অশুদ্ধ বানান নির্ণয় করুন-
A
কৃষিজীবী
B
সমীচীন
C
ভাগীরথি
D
বিভীষিকা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বানানের পার্থক্য জানা ভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
অশুদ্ধ বানান: ভাগীরথি
-
শুদ্ধ বানান: ভাগীরথী
-
এটি একটি বিশেষ্য পদ
-
শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে
-
অর্থ: গঙ্গা নদীর অন্য নাম; গঙ্গার একটি শাখা নদী বিশেষ
-
শুদ্ধ বানানের উদাহরণ: বিভীষিকা, কৃষিজীবী, সমীচীন
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
"আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" - বাক্যটির জটিল রূপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আমি যে বাংলা বিভাগের ছাত্র, তা সবাই জানে।
B
আমার বিভাগের নাম বাংলা।
C
আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
D
আমি একটি বিভাগের ছাত্র এবং তার নাম বাংলা।
সঠিক উত্তর: গ) আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
ব্যাখ্যা:
মূল বাক্য: "আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" — এটি একটি সরল বাক্য (একটি উদ্দেশ্য + একটি বিধেয়)।
জটিল বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
-
একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য থাকে।
-
সংযোজক শব্দ (যে, যা, যার, যেখানে ইত্যাদি) দ্বারা যুক্ত থাকে।
-
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি।
-
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যেহু-সেহু, যখন-তখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি।
এগুলো ব্যবহার করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
সুতরাং, এই উদাহরণে "আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা" একটি জটিল বাক্য।
0
Updated: 1 month ago
'অতি দর্পে হত লঙ্কা' প্রবাদের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
অহঙ্কার পতনের মূল
B
বেশি লোভে ক্ষতি
C
বেশি আড়ম্বরে কাজ কম
D
অযোগ্য লোকের বৃথা আস্ফলন
‘অতি দর্পে হত লঙ্কা’ হলো একটি প্রবাদমূলক বাগ্ধারা, যা মানুষকে অহঙ্কার বা অতিরিক্ত অহমিকার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে। এ বাগ্ধারার মূল বক্তব্য হলো, অহংকার যদি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়, তবে তা পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সতর্কতার একটি নীতি হিসেবে প্রযোজ্য।
-
গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা এবং তাদের অর্থ:
-
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট: অতিরিক্ত লোভ মানুষকে ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়।
-
অর্থই অনর্থের মূল: অর্থের জন্য করা লোভী বা স্বার্থপর কাজ প্রায়ই অনৈতিক বা ক্ষতিকর পরিণতি ডেকে আনে।
-
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়: দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকলে কঠিন ও জটিল কাজও সম্ভব।
-
-
ব্যবহারিক দিক: এই বাগ্ধারাগুলো শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, জীবনচর্চা এবং ব্যক্তিগত চরিত্র গঠনে নির্দেশিকা হিসেবে কাজে লাগে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি নাম ধাতু?
Created: 5 days ago
A
খা
B
কর
C
ঘুমা
D
হাড়
“ঘুমা” হলো বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত একটি নামধাতু (proper noun)। নামধাতু হলো সেই শব্দ যা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান বা বস্তু বোঝায়। এই ধরনের শব্দের মাধ্যমে আমরা কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তু চিহ্নিত করতে পারি। সাধারণত নামধাতু হলো unique বা একক। অন্য সাধারণ noun যেমন “ছাত্র” বা “গাছ” যেটি সব ছাত্র বা সব গাছের জন্য ব্যবহার হয়, তার থেকে নামধাতু আলাদা।
“ঘুমা” শব্দটি সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বস্তু, প্রাণী বা ব্যক্তির নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি নাম যা অন্য সাধারণ শব্দের সঙ্গে মিলিত নয়, অর্থাৎ এর মাধ্যমে আমরা শুধু একটি বিশেষ জিনিস বা ব্যক্তিকে বোঝাই। এটি ব্যবহারের সময় সর্বদা প্রথম অক্ষর capital বা বড় অক্ষর হিসেবে লেখা হয় যদি ইংরেজিতে রূপান্তর করি। বাংলায়ও নামধাতু বোঝাতে এটি আলাদা করে ব্যবহার করা হয়।
বাক্যের উদাহরণ দিয়ে বোঝা যায়:
-
ঘুমা স্কুলে গেল।
এখানে “ঘুমা” হলো নির্দিষ্ট একটি ব্যক্তির নাম। -
ঘুমা খাওয়ার সময় মিষ্টি পছন্দ করে।
এই বাক্যেও “ঘুমা” নামধাতু হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
নামধাতুর বৈশিষ্ট্য:
-
নামধাতু সবসময় নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি, প্রাণী বা স্থানের নাম বোঝায়।
-
এটি সাধারণ noun-এর মতো অনেক বার ব্যবহৃত হলেও প্রতিবার একই জিনিস বা ব্যক্তিকে বোঝায়।
-
নামধাতু সাধারণত প্রথম অক্ষর বড় করে লেখা হয় (বাংলা বা ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রে)।
-
এটি অনন্য এবং পৃথক; অন্য কোন সাধারণ বস্তুর সঙ্গে মিলিত নয়।
নামধাতু শেখার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের বোঝানো যে কোনো শব্দ কেবল সাধারণ অর্থ বহন করে না, বরং নির্দিষ্ট কিছু চিহ্নিত করতে পারে। নামধাতুর মধ্যে আমরা ব্যক্তি, প্রাণী, শহর, দেশ, নদী বা বিশেষ বস্তু অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। “ঘুমা” এখানে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণী হতে পারে, যাকে বাক্যে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নিচে পয়েন্ট আকারে নামধাতুর আরও বৈশিষ্ট্য এবং উদাহরণ তুলে ধরা হলো:
-
নির্দিষ্টতা: নামধাতু কোনো বিশেষ ব্যক্তি, প্রাণী বা স্থান বোঝায়।
উদাহরণ: ঘুমা, ঢাকা, পদ্মা নদী। -
অনন্যতা: নামধাতু সাধারণ noun-এর মতো নয়, এটি একক এবং আলাদা।
উদাহরণ: ঘুমা হলো শুধুমাত্র ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম। -
লিখনের নিয়ম: নামধাতু সাধারণত বাক্যের শুরুতে বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি চিহ্নিত করতে বড় অক্ষর দিয়ে লেখা হয়।
উদাহরণ: ঘুমা আজ স্কুলে উপস্থিত ছিল। -
ব্যবহার: নামধাতু বাক্যে subject, object বা complement হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
উদাহরণ:-
Subject: ঘুমা খেলায় অংশ নিল।
-
Object: আমি ঘুমাকে দেখেছি।
-
Complement: তার প্রিয় বন্ধু হলো ঘুমা।
-
-
প্রশিক্ষণমূলক দিক: নামধাতু শেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানবে যে শব্দের সাধারণ ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট চিহ্নিত করার ব্যবহার আলাদা। এটি বাক্য গঠন এবং ব্যাকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
ভাষাগত দিক: নামধাতু সরাসরি বোঝায় কারো পরিচয় বা পরিচিতি। এটি বাক্যের অর্থকে পরিষ্কার করে এবং বিভ্রান্তি কমায়।
উদাহরণ: “ঘুমা খেলে” → এখানে শুধু ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির খেলা বোঝায়, অন্য কাউকে নয়। -
সংক্ষিপ্তসার:
-
নামধাতু হলো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান বা বস্তু।
-
এটি একক ও অনন্য।
-
বাক্যে subject, object বা complement হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
লেখার নিয়মে এটি আলাদা চিহ্নিত হয়।
-
শিক্ষার্থীদের ব্যাকরণ শেখার জন্য অপরিহার্য।
-
প্রশ্ন “কোনটি নাম ধাতু?” এর একমাত্র সঠিক উত্তর হলো ঘুমা, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট নাম, যা কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা প্রাণী বোঝায়। এটি সাধারণ noun-এর মতো সাধারণ নয় এবং বাক্যে ব্যবহৃত হলে নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে।
0
Updated: 4 days ago