‘বেদের মেয়ে’ নাটকটির রচয়িতা পল্লিকবি জসীম উদ্দীন। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে।
• জসীম উদ্দীন রচিত অন্যান্য নাটক:
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
মধুমালা
-
পল্লীবধূ
-
গ্রামের মেয়ে
'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িতা কে?
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
জসীম উদদীন
C
আল মাহমুদ
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 20 hours ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'তাসের দেশ' নাটকটি কাকে উৎসর্গ করেন?
Created: 2 weeks ago
A
কাজী নজরুল ইসলামকে
B
মহাত্মা গান্ধীকে
C
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে
D
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোকে
'তাসের দেশ' — নাটক
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধরন: রূপক নাট্য
প্রকাশ: ১৯৩৩
ভিত্তি: রবীন্দ্রনাথের এক আষাঢ়ে গল্প নামক গল্পের কাহিনি
কাহিনী: রাজপুত্র এবং সদাগর পুত্র এক অপরিচিত দ্বীপে পৌঁছায়, যেখানে জীবন শাসিত হয় যান্ত্রিক নিয়মানুবর্তিতায়, যুক্তি ও হৃদয়হীন শাসনতন্ত্রের আনুগত্যে। রাজপুত্র এবং সদাগর এই নিয়মবন্দি জীবনে বিদ্রোহ নিয়ে আসেন।
উৎসর্গ: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে
উদ্দেশ্য: উপনিবেশ শাসিত ভারতীয়দের জড়ত্ব ঘোচাতে রবীন্দ্রনাথ মুক্তিদূত রূপী রাজপুত্রের আগমন কামনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অন্যান্য উৎসর্গকৃত গ্রন্থ:
তাসের দেশ — নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
পূরবী — ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো
বসন্ত — কাজী নজরুল ইসলাম
খেয়া — জগদীশচন্দ্র বসু
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 weeks ago
‘কিত্তনখােলা’ নাটকটির বিষয়-
Created: 1 week ago
A
যন্ত্রণাদগ্ধ শহরজীবন
B
স্নিগ্ধ-শ্যামল প্রকৃতির রূপ
C
লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি
D
দেশবিভাগজনিত জীবন যন্ত্রণা
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটি সেলিম আল দীন রচিত একটি জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম, যা বাংলা নাট্যশিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। নাটকটির মাধ্যমে সেলিম আল দীন পাশ্চাত্য নাট্যরীতি পরিহার করে প্রাচ্যীয় রীতি ও বাঙালির প্রান্তিক জনগণের জীবন-সংস্কৃতিকে নাট্যরূপে উপস্থাপন করেন।
তিনি নিজেও বলেছেন যে, কিত্তনখোলা রচনার সময় তিনি মানিকগঞ্জের লোকায়ত জীবন, সংস্কৃতি এবং অপূর্ব নিসর্গের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, যা নাটকে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যগুলো:
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটির রচয়িতা সেলিম আল দীন।
নাটকটি বাঙালির প্রান্তিক জনমানুষের প্রথাগত জীবন এবং সাংস্কৃতিক আচার-আচরণের ইতিবৃত্তকে তুলে ধরেছে।
নাট্যরচনার মাধ্যমে প্রাচ্যীয় নাট্যরীতি বাংলা নাট্যশিল্পে প্রবর্তন হয়।
সেলিম আল দীন:
জন্ম: ১৮ নভেম্বর ১৯৪৮, সোনাগাজি, নোয়াখালি জেলার সেনেরখিল গ্রামে।
তিনি মূলত কবিতা লিখতেন, তবে ১৯৭২ সালে তার নাটক ‘নীল শয়তান: তাহিতি ইত্যাদি’ টেলিভিশন ও বেতারে প্রচার হওয়ার পর নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান।
একই বছর ডাকসু মঞ্চে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ মঞ্চস্থ হয় এবং নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পায়।
১৯৭৩ সালে ডাকসু নাট্যচক্র ‘এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যা’ মঞ্চস্থ করলে তিনি নাট্যকার হিসেবে সর্বজন পরিচিত হন।
সেলিম আল দীনের অন্যান্য নাট্যগ্রন্থ:
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
বাসন
কেরামতমঙ্গল
কিত্তনখোলা
হাতহদাই
শকুন্তলা
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
চাকা
যৈবতী কন্যার মন
হরগজ
নিমজ্জন
0
Updated: 1 week ago
১৯৪৬ সালের দাঙ্গার পটভূমিকায় বিজন ভট্টাচার্য রচিত নাটক কোনটি?
Created: 3 days ago
A
মরাচাঁদ
B
জীয়নকন্যা
C
গোত্রান্তর
D
অবরোধ
বিজন ভট্টাচার্যের নাটকসমূহ
‘জীয়নকন্যা’ নাটক
রচনা: বিজন ভট্টাচার্য, ১৯৪৬।
পটভূমি: ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা ও গণনাট্য আন্দোলন।
বিষয়: বেদে সমাজের সংস্কার, প্রথা-পদ্ধতি, জাতিগত বিশ্বাস ও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা-বিদ্বেষ।
কাঠামো: তিনটি দৃশ্যের গীতিনাট্য।
কাহিনী সংক্ষেপ:
বেদে-সর্দার কন্যা উলুপী সর্পের দংশনে আহত হয়।
গুণীনের দল নানা তন্ত্র-মন্ত্র চালান, তবে সর্প নিরাশার বাণী শোনায়।
অবশেষে তাদের প্রচেষ্টায় উলুপীকে বিষমুক্ত করা হয় ও মহাজাগরণ ঘটে, যা তৎকালীন ‘ক্যালাস সরকার’-এর প্রতি প্রতিবাদের প্রতীক।
‘মরাচাঁদ’ নাটক
বিষয়: সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষের জীবন-সংগ্রাম।
বিশেষত্ব: নাটকের মধ্যে পবন বাউলের গান ব্যবহৃত।
‘গোত্রান্তর’ (১৯৬০)
বিষয়: ছিন্নমূল পূর্ববঙ্গবাসীর ভাগ্যবিপর্যয়।
‘অবরোধ’ (১৯৪৭)
বিষয়: মুনাফাখোর মিল-মালিক ও শোষিত শ্রমিকদের সংগ্রাম।
লক্ষ্য: কারখানার মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ ও কমিউনিজমের আদর্শ।
মন্তব্য: পুঁজিবাদী মালিকের চরিত্রায়নের দুর্বলতার কারণে গণনাট্য সংঘ গ্রহণ করেনি।
বিজন ভট্টাচার্যের নাটকগুলো মূলত সামাজিক আন্দোলন, শোষণ ও সংগ্রামের প্রতিফলন হিসেবে প্রাসঙ্গিক।
0
Updated: 3 days ago