'যা বলা হয়নি' এর এক কথায় প্রকাশ-
A
অনুক্ত
B
অবাচ্য
C
অকথ্য
D
অব্যাক্ত
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ বা ভাবকে এক কথায় প্রকাশ করা যায়, যা বাক্যকে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল করে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ তুলে ধরা হলো।
-
যা বলা হয়নি → অনুক্ত
-
বলা অনুচিত এমন → অবাচ্য
-
যা বলার যোগ্য নয় → অকথ্য
-
যা কখনো নষ্ট হয় না → অবিনশ্বর
-
যা মর্ম স্পর্শ করে → মর্মস্পর্শী
-
যা অতি দীর্ঘ নয় → নাতিদীর্ঘ
-
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না → অজ্ঞাতকুলশীল
-
যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না → বর্ণচোরা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'অক্ষির সমীপে'র সংক্ষেপ হলো-
Created: 4 months ago
A
সমক্ষ
B
পরোক্ষ
C
প্রত্যক্ষ
D
নিরপেক্ষ
‘অক্ষির সমীপে’ বাক্য সংকোচন - সমক্ষ।
- ‘অক্ষির সমীপে’ অর্থাৎ কোনো কিছুর চোখের সামনে বা কাছে থাকা বোঝাতে সমক্ষ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
‘অক্ষির অভিমুখে’ অর্থাৎ চোখের দিকে বা সরাসরি সামনে থাকা বোঝাতে প্রত্যক্ষ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
‘অক্ষির অগোচরে’ অর্থাৎ চোখ থেকে দূরে বা গোপনে কিছু ঘটার ক্ষেত্রে পরোক্ষ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
যখন কাউকে পক্ষপাতদুষ্ট নয়, নিরপেক্ষ বা কোন পক্ষের সমর্থক নয় বোঝাতে নিরপেক্ষ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
উল্লেখ্য, এই শব্দসমূহের ব্যুৎপত্তি ও ব্যবহারের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধান এবং ড. সৌমিত্র শেখরের গ্রন্থ ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ থেকে।
এই শব্দগুলো ভাষাকে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল করে তুলতে সাহায্য করে।
0
Updated: 4 months ago
’ণ-ত্ব’ বিধান অনুযায়ী কোনটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
ট-বর্গীয় ধ্বনির পরে তৎসম শব্দে ‘ণ’ লেখা হয়
B
ঋ, র, ষ-এর পরে সবসময় ‘ণ’ ব্যবহৃত হয়
C
ঔ, ও-এর পরে ‘ণ’ ব্যবহার হয়
D
বিদেশি শব্দে ’ণ’ হয়
ণ-ত্ব বিধান:
বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
'ণ' ব্যবহারের নিয়ম:
-ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়। যেমন: ঘণ্টা, কাণ্ড ইত্যাদি।
- ঋ, র, ষ - এর পরে 'ণ' হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
-কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই 'ণ' হয়।
যেমন: চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, স্থাণু, ফণী, পিণাক ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
Created: 4 weeks ago
A
আমি সন্তুষ্ট হলাম।
B
মেয়েটি সুকেশৈলী ও সুহাসি।
C
অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।
D
তোমাকে দেখে সে আশ্চর্য হয়েছে।
শুদ্ধ বাংলা বাক্যরীতি অনুসারে “আমি সন্তুষ্ট হলাম” বাক্যটি সঠিক। বাংলা ভাষায় শব্দের অর্থ, ব্যাকরণ ও ব্যবহারিক প্রেক্ষাপটের যথাযথ প্রয়োগে শুদ্ধতা নির্ধারিত হয়। নিচে কয়েকটি অশুদ্ধ ও শুদ্ধ বাক্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো।
অশুদ্ধ ও শুদ্ধ বাক্যের উদাহরণ:
-
অশুদ্ধ: মেয়েটি সুকেশৈলী ও সুহাসি।
শুদ্ধ: মেয়েটি সুকেশী ও সুহাসিনী।
কারণ: “সুকেশী” ও “সুহাসিনী” শব্দদ্বয়ই বিশেষণরূপে নারীবাচক এবং যথাযথ প্রমিত রূপ। -
অশুদ্ধ: তোমাকে দেখে সে আশ্চর্য হয়েছে।
শুদ্ধ: তোমাকে দেখে সে আশ্চর্যান্বিত হয়েছে।
কারণ: “আশ্চর্যান্বিত” শব্দটি “আশ্চর্য” বিশেষণের ক্রিয়াপদে রূপান্তরিত রূপ, যা বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক। -
অশুদ্ধ: অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।
শুদ্ধ: অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা।
কারণ: “অধ্যাপন” মানে শিক্ষা দেওয়া, কিন্তু ছাত্ররা শিক্ষা গ্রহণ করে, তাই “অধ্যয়ন” শব্দটি যথার্থ।
সুতরাং প্রমিত ব্যাকরণ অনুযায়ী:
“আমি সন্তুষ্ট হলাম” এবং উপরোক্ত শুদ্ধ বাক্যগুলোই বাংলা ভাষার শুদ্ধরূপে গ্রহণযোগ্য।
0
Updated: 4 weeks ago