্দেশক শব্দ
-
মরদ ↔ জেনানা
-
শিষ্য ↔ শিষ্যা
-
শূদ্র ↔ শূদ্রা
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কবি কবি
B
এলোমেলো
C
খুটুর খুটুর
D
জ্বলজ্বল
বাংলা ভাষায় দ্বিত্ব শব্দগঠন বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়, যা বাক্য ও ভাবকে আরও প্রাঞ্জল ও চিত্তাকর্ষক করে তোলে। দ্বিত্বের প্রধান তিনটি ধরন নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
-
কোনো শব্দ পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, কথায় কথায়, ঘুম ঘুম
-
-
অনুকার দ্বিত্ব
-
পরপর প্রয়োগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দ, যেখানে প্রথম শব্দ অর্থপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় শব্দটি সাধারণত অর্থহীন এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়।
-
উদাহরণ: গুটিশুটি, মোটাসোটা, আম টাম, এলোমেলো
-
-
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
-
প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়।
-
আর এই ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তি ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব নামে পরিচিত।
-
উদাহরণ: কুটুস-কুটুস, কুট কুট, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, জ্বলজ্বল, ঝমঝম, চকচক, টসটস
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কার কবিতায় টি.এস এলিয়টের কবিতার প্রভাব রয়েছে?
Created: 4 weeks ago
A
জীবনানন্দ দাশ
B
বিষ্ণু দে
C
জসীম উদ্দীন
D
বুদ্ধদেব বসু
বিষ্ণু দে ছিলেন একজন কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক ও শিল্পানুরাগী। তিনি ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই কলকাতার পটলডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অবিনাশচন্দ্র দে ছিলেন একজন অ্যাটর্নি। বাংলা সাহিত্যে তিনি ত্রিশোত্তর নব্যধারার কবিতার আন্দোলনের প্রধান পাঁচজন কবির অন্যতম ছিলেন। তাঁর চিন্তাভাবনা ছিল মার্কসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ, এবং তাঁর কবিতায় টি. এস. এলিয়টের প্রভাব সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।
বিষ্ণু দে-র উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ—
-
উর্বশী ও আর্টেমিস,
-
চোরাবালি,
-
সাত ভাই চম্পা,
-
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ,
-
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার,
-
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ ইত্যাদি।
তাঁর প্রবন্ধসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
-
রুচি ও প্রগতি,
-
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ,
-
রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্যে আধুনিকতার সমস্যা।
অনুবাদ সাহিত্য:
-
টি. এস. এলিয়টের কবিতা অনুবাদ করেছেন।
0
Updated: 4 weeks ago
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি?
Created: 2 months ago
A
নিরঞ্জনের রুষ্মা
B
দোহাকোষ
C
গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
D
ময়নামতির গান
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/গানের সংকলন। এটি আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ: ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ আধুনিক লিপিতে এটি প্রকাশ করে।
-
সম্পাদনা: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়।
-
রচয়িতা ও বিষয়বস্তু: চর্যাপদের গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন। এতে বৌদ্ধধর্মের চিন্তা-ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কবির সংখ্যা ও পদসংখ্যা:
-
সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায় এবং পদসংখ্যা ৫১টি; তবে তিনি ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘Buddhist Mystic Songs’-এ ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
অন্যান্য সাহিত্য নিদর্শন:
-
‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ – অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
শুকুর মহম্মদের গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস ও ভবানী দাসের ময়নামতির গান – নাথ সাহিত্য তথা মধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শন।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago