কত সালে খাদ্য মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
A
২০১৩ সালে
B
২০১১ সালে২০১৪ সালে
C
২০১৪ সালে
D
২০১২ সালে
উত্তরের বিবরণ
খাদ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সরকারি খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যার ইতিহাস বহু পর্যায়ের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছে। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অবিভক্ত বাংলায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার জন্য ব্রিটিশ ভারতের অধীনে বেঙ্গল সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ডিপার্টমেন্ট প্রধান শহরগুলোতে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে এবং দ্রুত তা সম্প্রসারিত করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
১৯৫৫: ভারতবর্ষ বিভক্তির পর সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট বিলুপ্ত হয়, যা খাদ্য সরবরাহে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
-
১৯৫৬: কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিভিল সাপ্লাই অবয়বের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগ চালু হয়।
-
১৯৭২: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন নামে পরিচালিত হয়, যেমন: খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
-
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় পুনর্গঠন করে দুটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়:
১. খাদ্য মন্ত্রণালয়
২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
এভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্রভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 20 hours ago
বর্তমানে দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য বিশ্বের কয়টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
১২২টি
B
১৩৪টি
C
১৪৮টি
D
১৫৩টি
দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য:
-
বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য বিশ্বের ১৪৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
-
রপ্তানী প্রধান দেশসমূহ: কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য সহ আরও অনেক দেশ।
-
উল্লেখযোগ্য কৃষিজাত রপ্তানি পণ্য:
-
পাট ও পাটজাত দ্রব্য
-
সুগন্ধি চাল
-
শাক-সবজি ও ফলমূল: হিমায়িত আলু, কচু, পটোল, কচুমুখি, লাউ, পেঁপে, শিম, করলা, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, মিষ্টিকুমড়া, আম, কাঁঠাল, লেবু, লিচু, লটকন, আমড়া, পেয়ারা, শুকনা বরই ইত্যাদি।
-
চা, ফুল, নানা ধরনের মসলা: কালিজিরা, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, শুকনা মরিচ, বিরিয়ানি মসলা, কারি মসলা
-
তামাক, ড্রিংকস, ড্রাই ফুডস
-
-
ড্রাই ফুডস: বিস্কুট, চানাচুর, কেক, পটেটো ক্র্যাকার, বাদাম ইত্যাদি; এগুলোর মধ্যে রুটি, বিস্কুট ও চানাচুরজাতীয় শুকনা খাবার, ভোজ্যতেল, ফলের রস, মসলা, পানীয়, জ্যাম-জেলি সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়।
-
২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্য: কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে ১.১২ বিলিয়ন ডলার আয় অর্জন।
-
উৎস: কালের কণ্ঠ

0
Updated: 1 month ago