'চাটাই' কোন ভাষা থেকে আগত?
A
দেশি
B
তৎসম
C
ফারসি
D
তুর্কি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
- চাটাই দেশি শব্দ।
কিছু দেশি শব্দ:
ঢোল, ডিঙি, টোপর, বাখারি, কয়লা, কামড়, চাউল, ঝোল, , ডাহা, ঢিল, পয়লা, ডাঁসা, ডাব, ডাঙর, ঢিল, মাঠ, চাটাই, , ঝিনুক, শিকড়, কচি, খড়, পেট।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলার আদি জনগোষ্ঠী কোন ভাষাভাষী ছিল?
Created: 2 months ago
A
বৈদিক
B
অস্ট্রিক
C
পালি
D
ধ্রুপদী
বাংলা ভাষার উৎপত্তি
-
ভাষা পরিবার: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-গোষ্ঠীর সদস্য।
-
উৎপত্তি: ইন্দো-ইরানীয় শাখাভুক্ত নব্য-ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে।
-
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দুটি শাখা: কেন্তম এবং শতম। বাংলা ভাষা শতম শাখা থেকে উদ্ভূত।
-
-
আদি জনগোষ্ঠী: অস্ট্রিক ভাষাভাষী।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় প্রভাব
-
ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষার মূল উৎস অনার্য ভাষা।
-
আর্যদের ভাষা: বৈদিক ভাষা।
-
বৈদিক ভাষার সংস্কারজাত নতুন ভাষা: সংস্কৃত।
-
শব্দ “সংস্কৃত” প্রথম উল্লেখ: মহাকাব্য ‘রামায়ণ’।
-
-
বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয়: অহমিয়া ও ওড়িয়া।
-
ধ্রুপদী সংস্কৃতি ও পালি ভাষার সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: গৌড়ি প্রাকৃত → গৌড়ি অপভ্রংশ → বঙ্গ-কামরুপি → বাংলা।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়: মাগধী প্রাকৃত → মাগধী অপভ্রংশ → বাংলা।
-
ভাষাবিদরা ড. শহীদুল্লাহর মতামতকে অধিক গ্রহণযোগ্য মনে করেন।
বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক পর্যায়
১. প্রাচীন বাংলা: ৯০০/১০০০ – ১৩৫০
-
উল্লেখযোগ্য লিখিত নিদর্শন: চর্যাগীতিকাগুলি
২. মধ্যবাংলা: ১৩৫০ – ১৮০০
৩. আধুনিক বাংলা: ১৮০০ পরবর্তী
উৎস:
-
বাংলা একাডেমি, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (দ্বিতীয় খণ্ড)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'আচার্য' এর শুদ্ধ স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আচার্যিনী
B
আচার্যি
C
আচার্যানী
D
আচার্যাইন
বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনে আনী-প্রত্যয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রত্যয় যোগ করলে মূল শব্দ থেকে নতুন শব্দ তৈরি হয়, যা অনেক সময় লিঙ্গবাচক রূপ প্রকাশ করে, আবার কখনো অর্থে ভিন্নতা আনে।
-
আনী-প্রত্যয় যুক্ত শব্দ:
ইন্দ্র → ইন্দ্রানী
মাতুল → মাতুলানী
আচার্য → আচার্যানী (তবে আচার্যের কর্মে নিয়োজিত অর্থে শুধু আচার্য) -
অন্য উদাহরণ:
শূদ্র → শূদ্রা (শূদ্র জাতীয় স্ত্রীলোক)
শূদ্র → শূদ্রানী (শূদ্রের স্ত্রী)
ক্ষত্রিয় → ক্ষত্রিয়া/ক্ষত্রিয়ানী -
অর্থের পার্থক্য সৃষ্টি করা উদাহরণ:
অরণ্য → অরণ্যানী (বৃহৎ অরণ্য)
হিম → হিমানী (জমানো বরফ)
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান'- কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 weeks ago
A
অক্ষরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
স্বরবৃত্ত
D
অমিত্রাক্ষর
"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান"- এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত। স্বরবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রতিটি পদে স্বরবর্ণের পরিমাণ (মাত্রা) সুষম থাকে, এবং প্রতিটি পদে অন্ত্যধ্বনি বা শেষ শব্দের শেষ অংশে সাধারণত স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়। এই ছন্দের ক্ষেত্রে, প্রত্যেকটি অক্ষরের মধ্যে সহজ, মসৃণ ও ধারাবাহিক গতি থাকে।
এখানে "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" পদটি এর জন্যই উপযুক্ত উদাহরণ, কারণ এতে প্রতিটি শব্দের মধ্যে যে স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়, তা ধারাবাহিক ও মসৃণ। এর ফলে, শব্দের মধ্যে সুর এবং ছন্দের একটি সুন্দর প্রবাহ তৈরি হয়, যা স্বরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্য।
এছাড়া, বাকি ছন্দগুলো (অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অমিত্রাক্ষর) যেমন:
-
অক্ষরবৃত্ত: যেখানে প্রতিটি পদে নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে নির্ধারিত অক্ষরের।
-
মাত্রাবৃত্ত: যেখানে মাত্রার সংখ্যা অভিন্ন থাকে।
-
অমিত্রাক্ষর: যেখানে চরণে নিয়মিত চরণান্তর থাকে, কিন্তু অন্ত্যমিল নিয়মিত হয় না।
এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি স্বরবৃত্ত ছন্দের সঙ্গে মেলে না, এবং তাই "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
0
Updated: 2 weeks ago