'রাত্রের মধ্যভাগ' এর এক কথায় প্রকাশ-
A
মহানিশা
B
পররাত্র
C
ত্রিযামা
D
সৌপ্তিক
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় রাত্রি সম্পর্কিত শব্দগুলো নির্দিষ্ট সময় ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাত্রি সম্পর্কিত শব্দ নিচে দেওয়া হলো।
-
মধ্যরাত্রি : মহানিশা
-
অন্যান্য রাত্রি সম্পর্কিত শব্দ
-
রাত্রির তিনভাগ একত্রে : ত্রিযামা
-
রাত্রিকালীন যুদ্ধ : সৌপ্তিক
-
রাত্রির শেষ ভাগ : পররাত্র
-
রাত্রির প্রথম ভাগ : পূর্বরাত্র
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন শব্দে সমাস-ঘটিত অশুদ্ধি ঘটেছে?
Created: 1 month ago
A
কৃপণতা
B
সুবুদ্ধিমান
C
স্বতন্ত্রতা
D
অধৈর্যতা
সমাস-ঘটিত অশুদ্ধি হলো সুবুদ্ধিমান, যার শুদ্ধ রূপ হলো সুবুদ্ধি। এই ক্ষেত্রে ‘মান’ যুক্ত করা অনর্থক ও অপ্রয়োজনীয়।
অন্যদিকে—
-
‘তা’ প্রত্যয় ঘটিত অপপ্রয়োগ হয়েছে অধৈর্যতা শব্দে। এর শুদ্ধ রূপ হলো অধৈর্য বা ধীরতা।
-
স্বতন্ত্রতা এবং কৃপণতা শব্দগুলোর প্রয়োগ শুদ্ধ।
0
Updated: 1 month ago
'এখন যেতে পার।' এখানে 'যেতে পার' কোন ক্রিয়ার উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
মিশ্র ক্রিয়া
B
প্রযোজক ক্রিয়া
C
দ্বিকর্মক ক্রিয়া
D
যৌগিক ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া (Compound Verbs) – সংজ্ঞা ও উদাহরণ
সংজ্ঞা:
যদি একটি সমাপিকা ক্রিয়া (finite verb) এবং একটি অসমাপিকা ক্রিয়া (non-finite verb) একত্রে মিলিত হয়ে একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলা হয়।
উদাহরণ:
-
ঘটনাটা শুনে রাখ।
-
তিনি বলতে লাগলেন।
-
সাইরেন বেজে উঠল।
যৌগিক ক্রিয়ার অন্যান্য উদাহরণ ও অর্থানুসারে শ্রেণীবিন্যাস:
-
নিরন্তরতা প্রকাশে: তিনি বলতে লাগলেন।
-
কার্যসমাপ্তি প্রকাশে: ছেলেমেয়েরা শুয়ে পড়ল।
-
অভ্যস্ততা প্রকাশে: শিক্ষায় মন সংস্কারমুক্ত হয়ে থাকে।
-
অনুমোদন প্রকাশে: এখন যেতে পার।
উল্লেখ্য: সব উদাহরণই যৌগিক ক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 1 month ago
'রুখের তেন্তুলি কুমীরে খাই’--এর অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
তেজি কুমিরকে রুখে দিই
B
বৃক্ষের শাখায় পাকা তেঁতুল
C
গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়
D
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয়
চর্যাগীতির মধ্যে কিছু গান কাব্যিক এবং তান্ত্রিক দিক নির্দেশ করে। কুক্কুরীপার রচিত চর্যাগীতি এই ধারার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তাঁর রচনাগুলোতে সমাজ, দৈনন্দিন জীবন এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা একসাথে ফুটে ওঠে।
কুক্কুরীপা সম্পর্কিত তথ্য:
-
কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গান রচয়িতা (২, ২০, ৪৮ নম্বর)।
-
৪৮ সংখ্যক গানের একটি পুথি বর্তমানে লুপ্ত।
-
তিনি উচ্চবংশীয় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়; তাঁর চর্যার ভাষা এ কথা নির্দেশ করে।
-
কুক্কুরীপা তান্ত্রিক নাম বা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন; নামের সঙ্গে 'পা' যুক্ত থাকায় কেউ কেউ এটিকে গুরুপ্রতি শ্রদ্ধাসূচক ছদ্মনাম মনে করেন।
-
তারানাথের মতে, তাঁর সঙ্গে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত, এ থেকেই নামকরণ হয়েছে কুক্কুরীপা।
-
ধারণা করা হয়, তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী ছিলেন। হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লোক বলেছেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’-এর রচয়িতা হিসেবে কুক্কুরীপার নাম পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় তিনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০–৮২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন। ধারণা করা হয়, ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
যোগভাবনাপ্রদেশ
-
স্রবপরিচ্ছদ
-
কুক্কুরীপার চর্যারপদসমূহ (মূল চর্যা ও আধুনিক গদ্যে অনুবাদ):
১. দুলি দুহি পীঢ়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেন্তলি কুম্ভীরে খাই'।
-
মাদি কচ্ছপ দোহন করে দুগ্ধ-পাত্রে, দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী। -
ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা। অর্ধরাতে চোর কানপাশা নিয়ে গেল।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই'। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই। -
শ্বশুর নিদ্রা গেল, বধূ রইল জেগে। কানপাশা চোরে নিলে কার কাছে মাগা যায়?
৪. দিবসহি' বহুড়ী কাউহি' ডর' ভাই'। রাতি ভইলে কামরু জাই। -
দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত হয়। রাত হলে কামরাজ্যে বা কামরূপে যায়।
৫. অইসনী” চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল"। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি" সমাইল। -
এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন। কোটির মধ্যে একের চিত্তে তা প্রবেশ করল।
0
Updated: 1 month ago