একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ৩২ বর্গমিটার হলে বর্গক্ষেত্রের পরিবৃত্তের ব্যাস কত?
A
২√২ মিটার
B
৪√২ মিটার
C
৮ মিটার
D
১৬ মিটার
উত্তরের বিবরণ
প্রশ্ন: একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ৩২ বর্গমিটার হলে বর্গক্ষেত্রের পরিবৃত্তের ব্যাস কত?
সমাধান:
দেওয়া আছে,
বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = ৩২ বর্গমিটার
বর্গক্ষেত্রের বাহু = √৩২
= √(১৬ ×২)
= ৪√২ মিটার
বর্গক্ষেত্রের কর্ণ = বাহু × √২
= (৪√২× √২) মিটার
= ৮ মিটার
∴ বর্গক্ষেত্রের পরিবৃত্তের ব্যাস = বর্গক্ষেত্রের কর্ণ = ৮ মিটার
0
Updated: 1 month ago
১ মিটার সমান কত মিলিমিটার?
Created: 2 weeks ago
A
১০ মিলিমিটার
B
১০০ মিলিমিটার
C
১০০০ মিলিমিটার
D
১০,০০০ মিলিমিটার
দৈর্ঘ্যের একক রূপান্তর বুঝতে হলে মিটার ও মিলিমিটারের সম্পর্ক জানা জরুরি। মিটার হলো দৈর্ঘ্য পরিমাপের একটি মৌলিক একক, যা আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতিতে (SI Unit) ব্যবহৃত হয়।
অপরদিকে মিলিমিটার হলো ছোট একক, যা মিটারের হাজার ভাগের এক ভাগের সমান। অর্থাৎ, ১ মিটারকে ছোট এককে প্রকাশ করলে আমরা পাই ১০০০ মিলিমিটার। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
-
মিটার হলো মূল একক: দৈর্ঘ্য পরিমাপের আন্তর্জাতিক মান হলো মিটার (metre)। এটি এমন একটি একক যা দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ও স্থাপত্য সব ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
-
মিলিমিটার হলো ক্ষুদ্র একক: “মিলি” শব্দটি ল্যাটিন উৎস থেকে এসেছে, যার অর্থ “হাজার ভাগের এক ভাগ।” তাই ১ মিলিমিটার (mm) মানে হলো ১ মিটারের ১/১০০০ ভাগ।
-
রূপান্তর সূত্র: একক পরিবর্তনের সাধারণ সূত্র হলো—
১ মিটার = ১০০০ মিলিমিটার
এই সূত্র থেকে বোঝা যায়, বড় একককে ছোট এককে রূপান্তর করতে গুণ করতে হয়। -
উদাহরণ:
-
২ মিটার = ২ × ১০০০ = ২০০০ মিলিমিটার
-
০.৫ মিটার = ০.৫ × ১০০০ = ৫০০ মিলিমিটার
অর্থাৎ মিটারের মান যত বাড়বে, মিলিমিটারেও তার মান তত বাড়বে।
-
-
বাস্তব জীবনে ব্যবহার: দৈনন্দিন জীবনে যেমন রুলার, স্কেল বা মাপজোখের কাজে আমরা মিলিমিটার ব্যবহার করি। ইঞ্জিনিয়ারিং, কাঠের কাজ, বা নির্মাণকাজে সুনির্দিষ্ট পরিমাপের জন্য মিলিমিটার ব্যবহৃত হয় কারণ এটি ছোট একক এবং আরও নিখুঁত মাপ দেয়।
-
একক পরিবর্তনের নিয়ম মনে রাখার সহজ উপায়:
বড় একক → ছোট একক (গুণ করতে হবে)
ছোট একক → বড় একক (ভাগ করতে হবে)
তাই, মিটার থেকে মিলিমিটারে যেতে হলে গুণ করতে হবে ১০০০ দ্বারা।
সবশেষে বলা যায়, ১ মিটার সমান ১০০০ মিলিমিটার, যা দৈর্ঘ্যের একক পরিবর্তনের অন্যতম মৌলিক সম্পর্ক। এই জ্ঞান একক রূপান্তর বোঝার ভিত্তি গঠন করে এবং বিভিন্ন পরিমাপ নির্ভুলভাবে করতে সাহায্য করে।
0
Updated: 2 weeks ago
একটি চৌবাচ্চার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতা ০.১ মিটার। ঐ চৌবাচ্চায় কত লিটার পানি ধরবে?
Created: 2 months ago
A
০.০০১ লিটার
B
০.১ লিটার
C
১ লিটার
D
১০০০ লিটার
প্রশ্ন: একটি চৌবাচ্চার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতা ০.১ মিটার। ঐ চৌবাচ্চায় কত লিটার পানি ধরবে?
সমাধান:
দেওয়া আছে,
চৌবাচ্চার দৈর্ঘ্য = ০.১ মিটার
প্রস্থ = ০.১ মিটার
গভীরতা = ০.১ মিটার
∴ চৌবাচ্চার আয়তন = (০.১ × ০.১ × ০.১) ঘনমিটার
= ০.০০১ ঘনমিটার
= (০.০০১ × ১০০০) লিটার [১ ঘনমিটার = ১০০০ লিটার]
= ১ লিটার
0
Updated: 2 months ago
এক কুইন্টাল কত কেজি?
Created: 3 weeks ago
A
১০ কেজি
B
৫০ কেজি
C
৭৫ কেজি
D
১০০ কেজি
কুইন্টাল একটি ওজন পরিমাপের একক, যা কৃষি, ব্যবসা, এবং বাণিজ্যে পণ্যের ওজন নির্ধারণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে এটি মেট্রিক সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে ১ কুইন্টাল = ১০০ কিলোগ্রাম ধরা হয়। নিচে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো—
-
সংজ্ঞা:
কুইন্টাল (Quintal) শব্দটি ল্যাটিন “centenarius” থেকে এসেছে, যার অর্থ “একশত”। অর্থাৎ, এটি এমন একটি একক যা একশত কিলোগ্রামের সমান। -
মেট্রিক সম্পর্ক:
মেট্রিক পদ্ধতিতে ১ টন = ১০ কুইন্টাল, অর্থাৎ ১ কুইন্টাল = ১/১০ টন। তাই ১ টন ওজনের সমান হতে হলে ১০টি কুইন্টাল প্রয়োজন হয়। -
ব্যবহার ক্ষেত্র:
-
কৃষিক্ষেত্রে চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, ইত্যাদির ওজন কুইন্টাল এককে প্রকাশ করা হয়।
-
শিল্প ও বাণিজ্যে বড় পরিমাণ পণ্যের পরিমাপে এটি সুবিধাজনক।
-
কৃষি বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাধারণত “প্রতি কুইন্টাল” হিসেবে দাম নির্ধারণ করা হয়।
-
-
গুরুত্ব:
কুইন্টাল ব্যবহারে ওজন নির্ধারণ সহজ, মানসম্মত ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। এটি ছোট ইউনিট যেমন কেজির তুলনায় বৃহৎ পরিমাপে কাজকে দ্রুত করে তোলে।
সুতরাং, ১ কুইন্টাল = ১০০ কিলোগ্রাম, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ওজন একক হিসেবে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago