নিচের কোনটি 'অশ্ব' এর সমার্থক শব্দ নয়?
A
বাজী
B
সৈয়দ
C
তুরঙ্গ
D
টাঙন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সমার্থক শব্দ জানার মাধ্যমে ভাষার ব্যবহার আরও সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
-
সৈয়দ : পদবিবিশেষ, সমার্থক নয় ঘোড়া
-
‘ঘোড়া’ শব্দের সমার্থক শব্দ :
অশ্ব, ঘোড়া, ঘোটক, হয়, বাহ, বাজী, তুরঙ্গ, মরুদ্রথ, বামী, টাঙন ইত্যাদি
উৎস:

0
Updated: 18 hours ago
বিরাম চিহ্ন কেন ব্যবহৃত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
বাক্যের অর্থ স্পষ্টীকরণের জন্য
B
বাক্য সংকোচনের জন্য
C
বাক্যের সৌন্দর্যের জন্য
D
বাক্যকে অলংকৃত করার জন্য
বিরাম চিহ্ন ব্যবহার হয় বাক্যের অর্থ স্পষ্টীকরনের জন্য। বিরামচিহ্ন বা ছেদচিহ্ন হল সেইসব সাংকেতিক চিহ্ন যেগুলো লেখ্যমাধ্যমে ব্যবহার করে বাক্যের বিভিন্ন ভাব, যেমন: জিজ্ঞাসা, বিস্ময়, সমাপ্তি ইত্যাদি সার্থকভাবে প্রকাশের মাধ্যমে বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট করা হয়। আমরা যখন কথা বলি তখন সবগুলো বাক্য একযোগে না বলে থেমে থেমে বলি।
অনেক সময় আবেগ প্রকাশ করি। কিন্তু বাক্য লিখে প্রকাশ করার সময় বিরতি ও আবেগ নির্দেশ করতে যতিচিহ্নের প্রয়োজন হয়। বাক্যে যতিচিহ্নের অশুদ্ধ ব্যবহার ক্ষেত্রবিশেষে অর্থবিকৃতি ঘটাতে পারে।

0
Updated: 3 weeks ago
"মুখ্য" এর বিপরীত শব্দ—
Created: 3 days ago
A
ক্ষুদ্র
B
ছোটো
C
তুচ্ছ
D
গৌণ
মুখ্য শব্দের বিপরীত হলো গৌণ।
অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ:
-
সন্ধি = বিবাদ, বিগ্রহ
-
হৃদ্যতা = কপটতা
-
হাজির = গরহাজির
-
সরস = নীরস
-
মুক্ত = আবদ্ধ
উৎস:

0
Updated: 3 days ago
ষ-ত্ব বিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটেছে নিচের কোন শব্দে?
Created: 1 week ago
A
পোষাক
B
মাষ্টার
C
চক্ষুষ্মান
D
ষ্টেশন
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়মাবলী
১. সাধারণ ব্যবহার:
-
অ, আ ভিন্ন অন্যান্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের ক্ষেত্রে ‘ষ’ হয়।
-
উদাহরণ: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা।
-
-
তবে বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহার হয় না।
-
উদাহরণ: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট, স্টেশন।
-
২. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পরে:
-
এই ধরনের উপসর্গযুক্ত ধাতুতে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ:
-
অভিসেক → অভিষেক
-
সুসুপ্ত → সুষুপ্ত
-
অনুসঙ্গ → অনুষঙ্গ
-
প্রতিসেধক → প্রতিষেধক
-
প্রতিস্থান → প্রতিষ্ঠান
-
অনুস্থান → অনুষ্ঠান
-
বিসম → বিষম
-
সুসমা → সুষমা
-
-
৩. ঋ ধ্বনি এবং ঋ কারের পরে:
-
ঋ ধ্বনি বা ঋ কারের পর ‘ষ’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি।
-
৪. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পরে:
-
তৎসম শব্দে র-এর পরে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ: বর্ষা, ঘর্ষণ, বৰ্ষণ।
-
৫. র-ধ্বনির পরে অ, আ ভিন্ন স্বরধ্বনি থাকলে:
-
তার পরে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ: পরিষ্কার
-
-
কিন্তু অ, আ স্বরধ্বনি থাকলে ‘স’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: পুরস্কার
-
৬. ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে:
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
-
৭. স্বভাবতই ‘ষ’যুক্ত কিছু শব্দ:
-
উদাহরণ: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ।
৮. সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে ‘ষ’ ব্যবহার হয় না:
-
উদাহরণ: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়ম শব্দের উৎপত্তি, ধ্বনিগত পরিবেশ ও পদবিন্যাস অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

0
Updated: 1 week ago