কোনটি পুরাঘটিত অতীত কাল নির্দেশ করে?
A
আমরা তখন পত্রিকা পড়ছিলাম।
B
কাল সন্ধ্যায় বৃষ্টি পড়ছিল।
C
কাজটি কি তুমি করেছিলে?
D
শিকারি পাখিটিকে গুলি করল।
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় অতীত কাল ক্রিয়ার সময় ও ঘটনার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তিন ধরনের ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি অতীত কাল নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
-
পুরাঘটিত অতীত কাল
-
সংজ্ঞা: যে ক্রিয়া অতীতের বহু পূর্বেই সংঘটিত হয়েছে এবং যার পরে আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে, তাকে পুরাঘটিত অতীত কাল বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
সেবার তাকে সুস্থই দেখেছিলাম।
-
কাজটি কি তুমি করেছিলে?
-
-
-
সাধারণ অতীত কাল
-
সংজ্ঞা: বর্তমান কালের পূর্বে যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে, তার সংঘটন সাধারণ অতীত কাল।
-
উদাহরণ:
-
শিকারি পাখিটিকে গুলি করল।
-
-
-
ঘটমান অতীত কাল
-
সংজ্ঞা: অতীত কালে যে কাজ চলছিল এবং সেই সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখনও কাজটি সমাপ্ত হয়নি, এমন ক্রিয়ার সংঘটনকে ঘটমান অতীত কাল বলে।
-
উদাহরণ:
-
কাল সন্ধ্যায় বৃষ্টি পড়ছিল।
-
আমরা তখন বই পড়ছিলাম।
-
বাবা আমাদের পড়াশুনা দেখছিলেন।
-
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষায় কয়টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ আছে?
Created: 3 months ago
A
উনিশ
B
কুড়ি
C
একুশ
D
বাইশ
উপসর্গ
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ এবং মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২২ সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago
'বেটাইম' শব্দটি গঠিত হয়েছে-
Created: 3 months ago
A
ফারসি ও ইংরেজি শব্দে
B
ফরাসি ও ইংরেজি শব্দে
C
ফারসি ও ফরাসি শব্দে
D
ফারসি ও হিন্দি শব্দে
‘বেটাইম’ শব্দে বে ফারসি উপসর্গ এবং টাইম ইংরেজি শব্দ।
- অর্থাৎ ফারসি উপসর্গ এবং ইংরেজি শব্দের সমন্বয়ে বেটাইম শব্দটি গঠিত।
অর্থ:
- অসময়,
- অসুবিধাজনক সময়।
- কোনাে কোনাে সময় দেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদ্বৈত সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যেমন:
- ‘কাঁচামাল’ (বাংলা + আরবি),
- রাজা-বাদশা (তৎসম + ফারসি),
- হাট-বাজার (বাংলা + ফারসি),
- চৌহদ্দি ( বাংলা + ফারসি),
- হেড-পণ্ডিত (ইংরেজি+তৎসম) ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 3 months ago
কোনটি বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 2 months ago
A
যোগ্যতা
B
আকাঙ্ক্ষা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
• আদর্শ সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়- আসক্তি।
ভাষার বিচারে একটি আদর্শ সার্থক বাক্যে ৩টি গুণ থাকা আবশ্যক।
যথা-
১. আকাঙ্ক্ষা,
২. আসত্তি এবং
৩. যোগ্যতা।
• আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অর্থ স্পষ্টকরণে এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা বা প্রয়াস তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
উদাহরণ- কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
- উপরের বাক্যটি অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ বাক্যে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি।
- বাক্যটিকে এভাবে পরিপূর্ণ করা যায়- কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
• আসত্তি:
- বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় সুনির্দিষ্ট পদবিন্যাসই হলো আসত্তি।
উদাহরণ: নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
- বাক্যটির পদগুলো সন্নিবেশ না হওয়ায় অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ হয়নি। তাই এটি আদর্শ বাক্য নয়।
- পরিপূর্ণ বাক্য গঠনে বাক্যের পদ্গুলো সাজাতে হবে- হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
• যোগ্যতা:
- বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহের বিশ্বাসযোগ্য ভাবসম্মিলনের নাম হল যোগ্যতা।
উদাহরণ: বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
- বাক্যটি ভাব প্রকাশের যোগ্যতা হারিয়েছে। কেননা রোদ কখনো প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না।
- তাই যোগ্যতাসম্পন্ন বাক্যটি হবে- ‘বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে’।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 2 months ago