'ঘাড়ের ভূত নামানো' প্রবাদটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
A
নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করা
B
দুর্বুদ্ধি ত্যাগ করা
C
অপ্রাসঙ্গিক কাজ করা
D
কোনো না কোনোভাবে কার্যসিদ্ধি
উত্তরের বিবরণ
'ঘাড়ের ভূত নামানো' প্রবাদের অর্থ হলো দুর্বুদ্ধি ত্যাগ করা। এর alongside আরও কিছু প্রবাদ রয়েছে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন।
-
কানে দিয়েছি তুলো পিঠে বেঁধেছি কুলো: নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করা
-
ধান ভানতে শিবের-গীত্র / ধেনো হাটে ওল নামানো: অপ্রাসঙ্গিক কাজ করা
-
ধারে না হলে ভারে কাটে: কোনো না কোনোভাবে কার্যসিদ্ধি
উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
অপত্নীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ননদ
B
তেজস্বিনী
C
জেলেনি
D
দাদি
সাধারণ নারীবাচক শব্দ দুই ধরনের:
- পত্নীবাচক,
- অপত্নীবাচক।
পত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বোঝালে পত্নীবাচক হয়।
যেমন: পিতা - মাতা, চাচা - চাচি, দাদা - দাদি, জেলে - জেলেনি, গুরু - গুরুপত্নী, নন্দাই - ননদ ইত্যাদি।
অপত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক না বোঝালে অপত্নীবাচক হয়।
যেমন:
খোকা - খুকি, ছাত্র - ছাত্রী, শিক্ষক - শিক্ষিকা, নেতা - নেত্রী, পাগল - পাগলি, তেজস্ব - তেজস্বিনী, বালক - বালিকা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২-সংস্করণ)।

0
Updated: 1 week ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 3 weeks ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি যৌগিক বাক্য?
Created: 6 days ago
A
দোষ স্বীকার করলে তােমাকে শাস্তি দেওয়া হবে না।
B
তিনি বেড়াতে এসে কেনাকাটা করলেন।
C
মহৎ মানুষ বলে সবাই তাঁকে সম্মান করেন।
D
ছেলেটি চঞ্চল তবে মেধাবী।
যৌগিক বাক্য হল এমন একটি বাক্য যেখানে দুই বা ততোধিক স্বাধীন বাক্য যোজকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করে। এই ধরনের বাক্যে স্বাধীন বাক্যগুলো স্বতন্ত্র অর্থ বহন করে, কিন্তু একসাথে পড়লে একটি পরিপূর্ণ ভাব প্রকাশ করে।
-
যৌগিক বাক্যে ব্যবহৃত সাধারণ যোজক: এবং, ও, তথাপি, আর, অথবা, বা, কিংবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে, তবে ইত্যাদি।
-
কিছু যতিচিহ্নও যোজকের ভূমিকা পালন করে, যেমন: কমা (,), সেমিকোলন (:), কোলন (;), ড্যাশ (-)।
-
উদাহরণ:
-
উদয়াস্ত পরিশ্রম করবো, তথাপি অন্যের দ্বারস্থ হবো না।
-
নেতা জনগণকে উৎসাহিত করলেন বটে, কিন্তু কোন পথ দেখাতে পারলেন না।
-
ছেলেটি চঞ্চল তবে মেধাবী।
-
-
প্রশ্নে উল্লিখিত অন্যান্য বাক্যগুলো সরল বাক্য, যা একক স্বাধীন বাক্য দ্বারা গঠিত।

0
Updated: 6 days ago