প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে 'বিকল্প সরকার' বলা হয় কোনটিকে?
A
মন্ত্রীসভা
B
সরকারি দল
C
বিরোধী দল
D
সুশীল সমাজ
উত্তরের বিবরণ
প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিকল্প সরকার বলতে মূলত বিরোধী দলকে বোঝানো হয়। এটি এমন একটি ধারণা যেখানে ক্ষমতাসীন দলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে বিরোধী দল সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই বিরোধী দল শুধু সমালোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং একটি ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করে কার্যত বিকল্প সরকারের দায়িত্ব পালন করে। এর মাধ্যমে তারা যেকোনো সময় ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকে এবং একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাতে সরকার স্বৈরাচারী বা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে না ওঠে। বর্তমান সময়ে গণতন্ত্রকে অনেক ক্ষেত্রেই দলীয় শাসনের সমার্থক বলা হয়।
-
বিকল্প সরকার বলতে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিরোধী দলকে বোঝানো হয়
-
উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরোধী দল ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করে
-
সরকারকে স্বৈরাচার ও দুর্নীতি থেকে বিরত রাখতে বিরোধী দল ছায়া সরকার বা বিকল্প সরকারের ভূমিকা পালন করে চাপ সৃষ্টি করে
-
আধুনিক গণতন্ত্রকে অনেক সময় দলীয় শাসনের অপর নাম বলা হয়
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
ভারত
B
শ্রীলংকা
C
মায়ানমার
D
রাশিয়া
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৬ ডিসেম্বর প্রথম দেশ হিসেবে ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। একই দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির খবর মুজিবনগর সরকারের কাছে পৌঁছার পর ভারত দ্রুত বাংলাদেশকে দ্বিতীয় রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যেহেতু প্রশ্নের অপশনে ভুটান না থাকায়, তাই উত্তর হিসেবে ভারত দেওয়া যায়।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য দেশ
-
প্রথম মুসলিম দেশ যা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, তা হলো আফ্রিকার সেনেগাল।
-
এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্বীকৃতি দেয় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
-
এশিয়ার বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
প্রথম পশ্চিমা দেশ হিসেবে গ্রেট ব্রিটেন ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল স্বীকৃতি দেয়।
-
দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে ভেনিজুয়েলা ২ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
ফ্রান্স ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে স্বীকৃতি দেয়।
-
ব্রাজিল ১৫ মে ১৯৭২ সালে এবং আর্জেন্টিনা ২৫ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
তথ্যের উৎস: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বঙ্গভবনের শতবর্ষ, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘বাংলাদেশের তারিখ’, এবং প্রথম আলো।
0
Updated: 3 months ago
গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় কত তারিখ?
Created: 1 month ago
A
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২
B
১২ অক্টোবর, ১৯৭২
C
৪ নভেম্বর, ১৯৭২
D
১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭২
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ও গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া ১৯৭২ সালে সম্পন্ন হয়। সংবিধান প্রণয়ন থেকে কার্যকর হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক ঘটনাগুলো নিম্নরূপ:
-
খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয় ১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে।
-
খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে।
-
কমিটি সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেন ১১ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে।
-
খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১২ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে।
-
গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধান স্পিকার কর্তৃক প্রমাণীকৃত হয় ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
গণপরিষদের সদস্যগণ হস্তলিখিত সংবিধানে স্বাক্ষর করেন ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
0
Updated: 1 month ago
মঙ্গলপাণ্ডে কোন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
নীল বিদ্রোহ
B
সিপাহী বিদ্রোহ
C
ভারত ছাড়ো আন্দোলন
D
স্বদেশী আন্দোলন
সিপাহি বিদ্রোহ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৮৫৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে মঙ্গলপাণ্ডে নামে এক সিপাহীর গুলির মাধ্যমে এই বিদ্রোহের সূচনা হয়। এটি দ্রুত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার করে। যদিও শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়, এর ফলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারতের শাসনভার সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়।
-
সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে মঙ্গলপাণ্ডে নামের এক সিপাহী কর্তৃক গুলি বর্ষণের মাধ্যমে বিদ্রোহের সূচনা ঘটে।
-
বিদ্রোহ দ্রুত মিরাট, কানপুর, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, বাংলা সহ ভারতের প্রায় সকল অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট, কুমিল্লা, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী এই বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে।
-
পরবর্তীতে বিদ্রোহ ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, তবে শেষ পর্যন্ত এটি ব্যর্থ হয়।
-
এই বিদ্রোহের ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন অবসান ঘটে।
-
ভারতের শাসনভার সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে আসে।
0
Updated: 1 month ago