এক কথায় প্রকাশ
বর্ণনা | এক কথায় প্রকাশ |
---|---|
যা অপনয়ন করা কষ্টকর | দূরপনেয় |
যা অপনয়ন করা যায় না | অনপনেয় |
যা অনুভব করা হচ্ছে | অনুভূয়মান |
যা বহন করা যাচ্ছে | নীয়মান |
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
কোনটি নিত্যবৃত্ত অতীতে কালের উদাহরণ?
A
আমি রোজ সকালে বেড়াই।
B
আমি রোজ বেড়াতে যাব।
C
তারা মাঠে খেলছিল।
D
সাতাশ হতো যদি একশ সাতাশ।
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় নিত্যবৃত্ত অতীত কাল ক্রিয়ার সাধারণ অভ্যস্ততা বা নিয়মিত ঘটনার প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। এটি অতীতের অভ্যাস বা রোজকার কর্মকাণ্ডকে নির্দেশ করে এবং বিশেষ প্রেক্ষাপটে কামনা, কল্পনা বা সম্ভাবনা প্রকাশেও ব্যবহৃত হয়। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
নিত্যবৃত্ত অতীত কাল
সংজ্ঞা: অতীত কালে যে ক্রিয়া সাধারণ অভ্যস্ততা অর্থে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
আমরা তখন রোজ সকালে নদী তীরে ভ্রমণ করতাম।
আমি রোজ স্কুলে যেতাম।
নিত্যবৃত্ত অতীতের বিশেষ ব্যবহার
কামনা প্রকাশে: আজ যদি সুমন আসত, কেমন মজা হতো।
অসম্ভব কল্পনায়: সাতাশ হতো যদি একশ সাতাশ।
সম্ভাবনা প্রকাশে: তুমি যদি যেতে, তবে ভালোই হতো।
অন্যান্য কাল সম্পর্কিত উদাহরণ
নিত্যবৃত্ত বর্তমান: আমি রোজ সকালে বেড়াই।
ভবিষ্যৎ কাল: আমি রোজ বেড়াতে যাব।
ঘটমান অতীত কাল: তারা মাঠে খেলছিল।
উৎস:
0
Updated: 18 hours ago
'মলিন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
গৌরাঙ্গ
B
সুশ্রী
C
উজ্জ্বল
D
সরস
'মলিন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো উজ্জ্বল। এর পাশাপাশি আরও কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলোর বিপরীতার্থক রূপ নিচে দেওয়া হলো।
শ্যামল: গৌরাঙ্গ
সুশ্রী: কুশ্রী / বিশ্রী
সরস: নীরস
উৎস:
0
Updated: 1 day ago
"যা অপনয়ন করা কষ্টকর" এর এক কথায় প্রকাশ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
অনপনেয়
B
দূরপনেয়
C
অনুভূয়মান
D
নীয়মান
0
Updated: 3 weeks ago
'পরাগলী মহাভারত' খ্যাত গ্রন্থের অনুবাদকের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
সঞ্চয়
B
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
C
শ্রীকর নন্দী
D
কাশীরাম দাস
‘পরাগলী মহাভারত’
এই নামেই পরিচিত মহাভারত অনুবাদগ্রন্থের অনুবাদক ছিলেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
বাংলা ভাষায় মহাভারত অনুবাদ করা প্রথম কবি তিনি।
নবাব হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৮) চট্টগ্রামের প্রশাসনের দায়িত্বে পরাগল খাঁ নামক এক সেনাপতিকে নিযুক্ত করেছিলেন।
যুদ্ধপ্রবণ পরাগল খাঁ মহাভারতের যুদ্ধবিষয়ক কাহিনি শুনে মুগ্ধ হন এবং কবীন্দ্র পরমেশ্বরকে সেটি অনুবাদ করতে বলেন।
এই কারণেই অনূদিত গ্রন্থটি ‘পরাগলী মহাভারত’ নামে পরিচিত হয়।
কবীন্দ্র পরমেশ্বর তাঁর অনুবাদকৃত মহাভারতের নাম দেন ‘ভারত পাঁচালী’।
• ‘ছুটি খাঁনী মহাভারত’
পরাগল খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ছুটি খাঁ চট্টগ্রামের শাসনভার গ্রহণ করেন।
তিনি সভাকবি শ্রীকর নন্দীকে মহাভারত অনুবাদের নির্দেশ দেন।
শ্রীকর নন্দী জৈমিনি মহাভারতের ‘অশ্বমেধ পর্ব’ অবলম্বনে কাব্যিক রূপে ‘ভারত পাঁচালী’ রচনা করেন।
এই অনুবাদগ্রন্থটি ‘ছুটি খাঁনী মহাভারত’ নামে পরিচিত।
অনেকে মনে করেন, শ্রীকর নন্দী কবীন্দ্র পরমেশ্বরের অসম্পূর্ণ মহাভারতের কাজ সম্পূর্ণ করেন।
অতিরিক্ত তথ্য
মহাভারত মূলত সংস্কৃত ভাষায় রচিত, যার মূল রচয়িতা হলেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব।
বাংলা ভাষায় মহাভারতের সর্বাধিক সমাদৃত অনুবাদটি করেন কাশীরাম দাস।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago