প্রথম বাংলা 'থিসরাস' বা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেছেন-
A
অশোক মুখোপাধ্যায়
B
জগন্নাত চক্রবর্তী
C
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
D
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় থিসারাস ধরনের অভিধানের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত ‘সমার্থক শব্দের অভিধান’, যা ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এটি বাংলা ভাষায় প্রথম থিসারাস-ভিত্তিক অভিধান হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের কলকাতাতেও এই ধরনের অভিধান রচনার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অশোক মুখোপাধ্যায় রচিত ‘সমার্থশব্দকোষ’। উভয় গ্রন্থের বিন্যাসে একটি মিল রয়েছে—এই দুই থিসারাস-ধর্মী অভিধানই পিটার মার্ক রজে রচিত ইংরেজি ‘Thesaurus of English Words and Phrases’ (প্রকাশ: ১৯৫৮) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসরণে সাজানো হয়েছে।
এই ধরণের অভিধানে কাঙ্ক্ষিত প্রতিশব্দ খুঁজে পেতে হলে পাঠককে বিষয়ভিত্তিক সূচির সাহায্য নিতে হয়। যদিও গ্রন্থের শেষে একটি বর্ণানুক্রমিক সূচিও সংযোজিত রয়েছে, সেটি মূলত পরিপূরক সহায়তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উৎস: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘সমার্থক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের ভূমিকা।

0
Updated: 2 months ago
'আকাশে তো আমি রাখিনাই মোর উড়িবার ইতিহাস।' -এই বাক্যে 'আকাশে' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
কর্তৃকারকে সপ্তমী
B
কর্মকারকে সপ্তমী
C
অপাদান কারকে তৃতীয়া
D
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
অধিকরণ কারক
-
অধিকরণ কারক হল সেই কারক যা ক্রিয়ার আধার নির্দেশ করে। অর্থাৎ, এটি ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল বা ভাবকে বোঝায়।
-
সহজভাবে বলতে গেলে, অধিকরণ কারক হলো ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়, স্থান বা বিষয়ের তথ্য।
-
বাক্যে ক্রিয়াপদ কোন স্থানে, কখন বা কিভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রকাশ করতে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়।
-
অধিকরণ কারকের ক্ষেত্রে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়, যেমন – এ, য়, তে ইত্যাদি।
উদাহরণ হিসেবে, ‘‘আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস’’ বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি স্থান নির্দেশ করছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত রয়েছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকের একটি উদাহরণ।
অধিকরণ কারকের আরও কিছু উদাহরণ:
-
“তৈল আছে” – এখানে ‘আছে’ ক্রিয়া এবং ‘তৈল’ শব্দের সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত।
-
“কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল” – ‘কাননে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে” – এখানে ‘পাঠে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি আছে।
-
“পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির” – ‘পাতায়’ শব্দটি অধিকরণ কারকের উদাহরণ।
-
“বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি” – এখানে ‘বাংলাদেশ’ শব্দে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি প্রযোজ্য।
-
“বন্যেরা বনে সুন্দর” – ‘বনে’ শব্দটি সপ্তমী বিভক্তিতে আছে।
-
“ছাদে পানি আছে” – ‘ছাদে’ শব্দেও সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“কপালের লিখন যায় না খণ্ডন” – ‘কপালের’ শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি রয়েছে, যা অধিকরণ কারকের একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পড়ে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
ইংরেজি ভাষায় লেখা প্রথম বাংলা ব্যাকরণের রচয়িতা কে?
Created: 1 week ago
A
উইলিয়াম কেরি
B
রাজা রামমোহন রায়
C
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
D
জোশুয়া মার্শম্যান
বাংলা ব্যাকরণ রচনার ইতিহাস
-
প্রথম বাংলা ব্যাকরণ (১৭৪৩ খ্রি.)
-
প্রকাশিত হয় পর্তুগিজ ভাষায়।
-
লেখক: মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ
-
তিনি এটি রচনা করেন বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের ভূমিকা অংশ হিসেবে।
-
-
হ্যালহেডের ব্যাকরণ (১৭৭৮ খ্রি.)
-
প্রকাশিত হয় নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড প্রণীত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণ।
-
বইটির নাম: “A Grammar of the Bengal Language”
-
এটি ইংরেজিতে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণ।
-
-
উইলিয়াম কেরির ব্যাকরণ (১৮০১ খ্রি.)
-
রচিত ইংরেজি ভাষায় “A Grammar of the Bengalee Language”।
-
পরবর্তীতে, ১৮৪৬ সালে জন রবিনসন এই গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করেন।
-
-
রামমোহন রায়ের ব্যাকরণ (১৮২৬ ও ১৮৩৩ খ্রি.)
-
১৮২৬ সালে রামমোহন রায় ইংরেজি ভাষায় একটি উল্লেখযোগ্য বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
-
১৮৩৩ সালে প্রকাশিত ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ হলো বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ); বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
শিরোনামের প্রধান অংশ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ডাকটিকিট
B
পোস্টাল কোড
C
প্রেরকের ঠিকানা
D
প্রাপকের ঠিকানা
শিরোনামের প্রধান অংশ হচ্ছে প্রাপকের নাম ঠিকানা। সাধারণত একটি ব্যক্তিগত চিঠিতে ছয়টি অংশ বিদ্যমান থাকে। যথা: ১. মঙ্গল সূচক শব্দ। ২. স্থান ও তারিখ। ৩. সম্বোধন ও সম্ভাষণ। ৪. চিঠির বক্তব্য। ৫. লেখকের স্বাক্ষর, বিদায় সম্ভাষণ। ৬. শিরোনাম- প্রেরক ও প্রাপকের নাম ঠিকানা।

0
Updated: 1 month ago